বুধবার, ১৩ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » যানজটে পিছিয়ে পড়ছে দেশ- বিশ্ব ব্যাংক
যানজটে পিছিয়ে পড়ছে দেশ- বিশ্ব ব্যাংক
খোলাডেক্স :
সড়কে দীর্ঘ যানজটে পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ। এমনটাই বলছে বিশ্ব ব্যাংকের আবাসিক প্রতিনিধি মার্সি টেম্বন। তিনি বলেন, রপ্তানি প্রতিযোগী দেশগুলোর তুলনায় মসৃণ পরিবহন অবকাঠামো তৈরিতে পিছিয়ে রয়েছে বাংলাদেশ। তিনি যানজটমুক্ত সড়ক পরিবহন ব্যবস্থার পাশাপাশি সাশ্রয়ী যোগাযোগ মাধ্যম রেল ও জলপথের অবকাঠামো উন্নয়নের মাধ্যমে রপ্তানি সক্ষমতাকে পুরোপুরি কাজে লাগানোর পরামর্শ দিয়েছেন।
বুধবার বিশ্ব ব্যাংকের ‘মুভিং ফরওয়ার্ড: কানেক্টিভিটি অ্যান্ড লজিস্টিকস টু সাসটেইন বাংলাদেশ’ জ সাকসেস’ শীর্ষক প্রতিবেদন প্রকাশ অনুষ্ঠানে ঢাকার র্যাডিসন হোটেলে একথা বলেন মার্সি টেম্বন।
অনুষ্ঠানে প্রতিবেদনের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন বিশ্ব ব্যাংকের জ্যেষ্ঠ অর্থনীতিবিদ ম্যাটিয়াস হেরেরা ড্যাপে, প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা মশিউর রহমান।
স্বাগত বক্তব্যে মার্সি টেম্বন বলেন, আন্তর্জাতিক রপ্তানি বাজারে প্রতিযোগিতা বাড়ছে। এই প্রতিযোগিতায় যে দেশ যত বেশি কম দামে পণ্য দিতে পারছে, সে দেশ রপ্তানি বাজারে ততই এগিয়ে যাচ্ছে। বাংলাদেশকে পণ্য পরিবহণে ‘লজিস্টিক’ সহায়তা বাড়িয়ে বিশেষ করে যানজট কমানোর মাধ্যমে পণ্য পরিবহণ ব্যয় কমিয়ে রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ কাজে লাগাতে হবে।
প্রায় দুই দশক বিশ্ব ব্যাংকে কাজ করে আসা টেম্বন বলেন, বাংলাদেশের রপ্তানি প্রতিযোগী দেশগুলো রপ্তানি পণ্য পরিবহন অবকাঠামো উন্নয়ন করে এগিয়ে যাচ্ছে। এক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখনো মসৃণ সংযোগ অবকাঠামোতে পিছিয়ে আছে। বাংলাদেশের সড়ক যোগাযোগ খাতের যানজট রপ্তানি পণ্য গন্তব্যে পৌঁছানোর খরচ বাড়িয়ে দিচ্ছে।
তিনি বলেন, বিশ্ববাজারের প্রায় ৭ শতাংশ পোশাক রপ্তানি করে বাংলাদেশ।বর্তমান অবস্থায়ও যুক্তরাষ্ট্রের বাজারে ১০ শতাংশ রপ্তানি বাড়ানোর সুযোগ আছে। এছাড়াও বিশ্ববাজারে রপ্তানি বাড়ানোর ব্যাপক সুযোগ রয়েছে। কিন্তু আমদানিকারকরা কম দামে পণ্য চায়। যে দেশ কম দামে পণ্য দিতে পারে তারা সেই দেশ থেকেই পণ্য কেনে। রপ্তানি বাড়িয়ে উচ্চ মধ্যম আয়ের দেশের দিকে এগিয়ে যেতে বাংলাদেশের প্রধান চ্যালেঞ্জ হচ্ছে, কম খরচের পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থার উন্নয়ন ঘটানো।
রপ্তানি পণ্যের পরিবহন ব্যবস্থাসহ ব্যবসাবান্ধব পরিবেশ নিশ্চিত করে বিনিয়োগ ও রপ্তানির ক্ষেত্রে প্রতিযোগিতা সক্ষমতা বাড়াতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার পরামর্শ দিনে মার্সিয়া টেম্বন। বিশেষ করে চট্টগ্রাম বন্দরের সাথে মসৃণভাবে নিরবচ্ছিন্ন পণ্য পরিবহণ ব্যবস্থা নিশ্চিত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
খোলাডাক/ এএইচ