রবিবার, ১৯ জানুয়ারী ২০২০
প্রথম পাতা » সারাদেশ » চুয়াডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটের ভাটায় : চোখ বন্ধ জেলা প্রশাসনের
চুয়াডাঙ্গায় ফসলি জমির মাটি যাচ্ছে ইটের ভাটায় : চোখ বন্ধ জেলা প্রশাসনের
চুয়াডাঙ্গা প্রতিনিধি : চুয়াডাঙ্গার চারটি উপজেলার মাঠের ফসলি জমির মাটি কেঁটে ইটভাটায় পোড়ানো হচ্ছে। যার ফলে প্রান্তিক কৃষকেরা হারাচ্ছে তাদের ফসলি জমি আন্যদিকে চাষযোগ্য জমিও হারাচ্ছে তার মাটির উর্ব্বরতা। জেলায় এক শ্রেণীর ইটভাটার মাটি ব্যবসায়ীরা কৃষকদের পুকুর খনন করে মাটি বিক্রির প্রলোভন দেখিয়ে এসব ফসলি জমি নষ্ট করছে। তবে মাটি কেঁটে ফসলি জমি নষ্ট হলেও এসব বন্ধে জেলা প্রশাসন কোন ব্যবস্থা নিচ্ছে না। স্থানীয়দের অভিযোগ ।
স্থানীয়রা জানায়, বর্তমানে ইটভাটায় ইট তৈরীর মৌসুমি সময়। জেলার চার উপজেলায় বৈধ অবৈধ মিলে প্রচুর ইটভাটা রয়েছে। এসব ইটভাটা গুলোতে ইট তৈরীর জন্য ইটভাটা মালিকেরা কৃষকের জমির মাটি কেঁটে নিয়ে যায়। গ্রামের কৃষি জমিতে মেশিন দিয়ে দশ ফুটের বেশী গভীর করে চলে মাটি কাটার উৎসব। মাটি ব্যবসায়ীরা অনেক সময় পুকুর খননের নামে মাটি কিনে ইটভাটায় বিক্রি করে। শুধুমাত্র কৃষকের ব্যক্তিগত জমিই নয় ইটভাটায় মাটি ব্যবহারের জন্য খনন করা হচ্ছে সরকারী জমিও।
আলমডাঙ্গা উপজেলার কৃষক বারী শেখ জানান, ফসলি জমির প্রতি বিঘা ৫০ থেকে ৭০ হাজার টাকার বিনিময়ে ৫ থেকে ১০ বছর মেয়াদে চুক্তিনামা করে ফসলি জমিতে পুকুর খনন করে মাটি ব্যবসায়ীরা। কৃষকের জমির সেই মাটি প্রতি গাড়ি (ট্রাক্টর) সাতশ থেকে হাজার টাকায় জেলার বিভিন্ন ইট ভাটায় বিক্রয় করে তারা।
রুহুল অমিন নামের দামুড়হুদা উপজেলার কৃষক জানান মাটি ব্যবসায়ীরা একটি ফসলি জমির মাটির কেটে নিয়ে যাওয়ায় পশের জমির মাটি ধসে পড়ে। যার কারণে পাশের জমির কৃষকের ফসল উৎপাদনে বিভিন্ন সমস্যা হয়। ফলে বাধ্য হয়েই সেই কৃষকও জমির মাটি বিক্রি করে দিচ্ছেন ইটভাটায়।
জেলা প্রশাসক নজরুল ইসলাম সরকার জানান, ফসলী জমিতে মাটি কাঁটা বন্ধে প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এরই মধ্যে অনেক ইটভাটার মালিককে জরিমান সহ অবৈধ ইটভাটা বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। মাটি কাঁটার বিষয়ে সুনিদিষ্ট তথ্য দিলে সাথে সাথে জেলা প্রশাসন ব্যবস্থা নেবে বলেও জানান তিনি।
খোলাডাক/ এমএ