শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০১৯
প্রথম পাতা » » লাগাতার ধর্মঘটে অচল বুয়েট, ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চিত
লাগাতার ধর্মঘটে অচল বুয়েট, ভর্তি পরীক্ষা অনিশ্চিত
অনলাইন ডেস্ক
বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বিক্ষোভে উত্তাল ক্যাম্পাস। এ অবস্থায় বুয়েটে ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা। আগামী ১৪ অক্টোবর এ পরীক্ষা হওয়ার কথা ছিলো।
বুয়েট শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এ কে এম মাসুদ জানান, শুক্রবার বিকেলে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বুয়েট উপাচার্য অধ্যাপক সাইফুল ইসলামের বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে। বৈঠকের ওপরই ওপর নির্ভর করছে আগামী সোমবারের ওই ভর্তি পরীক্ষাটি হবে কিনা।
বুয়েট প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করার কথা থাকলেও দুর্গাপূজার কারণে তারিখ পিছিয়ে দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বুয়েট প্রশাসন। পরে তা ১৪ অক্টোবর পরীক্ষার নতুন তারিখ ঘোষণা করা হয়। ইতোমধ্যে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে প্রশাসন।
গত রোববার আবরার ফাহাদকে হলের মধ্যে পিটিয়ে হত্যা করে ক্ষমতাসীন দল আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠন ছাত্রলীগের বুয়েট শাখার নেতারা। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন বুয়েটের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এ ঘটনার জের ধরে লাগাতার আন্দোলনে যুক্ত হন তারা। ১০ দফা দাবি নিয়ে তারা গত চার দিন ধরে আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন বুয়েট শিক্ষার্থীরা । দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তারা।
শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, প্রতিবাদী স্লোগানে কম্পিত হয়ে উঠেছে বুয়েট ক্যাম্পাস। প্রতিদিন সকাল থেকে রাত পর্যন্ত বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করছেন তারা। তাদের আন্দোলনে বুয়েটের শিক্ষক ও সাবেক শিক্ষার্থীরা সমর্থন দিয়ে যাচ্ছেন। এতে করে এ আন্দোলন তীব্র থেকে তীব্রতর হয়ে উঠেছে।
দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত সকল পরীক্ষা ও ক্লাস বর্জন করারও ঘোষণা দিয়েছেন আন্দোলনকারীরা। শুধু তাই নয়, আগামী ১৪ অক্টোবর বুয়েটের ভর্তি পরীক্ষা স্থগিত রাখারও দাবি জানিয়েছেন তারা। এসব কারণে নির্ধারিত সময়ে ভর্তি পরীক্ষা আয়োজন করা বুয়েট প্রশাসনের পক্ষে অসম্ভব হয়ে পড়েছে।
প্রসঙ্গত, আবরার ফাহাদ বুয়েটের তড়িৎ ও ইলেকট্রনিক প্রকৌশল বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের (১৭তম ব্যাচ) ছাত্র ছিলেন। তিনি থাকতেন বুয়েটের শেরেবাংলা হলের নিচতলায় ১০১১ নম্বর কক্ষে। গত রোববার রাত আটটার দিকে তাকে ডেকে নিয়ে যাওয়া হয় একই হলের ২০১১ নম্বর কক্ষে। পরে তাকে পিটিয়ে হত্যা করে ছাত্রলীগের একাধিক নেতা মিলে।
আবরার ফাহাদ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় তার বাবা বরকত উল্লাহ বাদী হয়ে চকবাজার থানায় ১৯ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। এরই মধ্যে পুলিশ ১৬ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। এর মধ্যে ১৩ জনকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।