রবিবার, ৮ মার্চ ২০২০
প্রথম পাতা » » করোনাভাইরাসের লক্ষণ
করোনাভাইরাসের লক্ষণ
বিশেষ প্রতিবেদন : করোনা ভাইরাস একটি মরণব্যাধি রোগ। চীন থেকে এ ভাইরাসের উৎপত্তি হয়। চীনে মহামারি আকার ধারণ করেছে। এ পর্যন্ত প্রায় ৪-৫ হাজার মানুষ প্রান হারিয়েছেন। আক্রান্ত রোগীর তালিকায় রয়েছে প্রায় ৩ লক্ষ্যাধিক। বিশ্বের ১০৪ টি দেশে এ রোগ দেখা দিয়েছে।
বাংলাদেশেও এ রোগে আক্রান্ত রুগি পাওয়া গেছে। প্রতিনিয়ত বাংলাদেশ এ রোগের ঝুঁকিতে রয়েছে। এ রোগ দেখা দিলে রুগি থেকে পরিবার পরিজন আলাদা হয়ে যায়। কারণ এটি ছোঁয়াছে রোগ থেকেও মারাত্মক। এ রোগ দেখা দিলে রুগিকে সাথে সাথে পরিবার থেকে আলাদা করে পেলতে হবে।
আসুন জেনে নেই :
এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ
সাধারণ জ্বরের সাথে শুকনো কাশি হয়। জ্বর ও কাশির এক সাপ্তাহের মধ্যে শ্বাস কষ্ট দেখা দিবে। এবং আস্তে আস্তে শ্বাস কষ্ট বেড়ে গিয়ে মৃত্যুর দিকে ঢেলে পড়বে। করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীদের মধ্যে হালকা ঠান্ডা লাগা থেকে শুরু করে মৃত্যুর সব উপসর্গ দেখা দিতে পারে। এ রোগ দেখা দিলে রোগির কাছ থেকে সবাইকে আলাদা করে পেলতে হবে। না হলে আশেপাশে থাকা লোকজনেও এটা হতে পারে। এসব লক্ষণ দেখা দিলে রোগীকে হাসপাতালে নেওয়ার প্রয়োজন হয়ে পড়ে।
জ্বর, কাশি, শ্বাস প্রশ্বাসের সমস্যাই মূলত করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের প্রধান লক্ষ্মণ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, এই ভাইরাসে আক্রান্ত ব্যক্তির লক্ষণ প্রকাশ পেতে ১৪ দিন পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। এটাকে ইনকিউবেশন পিরিয়ড বলা হয়ে থাকে। অর্থাৎ রোগীর লক্ষণ প্রকাশের আগে এই ভাইরাস ব্যক্তির শরীরে এ সময় পর্যন্ত সুপ্ত অবস্থায় থাকতে পারে।
তবে এ রোগ থেকে রক্ষার একমাত্র মাধ্যম রুগিকে সবার কাছ থেকে আলাদা রাখা।
এখন পর্যন্ত করোনা ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কৃত হয়নি।তবে এর টিকা আবিষ্কারে পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে। আশা করা হচ্ছে,চলতি বছরের শেষের দিকে এই টিকা মানুষের শরীরে পরীক্ষামূলকভাবে প্রয়োগ করা যাবে।
ভাইরাস থেকে বাঁচতে যা যা করতে হবে:
১. আক্রান্ত ব্যক্তি হতে কমপক্ষে দুই হাত দূরে থাকতে হবে।
২. বারবার প্রয়োজন মতো সাবান পানি দিয়ে হাত ধুয়ে ফেলা, বিশেষ করে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে এলে কিংবা সংক্রমণস্থলে ভ্রমণ না করা ।
৩. জীবিত অথবা মৃত গৃহপালিত/বন্যপ্রাণী থেকে দূরে থাকা।
৪. ভ্রমণ কারীগণ আক্রান্ত হলে কাশি শিষ্টাচার অনুশীলন করতে হবে (আক্রান্ত ব্যক্তি হতে দূরত্ব বজায় রাখা, হাঁচি-কাশির সময় মুখ ঢেকে রাখা, হাত ধোয়া, যেখানে-সেখানে কফ কাশি না ফেলা)।
৫. হ্যান্ডশেক এবং কোলাকুলির মাধ্যমেও করোনা ভাইরাস ছড়াতে পারে। এজন্য হ্যান্ডশেক এবং কোলাকুলির না করার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
এছাড়াও করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে প্রতিদিন বাড়ি-ঘর ভালো মতো পরিষ্কার করাও জরুরি।
আসুন জেনে নেওয়া যাক এমন পাঁচটি স্বাস্থ্য উপকরণের কথা যেগুলো আপনার ঘরে থাকাটা জরুরি।
১. জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ :
করোনা ভাইরাস প্রতিরোধে বাসায় জীবাণু নাশক হ্যান্ডওয়াশ রাখা জরুরি। প্রতিবার খাবার রান্না বা তৈরি করার আগে ও পরে, খাবার খাওয়ার আগে ও পরে, বাথরুম ব্যবহারের আগে ও পরে, বাইরে থেকে বাসায় আসার সঙ্গে সঙ্গেই জীবাণু নাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধুতে হবে। এসব কাজ ছাড়াও জীবাণুনাশক হ্যান্ডওয়াশ দিয়ে হাত ধোয়ার প্রয়োজনীয়তা পড়তে পারে বারবার।
২. জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে :
রান্নাঘরের পরিবেশ স্বাস্থ্যকর রাখতে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার জরুরি। খাবার তৈরির আগে ও পরে জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে ব্যবহার করে রান্নাঘর পরিষ্কার করুন। যাতে কোনো রোগজীবাণু খাবারে ঢুকতে না পারে। রান্নাঘর ছাড়াও বাথরুম, লিভিং রুম, ডাইনিং রুম এবং বেডরুমও পরিষ্কার করুন জীবাণুনাশক ক্লিনিং স্প্রে দিয়ে।
৩. রাবার গ্লাভস :
হাড়ি-পাতিল ধোয়া, টয়লেট পরিষ্কার বা ধুলা-ময়লা পরিষ্কার করা মতো গৃহস্থালি কাজের জন্য রাবার গ্লাভস ব্যবহার করুন।
৪. বক্সড টিস্যু :
বাড়ির প্রতিটি ঘরে টিস্যু রাখুন। যাতে কাশি বা হাঁচির সময় হাত বাড়ালেই টিস্যু পাওয়া যায়।
৫. ভেজা টিস্যু, হান্ড স্যানিটাইজার এবং পকেট টিস্যু
জীবাণুনাশক ভেজা টিস্যু এবং স্যানিটাইজার ঘরে বা বাইরেও ব্যবহার করা যায়। যখন সাবান বা পানি পাওয়া যাবে না তখন এসব ব্যবহার করে জীবাণুর আক্রমণ প্রতিরোধ করা সম্ভব।
নিচের নাম্বারগুলোতে যোগাযোগ করে জেনে নিন করোনায় আক্রান্ত হওয়া লক্ষণ ও প্রতিকার - ০১৯২৭-৭১১৭৮৪, ০১৯২৭-৭১১৭৮৫, ০১৯৩৭-০০০০১১, ০১৯৩৭-১১০০১১
খোলাডাক / এন এন