সোমবার, ১১ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » বাংলাদেশকে নয়, মালদ্বীপকে পেঁয়াজ দিচ্ছে ভারত
বাংলাদেশকে নয়, মালদ্বীপকে পেঁয়াজ দিচ্ছে ভারত
অনলাইন ডেস্ক
দাম বৃদ্ধির জের ধরে গত সেপ্টেম্বরের শেষ নাগাদ বাংলাদেশে পেঁয়াজ রপ্তানি পুরোপুরি বন্ধ করে দিয়েছে ভারত। তবে ঘাটতি ও দামবৃদ্ধির অজুহাতে বাংলাদেশকে পেঁয়াজ না দিলেও মালদ্বীপকে ঠিকই দিচ্ছে ভারত। নিজের দেশে ঘাটতি থাকায় ‘আমদানি করে’মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানির সিদ্ধান্ত নিয়েছে নয়াদিল্লি।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়া এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, দেশে পেঁয়াজের সংকট থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি করবে ভারত। এতে পরিমাণেরও কোনো হেরফের হবে না। আগে দেশটিতে যে পরিমাণ পেঁয়াজ রপ্তানি হতো সেই পরিমাণই রপ্তানি করা হবে পেঁয়াজ।
মালদ্বীপে নিযুক্ত ভারতীয় মিশন রোববার এক টুইট বার্তায় জানায়, ‘আমরা আমাদের বন্ধু মালদ্বীপকে আশ্বস্ত করতে চাই যে, টানা দাম বৃদ্ধি ও দেশে এক লাখ টন পেঁয়াজের ঘাটতি থাকা সত্ত্বেও মালদ্বীপে পেঁয়াজ রপ্তানি করতে চায় ভারত।’
ভারতে রান্নার নিত্য অনুষঙ্গ পেঁয়াজের ব্যাপক ঘাটতি রয়েছে। চাহিদা মেটাতে আফগানিস্তান, তুরস্ক, ইরান ও মিশর থেকে পেঁয়াজ আমদানি করতে হয় ভারতকে।
সূত্র বলছে, শুধু পেঁয়াজই নয়, সব ধরনের নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র মালদ্বীপে রপ্তানি অব্যাহত রাখবে ভারত। চাহিদা মেটাতে এক লাখ টন পেঁয়াজ আমদানি অব্যাহত থাকবে বলে ঘোষণা দিয়েছেন ভারতের খাদ্যমন্ত্রী রাম বিলাস পাসওয়ান।
সম্প্রতি নয়াদিল্লি সফরের সময় ভারতের বাণিজ্যমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের উদ্দেশে হাসিনা রসিকতার সুরে বলেন,‘পেঁয়াজ মে থোড়া দিক্কত হো গিয়া হামারে লিয়ে। মুঝে মালুম নেহি, কিউ আপনে পেঁয়াজ বন্ধ কর দিয়া! ম্যায়নে কুক কো বোল দিয়া, আব সে খানা মে পেঁয়াজ বন্ধ কারদো (পেঁয়াজ নিয়ে একটু সমস্যায় পড়ে গেছি আমরা। আমি জানি না, কেন আপনারা পেঁয়াজ বন্ধ করে দিলেন। আমি রাঁধুনীকে বলে দিয়েছি, এখন থেকে রান্নায় পেঁয়াজ বন্ধ করে দাও)।’হাসিনার এই কথা শুনে তখন সেখানে উপস্থিত সকলেই প্রায় হেসে ওঠেছিলেন।
কিন্তু এরপরও বাংলাদেশে পেঁয়াজ পাঠাতে রাজি হয়নি ভারত। দাম বৃদ্ধির ছুতো ধরে বাংলাদেশে এখনও পেঁয়াজ রপ্তানি বন্ধ রেখেছে মোদি সরকার। যদিও তারা মালদ্বীপকে ঠিকই পেঁয়াজ দিচ্ছে।