টিপস পারফিউমের আদবকেতা
সুগন্ধি ব্যবহারের আদবকেতা আবার কী? আছে আছে! ঠিকঠাক সুগন্ধি ব্যবহারে যেমন ব্যক্তিত্ব ফুটে ওঠে, অন্যদিকে ভুলভাল ব্যবহারে হয়ে যেতে পারো অন্যের বিরক্তির কারণ। লিখেছেন জুবায়ের আহম্মেদ
বড় মামার বিয়েতে যাবে জাবেদ। গাঢ় একটা সুগন্ধি ব্যবহার করে ও। কিন্তু ভুল করে আনমনে চেপে ধরে রাখল অনেকক্ষণ। একটু পরই বুঝতে পারল, বেশি সুগন্ধি মানেই আনন্দদায়ক নয়। রীতিমতো অসহ্য ঠেকল নাকে। বদলাতে হলো শখের জামাটা।
♦ স্থান ও পরিবেশ বুঝে সুগন্ধি নির্বাচন করো। কোথাও যাওয়ার আগে জায়গাটা সম্পর্কে জেনে নাও। সেখানে যদি সুগন্ধি ব্যবহার আদৌ প্রয়োজন হয় তো, ব্যবহার করো। অতিরিক্ত ব্যবহারেই বিপদ। এতে অন্যের সমস্যা, এমনকি অনেকে অসুস্থও হয়ে যেতে পারে।
♦ বদ্ধ পরিবেশ হলে কম সুগন্ধি ব্যবহার করবে। খোলা পরিবেশে একটু বেশি হলে ক্ষতি নেই। তবে ক্লাসে যেতে কড়া সুগন্ধি ব্যবহার মোটেও করবে না। দরকার হলে শুধু হাতের কবজি, কানের পেছনে ও গলায় ব্যবহার করতে পারো। এতে ঘ্রাণটা দীর্ঘস্থায়ী হয়।
♦ যাদের শরীর বেশি ঘামে, তারা ঘামানো অবস্থায় সুগন্ধি ব্যবহার করতে যেয়ো না। ঘামের দুর্গন্ধ দূর করতে পারফিউমের চেয়ে ডিওডরেন্টই বেশি কার্যকর।
♦ শুষ্ক দেহ থেকে তৈলাক্ত দেহে সুগন্ধি বেশি স্থায়ী হয়। তাই যাদের ত্বক শুকনো, তারা সুগন্ধি ব্যবহারের আগে ক্রিম বা লোশন ব্যবহার করো।
♦ বাইরে গেলে বের হওয়ার কিছুক্ষণ আগে পারফিউম ব্যবহার করতে হয়। এতে পারফিউমটা একটু জেঁকে বসার সময় পায়।
♦ কিছু কিছু কাপড় আছে সুগন্ধিতে স্পর্শকাতর। সেসবে সরাসরি স্প্রে করতে যেয়ো না। এতে শখের জামাটাই নষ্ট হতে পারে। আর কোনো ধরনের গয়না থাকলে তার ওপরও স্প্রে করা বারণ।
♦ গরমে গাঢ় আর শীতে হালকা সুগন্ধি বেশি স্থায়ী হয়।