বেনাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরু
দেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল দিয়ে আমদানি-রপ্তানি শুরুর সিদ্ধান্ত হয়েছে। বুধবার দুই দেশের সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের নেতারা বৃহস্পতিবার থেকে আমদানি-রপ্তানি শুরুর এই সিদ্ধান্ত নেন।
জানা যায়, করোনাভাইরাস মহামারীর মধ্যে রোজার মাসে নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
বেনাপোল শুল্কভবনের কমিশনার বেলাল হোসাইন চৌধুরী জানান, তারা তাদের বন্দর স্বাভাবিক সময়ের মতই পূর্ণ পরিসরে খোলা রেখেছেন। তারা সব সময়ই প্রস্তুত রয়েছেন।
স্বাস্থ্যবিধি মেনে সতর্কতার সঙ্গে কাজ চালাতে চেষ্টা করা হবে বলে তিনি জানান।
এর আগে, বুধবার দুপুরে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দরের শূন্যরেখায় (নোম্যান্সল্যান্ড) সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্য পুনরায় সচলের জন্য দুই দেশের প্রতিনিধিদের মধ্যে বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে বেনাপোল বন্দরের পক্ষে নেতৃত্ব দেন আমদানি, রপ্তানি সমিতির সহ-সভাপতি আমিনুল হক, সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশনের সহসভাপতি কামাল উদ্দীন শিমুল ও সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ এজেন্ট ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক সাজেদুর রহমান।
ভারতের পক্ষে ছিলেন, পেট্রাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক কার্তিক চক্রবর্তী ও আমদানি-রপ্তানি সমিতির সভাপতি পরিতোষ বিশ্বাস।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ী নেতারা আলোচনায় বলেন, পেট্রাপোল বন্দরে যে সমস্ত ওষুধ শিল্পের কাঁচামাল, ইন্ডাস্ট্রিয়াল ও গার্মেন্টস সামগ্রী আছে সেগুলো প্রবেশে যেন পেট্রাপোল বন্দর কর্তৃপক্ষ প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করে। জরুরি এসব পণ্যে প্রবেশে অনুমতি না দিলে কাঁচামালের গুণগত মান নষ্ট ও জরুরি এসব পণ্যের সংকট তৈরি হবে বলে জানান ব্যবসায়ীরা।
বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের দাবির বিপরীতে ভারতীয় ব্যবসায়ীরা নেতারা বলেন, যেহেতু পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি এখনো নিয়ন্ত্রণে আসেনি তাই বেনাপোল বন্দর অভ্যন্তরে গিয়ে আপাতত পণ্য খালাস তাদের পক্ষে সম্ভব না। তবে এ অবস্থায় বেনাপোল-পেট্রাপোল চেকপোস্ট শূন্য রেখায় স্বল্প পরিসরে ট্রাক থেকে ট্রাক জরুরি পণ্যগুলো খালাস করা যেতে পারে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে তখন সব পণ্য বেনাপোল বন্দরে পাঠানো হবে।