গভীর রাতে বন্দুকযুদ্ধ, শীর্ষ সন্ত্রাসী নিহত
ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডু উপজেলায় পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ বাদশা শেখ (৫৫) নামে এক সন্ত্রাসী সন্ত্রাসী নিহত হয়েছেন। এতে আহত হয়েছেন ২ পুলিশ সদস্য।
হত্যাসহ ৯ মামলার আসামি বাদশা শেখ উপজেলার জোড়াপুকুরিয়া গ্রামের ডা. হেলাল উদ্দিন শেখের ছেলে।
সোমবার রাত ২টার দিকে উপজেলার হরিণাকুন্ডু জোড়াপুকুরিয়া মাঠের একটি মেহগনি বাগানে এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে একটি শুটার গান ও এক রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের দাবি, বন্দুকযুদ্ধের সময় হরিণাকুন্ডু থানার এসআই গোলাম সরোয়ার ও পুলিশ কনস্টেবল সোহেল রানা আহত হয়েছেন।
ঝিনাইদহের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিলু মিয়া গণমাধ্যমকে বাদশা নিহতের সংবাদটির সত্যতা নিশ্চিত করেন। তিনি জানান, সন্ত্রাসীরা অবস্থান করছে- এমন সংবাদের ভিত্তিতে হরিণাকুন্ডু উপজেলার তেতুলিয়া এলাকায় অভিযান চালায় পুলিশ। এ সময় পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশও পাল্টা গুলি চালায়।
তিনি আরও জানান, এ ঘটনায় পুলিশের দুই সদস্য আহত হয়েছেন। ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করা হয়েছে ১টি শুটারগান ও ১ রাউন্ড গুলি। নিহত বাদশার বিরুদ্ধে বিভিন্ন থানায় সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজিসহ অন্তত ৯টি মামলা রয়েছে।
হরিণাকুন্ডু থানার এসআই আব্দুল জলিল খবরের সত্যতা নিশ্চিত করে বাংলাদেশ জার্নাল জানান, হরিণাকুন্ডু জোড়াপুকুরিয়া মাঠের একটি মেহগনি বাগানে সন্ত্রাসীরা গোপন বৈঠক করার খবর পেয়ে রাত দুইটার দিকে টহল পুলিশ সেখানে অভিযান চালায়। পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে সন্ত্রাসীরা গুলি চালায়। আত্মরক্ষার্থে পুলিশ ও পাল্টা গুলি ছোড়ে।
উভয় পক্ষের গুলি বিনিময়ের একপর্যায়ে ঘটনাস্থলে এক ব্যক্তির লাশ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ লাশটি শনাক্ত করতে নিকটস্থ গ্রামবাসীকে খবর দেয়। খবর পেয়ে কয়েকজন গ্রামবাসী ঘটনাস্থলে পৌঁছে লাশটি সন্ত্রাসী বাদশা শেখের বলে শনাক্ত করেন।
স্থানীয়রা জানান, নিহত বাদশা শেখ পূর্ববাংলা কমিউনিস্ট পার্টির (জনযুদ্ধ এমএল) আঞ্চলিক নেতা ছিল। তার বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে।