বুলবুলের তাণ্ডব: সাত জেলায় ৮ জনের মৃত্যু
খোলাডেক্স :
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র তাণ্ডবে খুলনা, বরিশাল, পটুয়াখালী, বরগুনা, পিরোজপুর, বাগেরহাট ও মাদারীপুরে নারীসহ ৮ জনের মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। শনিবার মধ্যরাত থেকে রোববার সকাল পর্যন্ত এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে।
খুলনা
খুলনার উপকূলীয় দাকোপ উপজেলায় প্রমিলা মণ্ডল (৫২) নামে এক নারী ঝড়ের সময় গাছ চাপা পড়ে নিহত হয়েছেন। রোববার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ দাকোপে এ ঘটনা ঘটে। নিহত প্রমিলা সুভাস মণ্ডলের স্ত্রী।
এছাড়া খুলনার দিঘলিয়া উপজেলায় সেনহাটি গ্রামে আলমগীর হোসেন (৩৫) নামে এক যুবক গাছচাপা পড়ে নিহত হয়েছেন।
বরিশাল
বরিশালের উজিরপুর উপজেলায় ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র আঘাতে ঘরচাপা পড়ে আশালতা মজুমদার (৬৫) নামে এক বৃদ্ধা মারা যান। রোববার বিকেল ৩টার দিকে এ ঘটনা ঘটে। বৃদ্ধা আশালতা উজিরপুর পৌর এলাকার এক নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ মাদারসী এলাকার বাসিন্দা।
পটুয়াখালী
পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের উত্তর রামপুরা গ্রামে হামেদ ফকির (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ নিহত হয়েছেন। পটুয়াখালীর মির্জাগঞ্জের মাধবখালী ইউনিয়নের উত্তর রামপুর গ্রামে ঘর চাপা পড়ে তার মৃত্যু হয়। শনিবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে একটি গাছ ভেঙে ঘরের উপর পরলে ঘরের চাপায় ঘটনাস্থলেই তিনি মারা যান।
বরগুনা
ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’ এর কারণে বরগুনা সদর উপজেলার এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের ডিএন কলেজে আশ্রয় নিতে আসা হালিমা খাতুন নামে এক নারীর মৃত্যু হয়েছে। শনিবার রাতে তার মৃত্যু হয়।
জানা গেছে, হালিমা খাতুন অসুস্থতার কারণে মারা গেছেন। এম বালিয়াতলী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শাহনেওয়াজ জানান, হালিমা খাতুন আগে থেকেই অসুস্থ ছিলেন।
বাগেরহাট
ঘূর্ণিঝড় ’বুলবুল’র আঘাতে ঘরের উপর গাছ পড়ে সামিয়া খাতুন (১৫) নামের এক কিশোরী মৃত্যু হয়েছে। রোববার সকালে এ ঘটনা ঘটে। নিহত সামিয়ার বাড়ি রামপাল উপজেলার ভরসাপুর গ্রামে।
পিরোজপুর
পিরোজপুর জেলার নাজিরপুর উপজেলার মালিখালী ইউনিয়নের লড়া গ্রামে ঘরের উপর গাছ চাপা পড়ে ননী গোপাল মণ্ডল (৬৫) নামে এক বৃদ্ধ মারা যান। রোববার দুপুরে এ ঘটনা ঘটে। এতে গুরুত্বর আহত হয় একই পরিবারের সুমী (৮) ও নাসির (১৬) নামে দুই শিশু।
মাদারীপুর
মাদারীপুরে ঘূর্ণিঝড় ‘বুলবুল’র প্রভাবে ঘরের টিনের চালা পড়ে সালেহা বেগম (৫০) নামে এক গৃহবধুর মৃত্যু হয়েছে। রোববার দুপুরে ঘটকচর এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এদিকে ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের তান্ডবে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় জরুরি ত্রাণসামগ্রী বিতরণ, চিকিৎসাসেবা ও উদ্ধার কার্যক্রম শুরু করেছে কোস্টগার্ড।
কোস্টগার্ড সদর দফতরের মিডিয়া কর্মকর্তা লে. বিএন এম হায়াত ইবনে সিদ্দিক জানান, ঘূর্ণিঝড়ে ক্ষতিগ্রস্তদের সহায়তায় সাতক্ষীরার কয়রা ও গাবুরা এলাকায় দুইটি জাহাজ, সুন্দরবনের দুবলার চরে একটি জাহাজে করে জরুরি সেবায় ত্রাণসামগ্রী বিতরণ শুরু করা হয়েছে।
আহতদের চিকিৎসাসেবা ও উদ্ধার কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে কোস্টগার্ড।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান জানান, বুলবুলের কারণে পাঁচ হাজার ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ক্ষতিগ্রস্তদের তালিকা করে তাদের পুনর্বাসন করা হবে।
খোলাডাক/ এএ