বৃহস্পতিবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৪
প্রথম পাতা » বিবিধ » বারবার সর্তক করা শর্তেও কথা শুনছে না, আসছে দুর্ণীতি করতে
বারবার সর্তক করা শর্তেও কথা শুনছে না, আসছে দুর্ণীতি করতে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি ; লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা হাসপাতালের উপ-সহকারি কমিউনিটি মেডিক্যাল অফিসার (সেকমো) মো. রাশেদ উদ্দিন আউটডোরের ইমারজেন্সী কক্ষে রোগীদের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চিকিৎসা দেয়ার অভিযোগ উঠে। তিনি প্রতিদিন হাসপাতালে রোগীদের চিকিৎসা দিতে ৫০-১০০টাকা উৎকোচ মানি নিচ্ছেন, এমন চিত্র দেখা যায়।
সরেজমিনে হাসপাতালে গিয়ে দেখা যায়, সেকমো মো.রাশেদ উদ্দিন রোগী দেখে চিকিৎসাপত্র লিখছে তার পাশে ৫০টাকা নোট পড়ে রয়েছে, সাথে থাকা এমএলএসএস টাকাগুলো সংগ্রহ করছে। প্রতিটি রোগী ৫০-১০০টাকা করে নিচ্ছেন। রোগীদের কাছ থেকে চেয়ে চেয়ে টাকা নিচ্ছেন। রোগীরা নিরুপায় হয়ে টাকা দিচ্ছেন। যদিও হাসপাতাল নিয়মে প্রতি রোগী ৫টাকা জমা দিয়ে চিকিৎসা সেবা নিবেন। হাসপাতাল সূত্রে জানান, প্রতিদিন ৭০-১০০রোগী রেজিস্ট্রারে এন্টি হয়। এর বাহিরেও একাধিক রোগী চিকিৎসা নিয়ে যান।
কিছু রোগী অভিযোগে জানান, সরকারী হাসপাতালে রোগীরা ডাক্তারদের কাছে গেলে টাকা দিতে হয়। এছাড়াও বেশ কিছু পরীক্ষা-নিরীক্ষা দেন। যেগুলো হাসপাতালের বাহিরে প্রাইভেট ডায়াগনষ্ট্রিক সেন্টারে করাতে হয়। তারাও আরও জানান, সেকমো মো.রাশেদ উদ্দিন প্রতিদিন রোগী দেখেন, তিনি রোগীদের সাথে ভালো ব্যবহার পর্যন্ত দেন না। প্রতি রোগীর ৫০-১০০ টাকা দিতে হয় তাকে। জোর করেও টাকা নেন তিনি।
সেকমো মো.রাশেদ উদ্দিন জানান, তিনি টাকা নিয়ে চিকিৎসা দেন না। রোগীরা তাকে টাকা দিয়ে যান। হাসপাতাল রেজিষ্ট্রারে এন্টি ফি ৫টাকা জমা দিতে হয়।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা.মো.আবু তাহের পাটোয়ারী জানান, তাকে বার বার বলা শর্তেও কথা শুনছে না, এখানে আসছে চুরি করার জন্য, ও(রাশেদ)এখানে আসার পর থেকে দুর্নীতি বেড়ে গেছে, ওরে সিভিল সার্জন স্যার হাসপাতালে দিয়েছে, আমার ইচ্ছা ছিল না, যোগদানের পর থেকে তার বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ রয়েছে।
জেলা সিভিল সার্জন কর্মকর্তা আহমেদ কবির জানান, হাসপাতালে রোগীদের কাছ থেকে কোন টাকা নেয়া যাবে না, সম্পূর্ণ নিষেদ। উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার সাথে আলাপ করে ব্যবস্থা নেয়া হবে।