নিজেকে যেন কুড়িতেই আটকে রেখেছেন
বিনোদন প্রতিবেদক-
পদ্মাপাড়ের নায়িকা হয়ে গঙ্গার ওপারেও অভিনয়ে ঝড় তুলেন তিনি। অভিনয়ে যেন এক অনন্য নাম জয়া আহসান। মডেলিং, নাটক ও সিনেমা সব অঙ্গনেই যেন সাফল্যের নায়ক তিনি। একের এক পর চমক দেখিয়ে চলেছেন বৈচিত্রময় চরিত্রে। ঢাকার পাশাপাশি তার অভিনয়ের মায়ায় বাঁধা পড়েছে কলকাতার সিনেমার দর্শকও। মুগ্ধতা ছড়িয়ে চলেছেন অনায়াসে।
আজ বুধবার এই নায়িকার জন্মদিন। দিনে দিনে বয়স বাড়ছে ঠিকই কিন্তু তার মুখে বয়স বাড়ার সেই ছাপ আজও খুঁজে পাননি কোন দর্শক। যেন নিজেকে কুড়িতেই আটকে রেখেছেন সংখ্যায় গুনে। জীবনের সুন্দর এই দিনটিতে বন্ধু-সহকর্মীদের শুভেচ্ছা ও ভালোবাসায় ভাসছেন জয়া।
জয়াকে নিয়ে ফেসবুকে লিখছেন তার ভক্তরা। সে তালিকায় আছেন দুই বাংলার অনেক তারকারাও। এদিকে জয়ার ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করে সেখানেও অভিনেত্রীকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে।
গোপালগঞ্জের মেয়ে জয়া আহসান। তার বাবা মুক্তিযোদ্ধা এ এস মাসউদ এবং মা রেহানা মাসউদ ছিলেন একজন শিক্ষিকা। তারা দুই বোন এক ভাই। অভিনয় শুরুর আগে জয়া নাচ ও গানের প্রতি আকৃষ্ট ছিলেন।
শোবিজে জয়া আহসানের নানামুখী সাফল্যে সবচেয়ে উজ্জ্বল সিনেমার ক্যারিয়ার। সেই ২০০৪ সালে মোস্তফা সরয়ার ফারুকী পরিচালিত ‘ব্যাচেলর’ সিনেমার মধ্য দিয়ে সিনেমায় যাত্রা শুরু তার। দিনে দিনে ক্যারিয়ারে যোগ করেছেন অনেক সফল ও প্রশংসিত সিনেমা।
তিনি প্রথম বাংলাদেশি ‘ফিল্ম ফেয়ার অ্যাওয়ার্ড’ পাওয়া অভিনেত্রী। দেশের হয়েও জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার জয় করেছেন জয়া আহসান। প্রথম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার লাভ করেন ২০১১ সালে নাসির উদ্দিন ইউসুফ পরিচালিত ‘গেরিলা’ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য। এরপর ‘চোরাবালি’, ‘জিরো ডিগ্রি’ ও ‘দেবী’র জন্যও বাংলাদেশের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরষ্কার পেয়েছেন জয়া।
বাংলাদেশের সিনেমা ছাড়াও কলকাতার বাংলা সিনেমায় জয়া বেশ জনপ্রিয়। ভারতীয় সিনেমার মধ্যে ‘আবর্ত’, ‘বিসর্জন’, ‘রাজকাহিনী’, ‘ঈগলের চোখ’, ‘ক্রিসক্রস’ ও ‘কণ্ঠ’ তার অভিনীত উল্লেখযোগ্য সিনেমা।
মাহমুদ দিদার পরিচালিত ‘বিউটি সার্কাস’সহ জয়া অভিনীত বেশকয়েকটি সিনেমা মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে।
আইএন