ড্রাইভিং লাইসেন্স করার উপায়–খরচ এবং ধাপসমূহ
খোলাডেক্স : ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়া ড্রাইভিং করা দন্ডনীয় অপরাধ। যারা বাইক বা মোটরসাইকেল ড্রাইভিং করে থাকে তাদের জন্য লাইসেন্স থাকাটা জরূরী। মোটরবাইকের জন্য সেটা আরো জরূরী। ড্রাইভিং লাইসেন্স পাওয়া এখন অনেক সহজ । কিছু সহজ স্টেপ ফলো করে ড্রাইভিং লাইসেন্স করা যায়।
স্টেপ – ১
প্রথমে লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স আবেদন ফর্ম ডাউনলোড করে ৩ কপি স্ট্যাম্প সাইজ ছবি সহ পূরন করতে হবে ।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর্ম ডাউনলোড করতে এখানে ক্লিক করুন
বিআরটিএ তে গিয়ে ব্র্যাক ব্যাংকে ড্রাইভিং লাইসেন্স ফি জমা করতে হবে। যদি একটি ক্যাটাগরীর জন্য আবেদন করা হয় ( গাড়ি অথবা বাইক), সেক্ষেত্রে ফী হচ্ছে ৩৪৫ টাকা। এবং, যদি গাড়ী এবং মোটরসাইকেল একসাথে আবেদন করা হয়, তবে ফী হচ্ছে ৫১৮ টাকা।
ব্যাংক রিসিপ্ট সহ পূরনকৃত ফর্মটি বিআরটিএ তে জমা দিতে হবে ।
স্টেপ – ২
ড্রাইভিং লাইসেন্স এর পরীক্ষাগুলো প্রতি ৩/৬ মাস পর পর হয়। তবে, কেউ যদি চায় তবে কর্তৃপক্ষের সাথে যোগাযোগ করলে পরীক্ষা আগে দিতে পারে। অথবা, ব্রোকার এর সাথে যোগাযোগ করে পরীক্ষা দেয়া যায়।
সাধারনত ৩ দিন এর মধ্যেই লাইসেন্স পাওয়া যায়। এই ৩ দিন এর মধ্যে নন প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর্ম এবং মেডিকেল সার্টিফিকেট কালেক্ট করতে হবে যা এই লাইসেন্স এর সাথে যুক্ত থাকবে।
স্টেপ – ৩
পরীক্ষায় পাশ করার পর ড্রাইভিং লাইসেন্স এর জন্য ২৫৪২ টাকা জমা দিতে হবে ।
জন্ম নিবন্ধন, পাসপোর্ট এর কপি অথবা জাতীয় পরিচয় পত্রের ফটোকপি জমা দিতে হবে ।
লার্নার ড্রাইভিং লাইসেন্স জমা দিতে হবে ।
১ কপি পাসপোর্ট সাইজ ছবি সহ নন প্রফেশনাল ড্রাইভিং লাইসেন্স ফর্ম ফিলাপ করতে হবে।
এবার সব কিছু এক করে বিআরটিএ তে জমা দিতে হবে এবং টোকেন সংগ্রহ করতে হবে ।
বায়োমেট্রিক দেয়ার পর মুল লাইসেন্স পাওয়ার পূর্ব পর্যন্ত টেম্পোরারি লাইসেন্স পাওয়া যাবে।
যখন মুল লাইসেন্স রেডি হয়ে যাবে তখন এসএমএম এর মাধ্যমে জানানো হবে । সাধারনত ৩-৪ মাস সময় লাগে । তারপর টেম্পোরারি লাইসেন্স জমা দিয়ে মূল ড্রাইভিং লাইসেন্স নিতে হবে ।
এই ছিলো মোটরসাইকেল বা গাড়ির ড্রাইভিং লাইসেন্স করার ধাপসমূহ এবং খরচসমূহ। আশা করি যারাই এখনো ড্রাইভিং লাইসেন্স করেননি, তারা ড্রাইভিং লাইসেন্স করে রাস্তায় ড্রাইভ করবেন, এবং যেকোন প্রকার আইনি ঝামেলা থেকে মুক্ত থাকবেন।
খোলাডাক/ এএ