লাইলাতুল বারা-আত এর তাৎপর্য
সংবাদ ডেস্ক : শবেবরাত অর্থ মুক্তির রাত্রি। আল্লাহ নিকট বান্দার ক্ষমা ও গুনাহ্ মাপ চাওয়ার উত্তম সময় শবে বারা-আত। শাবান মাসের ১৪ তারিখ দিবাগদ রাত হচ্ছে ‘শবেবারাত’..। শবে বরাত আরবী শব্দ লাইলাতুল বারা-আত।
হাদিস শরিফে যাকে ‘নিসফ শাবান’ বা ‘শাবান মাসের মধ্য দিবসের রজনী’ বলা হয়েছে। শবেবরাত অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও বিশেষ তাৎপর্যময় রজনী। এ রাতে মহান আল্লাহ তা’য়ালা তার রহমতের দরজা উন্মুক্ত করেন।
ইচ্ছায় বা অনিচ্ছায়, শয়তানের কুমন্ত্রণায় বা নফসের তাড়নায় মানুষ বিপৎগামী হয় বা পাপাচারে লিপ্ত হয়। মানুষের পাপমোচনের জন্য আল্লাহ তা’আলা তওবা ও ইস্তিগফারের ব্যবস্থা রেখেছেন। বিশেষ কিছু দিবস ও রজনী দিয়েছেন, এর মধ্যে অন্যতম ও গুরুত্বপূর্ণ হলো শবেবরাত।
শবে বরাত উপলক্ষে রোজা রাখা, নামাজ পড়া, নামাজে কিরাত ও রুকু-সিজদা দীর্ঘ করা; কোরআন শরিফ তিলাওয়াত করা; দরুদ শরিফ বেশি বেশি পড়া; ইস্তিগফার বেশি পরিমাণে করা; দোয়া কালাম, তাসবিহ তাহলিল, জিকির আজকার ইত্যাদি করা; কবর জিয়ারত করা; নিজের, পিতা-মাতার, আত্মীয়স্বজন, বন্ধুবান্ধব ও সব মুমিন মুসলমানের জন্য ক্ষমা প্রার্থনা করা এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ ও সমৃদ্ধি কামনা করা।
এছাড়াও মাসের প্রথম তারিখ, মধ্য তারিখ ও শেষ তারিখ নফল রোজা গুরুত্বপূর্ণ। শবে বরাতের রোজা এর আওতায়ও পড়ে। সওমে দাউদি পদ্ধতিতে এক দিন পর এক দিন রোজা পালন করলেও প্রতিটি বিজোড় তারিখ রোজা হয় এবং শবে বরাতের রোজার শামিল হয়ে যায়। সর্বোপরি রাসুল (সা.) রমজান মাসের পর রজব-শাবান মাসে বেশি নফল নামাজ ও নফল রোজা পালন করতেন, শাবান মাসে কখনো ১০টি, কখনো ১৫টি, কখনো ২০টি নফল রোজা, কখনো আরও বেশি রাখতেন। এমনকি উম্মুহাতুল মুমিনিনগণ বর্ণনা করেছেন, রাসুলুল্লাহ (সা.) শাবান মাসে এভাবে নফল রোজা রাখা শুরু করতেন, মনে হতো, তিনি আর কখনো রোজা ছাড়বেন না।
শবে বরাত মুসলিম উম্মাহ্ গুনাহ থেকে ক্ষমা প্রার্থীর গুরুত্বপূর্ণ রাত। রাতের গভীরে আল্লাহ তার প্রিয় বান্দাদের জন্য রহমতের দরজা খুলে দেয়। বান্দার তার ডাকার ইচ্ছে আল্লাহ নৈকট্য লাভ করবে।
দেশের প্রতিটি মসজিদ ও ইবাদাত স্থলে দিনটি খুব ঝ্যাঁকজমক ভাবে পালিত হচ্ছে।