ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধে রসুন
স্বাস্থ্য ডেস্ক-
করোনা ভাইরাস আতঙ্কে না ভুগে বাড়িয়ে তুলতে হবে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। সেজন্য প্রতিদিনের ডায়েটে রসুন রাখতে পারেন। রসুনের রয়েছে নানা পুষ্টিগুণ। শরীর ভাল রাখা ছাড়াও বিশেষ কিছু রোগ নিয়ন্ত্রণে রাখার ক্ষেত্রে রসুন প্রায় বিকল্পহীন। এতে রয়েছে ফসফরাস, পটাশিয়াম, ম্যাগনেসিয়াম, জিংক, ক্যালসিয়াম এবং আয়রনের মতো খনিজ উপাদান। রসুনে বিভিন্ন রকমের স্বাস্থ্য উপকারিতাও রয়েছে। ঠাণ্ডাজনিত ফ্লু প্রতিরোধে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে রসুন বেশ কার্যকরী।
তাই অনেকেই রসুন খেয়ে থাকেন। কেউ কেউ কাঁচা খান আবার কেউ রান্নাতে পরিমাণে বেশি দিয়ে খান। কিন্তু বিশেষজ্ঞদের মত হচ্ছে, রসুন খেতে হবে পরিমাণ মতো, আর রসুন রান্না করলে পুষ্টিগুণ নষ্ট হয়ে যায়।
ঠাণ্ডা ও ফ্লু প্রতিরোধ করে: গবেষণায় দেখা গেছে- রসুন কেবল অসুখই প্রতিরোধ করে না, এটি বিভিন্ন রোগের উপসর্গও কমায়। অনেকেই প্রায়ই সর্দি এবং ফ্লু আক্রান্ত হন। নিয়মিত রসুন খেলে এই অসুস্থতা থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: রসুনে থাকা উপাদান জীবাণু প্রতিরোধ করে এবং রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। রসুনে থাকা সালফার শরীরের শ্বেত রক্ত কণিকার সঙ্গে ভাইরাসের সংযোগ ঘটতে দেয় না। এর ফলে সর্দি এবং ফ্লু সহজে আক্রান্ত করতে পারে না।
প্রতিদিন রসুন খাওয়া: অন্তত দু-এক কোয়া রসুন প্রতিদিন খাওয়া উচিত। এর চেয়ে বেশি পরিমাণে রসুন খেতে হলে চিকিৎসক এবং ডায়াটিশিয়ানের পরামর্শ নেওয়া অবশ্যই জরুরি।
অন্যান্য উপকারিতা: রসুন উচ্চ রক্তচাপ কমাতে তাৎপর্য ভূমিকা রাখে। এটি শরীরে কোলস্টেরলের মাত্রা ঠিক রাখে। হৃদরোগের ঝুঁকি কমায়।
পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া: রসুনের কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া রয়েছে। অতিরিক্ত রসুন খেলে পাকস্থলীতে জ্বালাপোড়া এবং প্রদাহপূর্ণ রোগ দেখা দিতে পারে। এছাড়াও অতিমাত্রায় রসুন খেলে শরীর গরম হয় এবং ত্বকে র্যাশ দেখা দিতে পারে।
সতর্কতা: অ্যাজমা রোগী এবং গর্ভবতী নারীদের রসুন খাওয়া উচিত নয়। সার্জারি এবং অপারেশনের আগে রোগীর রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকা উচিত। এছাড়া অতিরিক্ত রসুন খাওয়া থেকে বিরত থাকুন।
তাই করোনা মৌসুমে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে এবং শরীর ভাল রাখতে অল্প পরিমাণে রসুন হতেই পারে আপনার নিত্যসঙ্গী।