বুধবার, ২১ ফেব্রুয়ারী ২০২৪
প্রথম পাতা » » কমলনগরে ভাষা দিবসে ফাটা-ছেঁড়া পতাকা টাঙান সাব-রেজিস্ট্রার অফিস
কমলনগরে ভাষা দিবসে ফাটা-ছেঁড়া পতাকা টাঙান সাব-রেজিস্ট্রার অফিস
আমজাদ হোসেন আমু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবসে ফাটা-ছেঁড়া ও স্যাঁতসেঁতে রংঙের রাষ্ট্রীয় পতাকা টাঙিয়ে ‘পতাকার’ অবমূল্যায়ন করেন লক্ষ্মীপুরের কমলনগর উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস।
দেশের সম্মান ও সার্বভৌমত্ব রক্ষার প্রতিক হচ্ছে পতাকা।পতাকা বিশ্ব দরবারে দেশ এবং রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে। দেশের জাতীয় দিবসগুলোতে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা প্রতিটি অফিস ও প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব। শুধু পতাকা উত্তোলন করলেই হবে না। পতাকা টাঙানোর কিছু নিয়ম ও মাপকাঠি অনুসরণ করতে হয়। সরকারি দিবসগুলোতে কিভাবে পতাকা উত্তোলন করা হয়। কি ধরণের পতাকা উত্তোলন করতে হবে। সে বিষয়গুলো সম্পর্কে অবগত থাকা জরুরি। জাতীয় পতাকা উত্তোলনের সর্বশেষ নিয়মে বলা হয়েছে- পতাকার অবস্থা যদি এমন হয় যে, তা আর ব্যবহার করা যাবে না, রং নষ্ট হয়ে গেছে, অধিক পুরানো, তখন সম্পূর্ণ মর্যাদাপূর্ণভাবে, বিশেষ করে সমাধিস্থ করে নিষ্পত্তি করতে হবে। অথচ উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার অফিস জাতীয় পতাকা অবমূল্যায়ন করে কার্যক্রম পরিচালনা করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, দীর্ঘদিনের পুরানো, রং নষ্ট, স্যাঁতসেঁতে, ফাটা-ছেঁড়া, পতাকার সাইটগুলোতে সুতা জীর্ণশীর্ণ এবং কয়েকটি ফুটা ছিদ্র একটি জাতীয় পতাকা স্টিলের পাইপে টাঙানো রয়েছে। যা সম্পূর্ণ নিয়ম বহি:ভূত। রাষ্ট্রীয় দিবসে পতাকা অবমূল্যায়ন সত্যিই অসম্মানজনক।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ব্যক্তিরা জানান, মাতৃভাষা দিবসে জনগুরুত্বপূর্ণ অফিসে কিভাবে ফাটা-ছেড়াঁ, ফুটা ও রং নষ্ট, পুরানো পতাকা টাঙানো হয়। বাতাসে দুলছে আর ফাটাঁ-ছেড়াঁ দেখা যাচ্ছে। এটা সম্পূর্ণ রাষ্ট্র বিরোধী ও অবমাননামুলক কাজ। যিনি অফিসের দায়িত্বে রয়েছে তিনি কিভাবে এমন কাজ করেন। তার শাস্তি হওয়া দরকার।
সূত্রে জানা যায়, দীর্ঘ দু’বছর সাব-রেজিস্ট্রারের দায়িত্বে রয়েছে মুহাম্মদ আরমান। তিনি মাতৃভাষা দিবসে অফিসে ছিলেন না। তিনি সম্পূর্ণ দায়িত্বের গাফলতী করছেন। তার যোগদানের পর থেকে তিনি রাষ্ট্রীয় কোন দিবসে যোগদান করেন না। ভাষা দিবসে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে তাকে দেখা যায়নি।
দায়িত্বে থাকা উপজেলা সাব-রেজিস্ট্রার মুহাম্মদ আরমান এর মুঠোফোনে একাধিক বার কল ও হোয়াটআপ’র লিখিত ম্যাসেস করা হলেও তিনি কোন উত্তর দেননি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রন্জন দাস ভোরের বাণীকে জানান, জাতীয় পতাকা টাঙানোর কিছু নিয়ম রয়েছে। যার মধ্যে ফাটা-ছেঁড়া, ফুটা, পুরানো কোন পতাকা টাঙানো যাবে না। সাব-রেজিস্ট্রার অফিস এটা করে থাকলে পতাকার অবমূল্যায়ন ও অবমাননা করেছে। বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।