মঙ্গলবার, ২৯ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » » ‘জেএসসিতে সর্বোচ্চ জিপিএ ৪ আগামী বছর’
‘জেএসসিতে সর্বোচ্চ জিপিএ ৪ আগামী বছর’
নিজস্ব প্রতিবেদক
জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট (জেএসসি) ও জুনিয়র দাখিল সার্টিফিকেট (জেডিসি) পরীক্ষার ফলাফলের সর্বোচ্চ মান জিপিএ ৪ আগামী বছর থেকে কার্যকর হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি। মঙ্গলবার সচিবালয়ে জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার প্রস্তুতি নিয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ তথ্য জানান।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘এটি নিয়ে কাজ করা হচ্ছে, এটি এবার থেকে কার্যকর হবে না। এটা আগামী বছর যে জেএসজি-জেডিসি পরীক্ষা হবে, সেটা থেকে ইন্ট্রোডিউস করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি।’
আন্তর্জাতিক অঙ্গনের সঙ্গে মিলিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিকের ফলাফলে ৫ পয়েন্টের গ্রেডিং পদ্ধতির বদলে ৪ পয়েন্ট চালু করার কথা সরকার ভাবছে বলে গত আগস্ট মাসে জানিয়েছিলেন দীপু মনি।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি তখন বলেছিলেন, অষ্টম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের আসছে জুনিয়র স্কুল সার্টিফিকেট পরীক্ষার ফল ৪ পয়েন্টের জিপিএতে প্রকাশের পরিকল্পনা চলছে।
তবে আজ মঙ্গলবার তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আগামী ২ নভেম্বর থেকে শুরু হতে যাওয়া জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষার ফল জিপিএ ৪ এর ভিত্তিতে প্রকাশ করা সম্ভব হবে না।’
এবার ২ হাজার ৯৮২টি কেন্দ্রে ২৯ হাজার ২৬২ প্রতিষ্ঠানের ২৬ লাখ ৬১ হাজার ৬৮২ জন শিক্ষার্থী জেএসসি ও জেডিসি পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছে বলে জানান দীপু মনি।
২০১৮ সালে এই পরীক্ষায় মোট অংশ নিয়েছিল ২৬ লাখ ৭০ হাজার ৩৩৩ জন। গত বারের চেয়ে এবার পরীক্ষার্থী কমেছে ৮ হাজার ৬৫১ জন।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, এবার জেএসসিতে অনিয়মিত পরীক্ষার্থী ২ লাখ ৩৩ হাজার ৩১০ জন এবং জেডিসি পরীক্ষায় ৩০ হাজার ২৯১ জন।
এবার বিদেশের নয়টি কেন্দ্রে এ পরীক্ষায় ৪৫৪ জন অংশ নিচ্ছে জানিয়ে দীপু মনি বলেন, জেদ্দা, রিয়াদ, মদিনা, ত্রিপলি, দোহা, সাহাম, বাহরাইন, আবুধাবি ও দুবাই কেন্দ্রে পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, সুষ্ঠু, সুন্দর ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানে ২৫ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর পর্যন্ত সব কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ব্যবহার করে প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ভুয়া প্রশ্নপত্র তৈরি করে প্রতারণা ও গুজব সৃষ্টি ঠেকাতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে বলেন তিনি।
এক্ষেত্রে বিশেষ গোয়েন্দা নজরদারি থাকবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, অভিভাবকরা কোনো প্রতারণার ফাঁদে না পড়েন এ ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে।
পরীক্ষা চলাকালীন এবং এর আগে ও পরে শিক্ষার্থীরা ও পরীক্ষা সংশ্লিষ্টরা ছাড়া অন্যদের পরীক্ষাকেন্দ্রে প্রবেশ নিষিদ্ধ থাকবে জানিয়ে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, ‘পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষা কেন্দ্রের ২০০ মিটারের মধ্যে শিক্ষক, ছাত্র, কর্মচারীদের মোবাইল, মোবাইল ফোনের সুবিধাসহ ঘড়ি, কলম এবং পরীক্ষা কেন্দ্রে ব্যবহারের অনুমতিবিহীন যে কোন ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ থাকবে।’
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সিনিয়র সচিব মো. সোহরাব হোসাইন, ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান অধ্যাপ মু. জিয়াউল হকসহ মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।