শুক্রবার, ২৫ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » জাতীয় » সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ালে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে
সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ালে স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ে
স্তন ক্যান্সারে প্রতিবছর বাংলাদেশে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি নারী আক্রান্ত হন। এর মধ্যে মারা যান প্রায় ৭ হাজার রোগী। দেরিতে রোগ ধরা পড়া, সঠিক ও পুরো চিকিৎসা না নেয়া বা সুযোগ না থাকা, চিকিৎসা-পরবর্তী ফলোআপ না হওয়া স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।
শুক্রবার রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) অনুষ্ঠিত একটি হেল্থ ক্যাম্প অনুষ্ঠানে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকরা এসব তথ্য তুলে ধরেন। রেডিয়্যান্ট ফার্মাসিউটিক্যালস লিমিটিডে ও কমিউনিটি অনকোলজি ফাউন্ডেশন অব বাংলাদেশ-এর সহায়তায় এ হেল্থ ক্যাম্পটির আয়োজন করা হয়।
জাতীয় ক্যান্সার ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের ইপিডেমিওলজি বিভাগের প্রধান ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিনের নেতৃত্বে নারী চিকিৎসক দল ক্যাম্পে অংশ নেন।
ডা. রাসকিন বলেন, সারা বিশ্বের মত বাংলাদেশেও স্তন ক্যান্সারে নারীদের অবস্থান শীর্ষে। প্রতিবছর বাংলাদেশে সাড়ে ১২ হাজারের বেশি নারী আক্রান্ত হন এ রোগে। এর মধ্যে প্রায় ৭ হাজার রোগীই মারা যান। দেরিতে রোগ ধরা পড়া, সঠিক ও পুরো চিকিৎসা না নেয়া বা সুযোগ না থাকা, চিকিৎসা-পরবর্তী ফলোআপ না হওয়া স্তন ক্যান্সারের অন্যতম কারণ।
তিনি বলেন, স্তন ক্যান্সার হওয়ার জন্য সবচেয়ে বেশি দায়ী হচ্ছে সন্তানকে বুকের দুধ না খাওয়ানো। তাই সন্তানকে নিয়মিত বুকের দুধ খাওয়ানোর জন্য সব মায়ের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
ডা. রাসকিন বলেন, নিঃসন্তান নারীদের স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বেশি। এ ছাড়া বেশি বয়সে সন্তান, ৩০ বছর বয়সের পর বিয়ে ও প্রথম সন্তানের মা হওয়া স্তন ক্যান্সারের ঝুঁকি বাড়ায়। শাকসবজি ও ফলমূল না খেয়ে চর্বি ও প্রাণীজ আমিষ জাতীয় খাবার বেশি খেলে স্তন ক্যান্সার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডা. এনামুর রহমান বলেন, দেশে স্তন ক্যান্সারের যে ব্যাপকতা রয়েছে,জনসচেতনতা বাড়ানোর কোনো বিকল্প নেই। প্রাথমিক অবস্থায় এটা নির্ণয়ের জন্য স্ক্রিনিং কর্মসূচি জনগণের নাগালের মধ্যে নেয়া প্রয়োজন। সরকার এরই মধ্যে ৮টি বিভাগীয় শহরে পূর্ণাঙ্গ ক্যান্সার চিকিৎসা কেন্দ্র স্থাপনের জন্য ২৩শ’ কোটি টাকার প্রকল্প একনেকে অনুমোদন দিয়েছে। এই প্রকল্প বাস্তাবায়িত হলে নতুন ক্যান্সার কেন্দ্রগুলোর মাধ্যমে চিকিৎসার পাশাপাশি সচেতনতা ও স্ক্রিনিং মানুষের নাগালের মধ্যে আসবে।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ডিআরইউ সভাপতি ইলিয়াস হোসেন। ডিআরইউ কল্যাণ সম্পাদক কাওসার আজমের সঞ্চালনায় হেল্থ ক্যাম্পে মূল আলোচক ছিলেন অধ্যাপক ডা. মো. হাবিবুল্লাহ তালুকদার রাসকিন। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ডিআরইউ সাধারণ সম্পাদক কবির আহমেদ খান।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন- কমিউনিটি মেডিকেল কলেজের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক ডা. সারিয়া তাসনিম, সার্জিক্যাল অনকোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. মো. হাসানুজ্জামান, ডিআরইউ’র অর্থ সম্পাদক জিয়াউল হক সবুজ, সাংগঠনিক সম্পাদক আফজাল বারী, সাংস্কৃতিক সম্পাদক এমদাদুল হক খান, আপ্যায়ন সম্পাদক এইচ এম আকতার, কার্যনির্বাহী সদস্য খালিদ সাইফুল্লাহ, মোহাম্মদ নঈমুদ্দীন ও রাশেদুল ইসলাম।