সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি » কমলনগরে টাকা আত্মাসাৎ প্রতারণার দায়ে থানায় অভিযোগ
কমলনগরে টাকা আত্মাসাৎ প্রতারণার দায়ে থানায় অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে আশ্রয়ে স্থলে ব্যবসায়িক কর্মচারী মালিকের টাকা আত্মাসাৎ এ প্রতারণা ও হুমকি প্রদানের দায়ে নুর আমিন অপু (৩১)ও মো. শাহাজান (৫৫) বিরুদ্ধে থানায় অভিযোগ করেন ভুক্তভোগীর পক্ষে মো.ইমরান হোসাইন।
অভিযোগে জানা যায়, ১নং বিবাদী দীর্ঘদিন সৌদি আরবে অবস্থানরত ছিলেন। হঠাৎ এলাকার পরিচয়ের স্বার্থে ১নং স্বাক্ষী ইব্রাহিম খলিল (বিপ্লব) এর নিকট আশ্রয় নেন। কিছুদিন ১নং বিবাদীর চাকুরি না থাকায় ১নং স্বাক্ষীর সৌদি আরবে নিজ মালিকানা দোকানে চাকুরী নেন। প্রায় ৪-৫মাস ১নং বিবাদী চাকুরি করে দোকানের হিসাব-নিকাশ সঠিকভাবে পরিচালনা করেন। পরে ১নং স্বাক্ষীর বিশ্বাস অর্জন করিলে ১নং বিবাদীর উপর দোকানের পুরো দায়িত্ব ভার হস্তান্তর করেন। কয়েক মাস অতিবাহিত হলে মালিক ১নং স্বাক্ষী দোকানের হিসাব-নিকাশ ১নং বিবাদীর নিকট চাইলে বড় ধরনের প্রায় সৌদি ৬২ হাজার রিয়েল (বাংলার প্রায় ১৯ লক্ষ) টাকার গড়মিল খুঁজে পান।১নং বিবাদীর নিকট ১নং স্বাক্ষী গড়মিলের টাকা চাইলে হঠাৎ দোকান রেখে পালিয়ে যায় সে। দীর্ঘদিন ১নং বিবাদীকে খোঁজ করিলে তাহার কোন সন্ধান পাওয়া যায়নি। বিবাদীগন ১নং স্বাক্ষীর এলাকার স্থায়ী বাসিন্দা। বিবাদীগণের বাড়িতে গেলে ২নং বিবাদী এবং আত্নীয়দের ১নং স্বাক্ষী বিষয়টি জানায়। ২নং বিবাদী ১নং স্বাক্ষীর নিকট ১নং বিবাদী কোন টাকা বা লেনদেন নেই বলে জানান। ২নং বিবাদী আরও ক্ষিপ্ত হয়ে ১ নং স্বাক্ষী ও যাহারা পাওনা টাকা চাইতে গেলে তাদের খুন, জখম ও হত্যার হুমকি প্রর্দশন এবং বিভিন্নভাবে বাজে, খারাপ আচারণ করেন বলে অভিযোগে পাওয়া যায়। ১নং স্বাক্ষী খুব সহজ-সরল হওয়ায় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। যার কারণে স্থানীয় থানায় অভিযোগ দায়ের করে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন। বিবাদীদের বাড়ি উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়নের ০৭নং ওয়ার্ডের মকবুল পাটোয়ারী বাড়ি। সূত্রে জানা যায়, বিবাদীগণ জেলা সদরে ভাড়া বাসায় বসবাস করছেন।
বিবাদীদের সাথে যোগাযোগ করেও কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি এবং মেঠোফোন নাম্বার বন্ধ পাওয়া যায়। উপজেলা থানা ইনচার্জ (ওসি) মুহাম্মদ সোলাইমান বলেন, সৌদিতে টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগে বিবাদীগণ পলাতক মর্মে অভিযোগ হয়েছে। অভিযোগের বিষয়টি তদন্ত চলছে।
ভী-বাণী /ডেস্ক/ আমু