দিল্লিতে অস্থির পরিস্থিতি
ভারতে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইনকে (সিএএ) কেন্দ্র করে সংঘর্ষে উত্তর-পূর্ব দিল্লিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে ৩৪ জনে পৌঁছেছে। আহত দুই শতাধিকেরও বেশি। টানা ৪দিন ধরে চলতে থাকা সংঘর্ষের ঘটনায় বুধবার সন্ধ্যা থেকে অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয় দিল্লির ভজনপুরা, মৌজপুর, কারাওয়ালনগরে। যেকোন মূহুর্তে ফের সংঘর্ষ হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের তথ্য মতে, দিল্লির সহিংসতাকে মুসলিম সম্প্রদায়ের ওপর পরিকল্পিত হামলা বলে উল্লেখ করেছেন। দিল্লির এমন পরিস্থিতিতে ভয়াবহ আতঙ্কে রয়েছেন সংখ্যালঘু মুসলিমরা।
গত কয়েকদিনের ভয়াবহ সহিংসতায় সংখ্যালঘু মুসলিমনদের বহু ঘরবাড়ি, দোকানপাট ও ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পুড়েছে আগুনে। বাদ যায়নি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান মসজিদগুলোও। এক মসজিদে আগুন লাগিয়ে তার মিনারে গেরুয়া পতাকা উত্তোলন করেছে চরমপন্থি হিন্দুরা।
এ ঘটনায় অনেকেই ভয়ে বিভিন্ন যায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন। তাদের মধ্যে মুর্শিদাবাদের নওদার ১১ জন বাসিন্দাকে উদ্ধার করেছেন দেশটির কংগ্রেস সাংসদ অধীর চৌধুরী।
জানা গেছে, উত্তর-পূর্ব দিল্লির গন্ডা নামে একটা জায়গায় হিংসার জেরে আটকে পড়েছিলেন নওদার ১১ জন। সহিংসতার জেরে টানা ৩ দিন না খেয়ে ছিলেন তারা। খবর পেয়েই তাদের উদ্ধারে উদ্যোগী হন মুর্শিদাবাদের বহরমপুরের সাংসদ অধীর চৌধুরী। এরপর পুলিশ দিয়ে ওই ১১ জনকে উদ্ধার করে। তারপর রাতের ট্রেনে তাদেরকে কলকাতা পাঠিয়ে দেওয়া হয়।
অন্যদিকে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল শান্তি ফেরানোর আহবান জানিয়ে তিনি বলেন, এই হিংসা থেকে হিন্দু বা মুসলমান, কারওই কোনও ফায়দা হবে না। কেজরিওয়াল বলেন, ‘দিল্লির কাছে এখন দু’টো অপশন রয়েছে। হয় মানুষ একজোট হয়ে পরিস্থিতির উন্নতি ঘটাতে সাহায্য করুক। অথবা একে অপরকে আঘাত করে হত্যা করুক।’
তিনি পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সেনা মোতায়েন করার আহবান জানালেও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এখনও পর্যন্ত তাতে সম্মত হয়নি। কংগ্রেস সভাপতি সনিয়া গান্ধি অমিত শাহকে আক্রমণ করে বলেন, এই হিংসার দায় নিয়ে পদত্যাগ করুন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। পাশাপাশি অরবিন্দ কেজরিওয়ালকেও আক্রমণ করেন তিনি।
খোলাডাক / এসএসবি