কমলনগরে ভূমিহীনদের আশ্রয়স্থলে অগ্নিসংযোগ
কমলনগর (লক্ষ্মীপুর) প্রতিনিধি : যেখানে মাথা গোঁজার জায়গাটুকু পর্যন্ত নেই। থাকে সরকারী আশ্রয়কেন্দ্র গুচ্ছগ্রামের ছোট ছোট কিছু ঘরে। সেই ছোট ছোট আশ্রয়টুকু আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেলে আর কি বা থাকে। এমনটাই ঘটেছে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর কাদিরা আশ্রয়স্থল গুচ্ছগ্রামের। পুড়ে ছাই হয়ে গেছে আট টি পরিবারের শেষ সম্বল। রবিবার রাত ১২ টার দিকে এমন ভয়াবহ অগ্নি সংযোগ ঘটে।
ক্ষতিগ্রস্থের শিকার হয়েছে, অসহায় আবুল কালাম, মফিজুর রহমান, ইদ্রিস আলী, ফাতেমা বেগমসহ আটজনের পরিবার। এরা সবাই পরিবারে প্রদানের দায়িত্ব পালন করেন। এরা জানান, পরনের কাপড় ছাড়া আর কিছু অবশিষ্ট থাকলো না। সবি পুড়ে ছাই।
দৈনিক দিনকাল পত্রিকার প্রতিনিধি মোখলেছুর রহমান ধনু জানান, তার গ্রামের বাড়ির পাশে অবস্থিত গুচ্ছগ্রাম। হঠাৎ ভয়াবহ এ অগ্নিকাণ্ডে মুহুর্তে ছড়িয়ে পড়ে আগুনের লেলিহান শিখা। চোখের সামনে অসহায় দু:স্থ্য ৮ টি পরিবারের ঘর আগুনে পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
ফায়ার সার্ভিসের ইউনিট প্রধান নুর আলম জানান,
অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে প্রায় দু’ঘন্টা অভিযান চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে সক্ষম হই। অগ্নি সংযোগের কারণ ও ক্ষতির পরিমাণ তদন্ত সাপেক্ষে জানা যাবে। প্রাথমিক ধারণা অগ্নিসংযোগ বৈদ্যুতিক সার্কিট থেকে হতে পারে।
উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেজবাহ্ উদ্দিন আহমেদ বাপ্পী জানান, আগুনে ক্ষতিগ্রস্তদের আপাতত থাকা ও খাওয়ার প্রাথমিক ব্যবস্থা করা হয়েছে। পরবর্তি ব্যবস্থা নেয়া হবে কিভাবে ক্ষতিগ্রস্তদের পুড়ে যাওয়া আশ্রয়স্থল নির্মান করা যায়। জেলা ডিসি মহোদয়ের ১০ হাজার টাকার অনুদান সবার হাতে পৌছানো হয়েছে।
উপজেলা নিবার্হী কর্মকর্তা কামরুজ্জামান জানান, অগ্নিকান্ডের খবর পেয়ে রাতেই ঘটনাস্থলে ছুটে যাই। ফায়ার সার্ভিস সদস্যদের সাথে থেকে প্রায় দু’ঘন্টা পর আগুন নিয়ন্ত্রণে সক্ষম হয়েছি। ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে অনত্র্য সরিয়ে নিয়ে সাময়িক থাকার ব্যাবস্থা করা হয়েছে। ভোর রাতে সেহরির খাওয়ার ব্যাবস্থা করা সহ শুকনো খাবার বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়া প্রতি পরিবারকে ডিসি মহোদয়ের দেওয়া নগদ ১০ হাজার টাকার অনুদান পৌঁছে দেওয়া হয়েছে।