সোমবার, ১৯ এপ্রিল ২০২১
প্রথম পাতা » » স্থগিত নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ ও অনুদান বিতরণ করা যাবে
স্থগিত নির্বাচনী এলাকায় ত্রাণ ও অনুদান বিতরণ করা যাবে
করোনাভাইরাসের সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় দেশের সব ধরনের নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গত ১১ এপ্রিল ৩৭১টি ইউপি এবং দুটি উপজেলায় ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচনসহ সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের ১১ নং ওয়ার্ডের নির্বাচন স্থগিত করে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানটি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর এসব এলাকায় নতুন ভিজিডি কার্ড ইস্যুসহ অনুদান ও ত্রাণ কার্যক্রমে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছিল ইসি। কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় সেই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
সম্প্রতি ইসির নির্বাচন পরিচালনা শাখার উপসচিব খোরশেদ আলম স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত একটি আদেশ জারি করা হয়েছে। সোমবার (১৯ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ইসির ইসির যুগ্মসচিব এসএম আসাদুজ্জামান।
ইসির উপসচিব খোরশেদ আলম জানান, গত ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ১৯টি জেলার ৬৪টি উপজেলার ৩৭১টি ইউনিয়ন পরিষদের সাধারণ নির্বাচন হওয়ার কথা ছিল। এদিন সিলেটের ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলা পরিষদের মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ও কুড়িগ্রাম জেলার চিলমারী উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যানের শূন্য পদে উপনির্বাচন এবং সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের ১১ নং সাধারণ ওয়ার্ডের শূন্য সদস্য পদে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। নির্বাচন স্থগিতকালীন সরকারি ভিজিডি কার্ড ইস্যু কার্যক্রমসহ নতুন ধরনের কোনো প্রকার অনুদান ও ত্রাণ বিতরণ কার্যক্রম সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সিদ্ধান্ত অনুসারে পরিচালনার ঘোষণা দেয় ইসি। কিন্তু নির্বাচন স্থগিত হওয়ায় ওই ঘোষণা প্রত্যাহার করা হয়েছে।
ইসি জানায়, গত ১১ এপ্রিল প্রথম ধাপে ৩৭১ ইউনিয়ন পরিষদে ভোটগ্রহণের কথা ছিল নির্বাচন কমিশনের। কিন্তু করোনাভাইরাস সংক্রমণ বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করা হয়। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে নির্বাচনের কার্যক্রম পুনরায় শুরু করা হবে।
উল্লেখ্য, দেশের প্রায় সাড়ে চার হাজার ইউনিয়ন পরিষদ রয়েছে। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২২ মার্চ থেকে জুনের মধ্যে ছয় ধাপে ইউপি ভোট হয়। ওই বছর ইউপি নির্বাচনে ৭৬.৬৬ শতাংশ ভোট পড়েছিল চেয়ারম্যান পদে। ২২০ ইউপিতে চেয়ারম্যান পদে বিনাভোটে নির্বাচিত হন প্রার্থীরা।