ভালুকায় কলেজছাত্রীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার
ভালুকায় এইচএসসি পড়ুয়া ছাত্রী মুক্তা আক্তার লতা (১৮) নামে এক কলেজছাত্রীসহ তিনজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে।
সোমবার সকালে উপজেলার ধামশুর গ্রাম থেকে কলেজছাত্রীর এবং রোববার রাতে কাশর ও আউলিয়ারচালা গ্রাম থেকে আরও দু’জনের লাশ উদ্ধার করে ভালুকা মডেল থানা পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সোমবার সকালে উপজেলার ধামশুর গ্রামের বোরহান উদ্দিনের মেয়ে ভালুকা ডিগ্রি কলেজের এইচএসসি দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী মুক্তা আক্তার লতা (১৮) বাড়ির একটি পরিত্যক্ত ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় উড়না পেঁচিয়ে আত্মহত্যা করেছে।
এ সময় তা মা পাশের বাড়ি এক মৃত ব্যক্তিকে দেখতে যান। বাবা প্রতিবন্ধী বোরহান উদ্দিন বাড়ির পাশের নিজের চায়ের দোকানে চা বিক্রি করতে যান। বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে সে আত্মহত্যার পথে বেছে নেন। আত্মহত্যার কারণ এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে দরিদ্রতার কারণে পরিবার ও স্থানীয়দের সুপারিশে ময়নাতদন্ত ছাড়াই লাশ দাফন করা হয়।
অপর দিকে রোববার রাতে উপজেলার কাশর গ্রামে অবস্থিত পাইউনিয়র স্পিনিং মিলের শ্রমিক স্থানীয় নাছির উদ্দিনের ভাড়া বাসার গফরগাঁও উপজেলার বরবরা গ্রামের আমজাত আলী ছেলে বিল্লাল হোসেন তার স্ত্রী শম্পার সঙ্গে ঝগড়া করে স্ত্রীর সামনেই ঘরের আড়ার সঙ্গে স্ত্রীর উড়না দিয়ে গলায় ফাঁসিতে আত্মহত্যা করে।
সূত্রে জানা যায়, ঘটনার রাত ৯টার সময় স্ত্রী শম্পা আক্তার বিস্কুট ফ্যাক্টরির কাজ শেষে বাসায় ফেরার পর বিল্লাল শম্পার সঙ্গে ঝগড়া শুরু করে ঘরের ভেতর দিয়ে তালা লাগিয়ে চাবি ঘরের শানসেটের উপরে ছুড়ে ফেলে। বিল্লাল শম্পার হাত-পা বেঁধে মেঝেতে ফেলে দেয়।
এ সময় আলনা থেকে শম্পার উড়না নিয়ে ঘরের আড়ের সঙ্গে ফাঁসি দিয়ে স্ত্রীর সামনেই আত্মহত্যা করে। আত্মহত্যার সময় শম্পা অনেক আকুতি-মিনুতি করে তার স্বামীকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনি। শেষ পর্যন্ত শম্পা ডাক-চিৎকার শুরু করলে আশপাশের লোকজন এসে বাইরের থেকে দরজাও ভাঙতে পরেনি।
এরই মাঝে বিল্লাল মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ে। এ ঘটনায় শম্পা বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা করে।
তা ছাড়াও উপজেলার ডাকাতিয়া ইউনিয়নের আউলিয়াচালা গ্রামের আইনুদ্দিনের ছেলে ফয়েজ উদ্দিন (৬৫) রোববার বিকালে ধানক্ষেতে কীটনাশক দিতে যান। রাতেও ফয়েজ উদ্দিন বাড়িতে না ফেরায় তার ছোট ছেলে আতাউর রহমান রাত ৭টার দিকে তার বাবাকে বাইরে খোঁজতে যান। গিয়ে দেখে ধানক্ষেতের মাঝে ঝুলন্ত অবৈধ বিদ্যুতের তারে স্পৃষ্ট হয়ে তিনি মারা গেছেন। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসে। এ ঘটনায় আনোয়ার হোসেন বাদী হয়ে ভালুকা মডেল থানায় একটি অমৃত্যু মামলা করে।
দুটি লাশই মডেল থানা পুলিশ উদ্ধার করে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল (মমেক)এ প্রেরণ করেছে।