মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » একসঙ্গে তিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ছাত্রলীগ নেতা!
একসঙ্গে তিন পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার ছাত্রলীগ নেতা!
শিরোনাম শুনেই চমকে উঠতে পারেন। ছাত্রনেতা আবার পত্রিকার সিনিয়র রিপোর্টার! তাও একটা না একই সাথে তিন পত্রিকার। বিষয়টা হাস্যকর এবং অদ্ভুত মনে হলেও বাস্তবেই এমনটা দাবি করছেন এক ছাত্রলীগ নেতা।
মারুফ হোসেন নামে ওই ছাত্রনেতা কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগেরও সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। পাশাপাশি তিনি মুক্তিযুদ্ধ মঞ্চ নামে নামসর্বস্ব একটি সংগঠনের সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন।
মারুফ হোসেনের দাবি তিনি দৈনিক বাংলার দূত, সত্যর সন্ধানে ও দৈনিক দিন প্রতিদিন নামে তিনটি পত্রিকায় কর্মরত। যার মধ্যে একটি তার ভাইয়ের মালিকানাধীন পত্রিকা।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে মারুফ হোসেন বাংলাদেশ জার্নালকে বলেন, আমি ছাত্ররাজনীতি শুরুর সময় থেকেই লেখালেখি করে আসছি। বর্তমানে তিনটি পত্রিকায় কর্মরত আছি। সবগুলোতেই আমি সিনিয়র রিপোর্টার হিসেবে কর্মরত রয়েছি।
তিনটি পত্রিকায় একই সাথে কাজ করা সম্ভব কিনা, জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমি যে তিনটি পত্রিকায় কাজ করি তার মধ্যে একটি আমার বড় ভাইয়ের। বাকি দুইটা পত্রিকার একটিতে আমি আগে থেকেই কাজ করতাম আর একটায় বর্তমানে নতুন করে কাজ শুরু করেছি। আমি লেখালেখি খুবই পছন্দ করি। আর তাই ভালোবাসা থেকে কাজ করি।
সম্প্রতি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে মারুফ হোসেন তার ব্যানারের ছবি সম্বলিত একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে রীতিমতো ভাইরাল। অনেকে এই ব্যানারের সমালোচনা করছেন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। সমালোচনা ও ট্রলের জবাবে তিনি বলেন, কারা সমালোচনা করে তা আমি জানি না। সাংবাদিকতা মহান পেশা। আর তাই আমি আমার ভালোবাসা থেকে কাজ করি। এটা নিয়ে যারা সমালোচনা করছেন তারা কেন তা করছেন আমি জানি না।
তিতুমীর কলেজ ছাত্রলীগের এক কর্মী নাম প্রকাশ না করা শর্তে বলেন, মারুফ হোসেন অনেক আগে থেকে রাজনীতি করেন। কিন্তু তার এ ধরনের হাস্যকর কাজের জন্য তিনি ভালো পদবি পান না।
তিতুমীর কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জুয়েল মোড়ল বলেন, সে আমাদের সাবেক কমিটির। আমরা তার বিষয়ে কিছু জানি না। সম্প্রতি এ ধরনের একটি পোস্টারের ছবি ভাইরাল হয়েছি যা আমিও দেখেছি।
শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি রিপন মিয়া বলেন, আমিও দেখেছি পোস্টারটা। সে আগে কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সম্পাদক ছিলেন। তার বিষয়ে আমরা কিছু বলতে পারিনা।