সোমবার, ১৫ জুন ২০২০
প্রথম পাতা » » স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে লকডাউন তুলতে হবে
স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করে লকডাউন তুলতে হবে
করোনাভাইরাস সংক্রমণ রোধে দেশে অঘোষিত লকডাউন চলছে। অবশ্য জনসাধারণের অসুবিধার কথা চিন্তা করে ইতোমধ্যে কিছু নিয়ম শিথিল করা হয়েছে। তবে লকডাউন তুলতে হলে স্বাস্থ্যবিধির সঙ্গে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করার পক্ষে মত দিয়েছেন অভিজ্ঞজনেরা।
বৃহস্পতিবার (৩০ এপ্রিল) বিকেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের (বিএসএমএমইউ) সহকারী অধ্যাপক ডা. মো. আতিকুল হক বলেন, ‘‘চাইলেই লকডাউন শিথিল করা ঠিক হবে ন। ভাইরাসটি দুর্বল না হওয়া পর্যন্ত অনেক কিছু মেনে চলতে হবে। মানুষের অবাধ চলাচলে যেকোনো সময় ভাইরাসের বিস্তার বৃদ্ধি পাবে। ভাইরাসটি অত্যন্ত ছোঁয়াচে।’’
জনগণকে সতর্ক করে ডা. আতিকুল হক আরও বলেন, ‘‘জ্বর, কাশি, গলাব্যথা না হলে যে আপনি আক্রান্ত নন, তা বলা যাবে না। ভাইরাসটি যেকোনো সময় ভয়ঙ্কর রূপ নেয়। যেটা ইতোমধ্যে মেডিকেল সায়েন্স পরিষ্কার করেছে।’’
লকডাইন তোলা হলে- ঠিকমতো হাত পরিষ্কার, মাস্ক ব্যবহার, সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখা নিশ্চিত করার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, না হলে চরম মূল্যও দিতে হতে পারে।
আর ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের মুখপাত্র মাসুদুর রহমান রাইজিংবিডিকে বলেন, ‘‘এক মাসে ভাইরাসটি কীভাবে মোকাবিলা করতে হবে তার অনেক কিছু শিখেছি আমরা। বিশেষ করে পুলিশের পক্ষ থেকে মানুষকে সচেতন করা, ঘর পর্যন্ত খাবার পৌঁছে দেওয়া ইত্যাদি। ছুটি শেষে সব কিছু স্বাভাবিক হলেও পুলিশ আগের মতো সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে যে কাজ করেছে, তা অব্যাহত রাখবে।’’
এ জন্য সবাইকেও এগিয়ে আসতে হবে বলে জানান তিনি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ছুটি শেষ কিংবা বিধিনিষেধ শিথিল হলেও ভাইরাসের সংক্রমণ রোধে থানা পুলিশ সার্বক্ষণিক কাজ করবে। বিশেষ করে রাস্তায়, বাজার, শপিংমল, বাস, ট্রেন, লঞ্চঘাট, বিমানবন্দর, সীমান্তসহ যেসব স্থাসে জনসমাগম হয়, সেখানে সামাজিক দূরত্ব নিশ্চিত করা হবে।