হারের কারণ খুঁজছে ভারত
স্পোর্টস ডেস্ক
প্রথমবারের মতো ভারতের বিপক্ষে জয়, তাও টি-টোয়েন্টিতে। এবারের জয়ের নায়ক মুশফিকুর রহিম। তার অপরাজিত ৪৩ বলে ৬০ রানে ৭ উইকেটের জয় পায় বাংলাদেশ। স্বাভাবিকভাবেই ম্যাচসেরা হয়েছেন তিনি। তবে সব ছাপিয়ে আলোচনায় ভারতের হার। কেন হারলেন তারা? এ ম্যাচে তিনবার জীবন পেয়েছেন মুশফিক। দুবার তার নিশ্চিত এলবিডব্লিউর ডিআরএস নেয়নি ভারত। তাতে সাড়া দেননি উইকেটরক্ষক রিশভ পন্থ ও অধিনায়ক রোহিত। আর একবার মুশির ক্যাচ মিস করেন ক্রুণাল পাণ্ডিয়া। একেই ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট মনে করছেন ক্রিকেটবোদ্ধারা।
ক্রিকেটের সংক্ষিপ্ত সংস্করণে রিভিউ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ জন্য দলের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সদস্য উইকেটকিপার। আগে ভারতের উইকেটরক্ষকের ভূমিকা পালন করতেন মহেন্দ্র সিংহ ধোনি। তিনি ভারতীয় অধিনায়ক বিরাট কোহলিকে রিভিউ নিতে পরামর্শ দিতেন।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই সফল ছিলেন ধোনি। তবে তার উত্তরসূরি পন্থ ডিআরএস নেয়ার ক্ষেত্রে এখন পর্যন্ত চূড়ান্ত ব্যর্থ। অনেকে বলছেন, সঠিক রিভিউ না নিয়ে দলকে ডুবিয়েছেন পন্থ। ১০ম ওভারে চাহালের দুটি ডেলিভারি এসে পড়ে মুশফিকুরের প্যাডে। দুটি ক্ষেত্রেই নিজে জোরালো আবেদন করেন বোলার। প্রথমবার চাহাল ও পন্থের সঙ্গে কথা বলার পর রিভিউ নেননি রোহিত। দ্বিতীয়বার কোনো আলোচনাই করেননি তারা।
ক্রিকেট বিশ্লেষকরা বলছেন, ধোনি হলে এ ভুল করতেন না। রিভিউ নেয়ার জন্য তিনি অধিনায়কের ওপরে চাপ প্রয়োগ করতেন। চাহালের দুটো ডেলিভেরির ক্ষেত্রেই রোহিতরা মনে করেছেন, বল পিচ করেছে লেগ স্টাম্পের বাইরে। কিন্তু রিপ্লেতে দেখা গেছে, বল ঠিক লাইনেই ছিল এবং দুবারই স্টাম্পে আঘাত হানত।
শুধু রিভিউ না নেয়ায় বেঁচে যান মুশফিক-এমনটি নয়। ১৮তম ওভারে তার ক্যাচ ছাড়েন ক্রুণাল। তখন জয়ের জন্য টাইগারদের দরকার ছিল ১৬ বলে ৩৩ রান। পরে ম্যাচ জিতিয়ে মাঠ ছাড়েন মিস্টার ডিপেন্ডেবল।
এদিন ব্যাট হাতেও ব্যর্থ পন্থ। শিখর ধাওয়ানকে রানআউট করেন তিনি। নিজেও বড় শট খেলে দলের রান বাড়াতে পারেননি। স্বাভাবিকভাবেই অভিজ্ঞতার অভাব ধরা পড়ছে তার খেলায়। সর্বোপরি গোটা ভারতীয় দলে ছিল সমন্বয়ের অভাব। তরুণরা লাল-সবুজ জার্সিধারীদের প্রতিরোধ করতে পারেননি।