সিঙ্গারা কেন তিন কোণা হয়?
মেহমানদারিতে সিঙ্গারার জুড়ি নেই। বৃষ্টি-বাদলের দিনেও যেমন সিঙ্গারা মুখরোচক। তেমনি শীতের কুয়াশামাখা ক্ষণেও সিঙ্গারা রীতিমতো জমিয়ে দেয়। কিন্তু কখনো কি ভেবেছি- সিঙ্গারার কোণা তিনটি হয় কেন? কারা এর আবিষ্কারক?
সিঙ্গারা বাঙালি বা ভারতীয়দের সৃষ্টি নয়। ইতিহাস বলছে, ইরান থেকেই নাকি এদেশে এসেছে সিঙ্গারা। ইরানি ইতিহাসবিদ আবুল ফজল বায়হাকি তার ‘তারিখ-এ-বেহাগি’ বইয়ে উল্লেখ করেছিলেন ‘সাম্বোসা’র। এই ‘সাম্বোসা’ই সিঙ্গারার আদি রূপ। তবে দ্বাদশ শতাব্দী থেকেই মোটামুটি ভারত উপমহাদেশের মাটিতে পরিচিত নাম সিঙ্গারা। আমির খসরুর রচনায় এর উল্লেখ আছে।
সিঙ্গারা কী কারণে তিন কোণা হলো, তার কোনো নির্দিষ্ট উত্তর নেই। তবে ‘ইয়াহু’তে এই প্রশ্ন ভেসে আসার পরে কেউ কেউ উত্তর দিয়েছেন, আটা বা ময়দার তৈরি সিঙ্গারার শরীরে তরকারির পুর ভরা হয়। এক্ষেত্রে গোল বা চৌকো না হয়ে ত্রিকোণাকার হওয়াই স্বাভাবিক।
অন্য একজন লিখেছেন, কেবল বেসনে ভাজাই হয় না সিঙ্গারাকে। তার মধ্যে পুরও ভরা হয়। ফলে ওই আকৃতি লাভ করে। গোল, চৌকো বা ডিম্বাকৃতি নয়, তিন কোণা হওয়াই স্বাভাবিক।
তবে এমনও হতে পারে যে, সিঙ্গারা যখন তৈরি হয়, তখন ওই রকম আকারের কোনো স্ন্যাক্স হয়তো ছিল না, তাই ওই রকম আকার দেওয়া হয়েছিল।