‘নতুন সড়ক আইনে সাতদিন কোনো মামলা হবে না’
নিজস্ব প্রতিবেদক
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে ১ নভেম্বর থেকে নতুন সড়ক পরিবহন আইন কার্যকর করা হয়েছে। তবে এখন সারাদেশ সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানো হচ্ছে।’
‘প্রথম সাতদিন এই প্রচারণা চলবে। আর এই সময় কোনো পরিবহনের বিরুদ্ধে নতুন আইনে মামলা না করার জন্য নির্দেশ দিয়েছি। নতুন আইন পুরোপুরি বাস্তবায়িত হলে দুর্ঘটনা কমে যাওয়াসহ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরে আসবে’ বলে জানান তিনি।
শনিবার ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে নারায়ণগঞ্জের সাইনবোর্ড এলাকায় নতুন সড়ক পরিবহন নিরাপত্তা আইন বাস্তবায়ন হওয়ায় বিআরটিএর কার্যক্রম পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে এমন মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসনের শারীরিক অবস্থার এমন কোনো অবনতি হয়নি যার কারণে তাকে বিদেশ পাঠাতে হবে।’
মন্ত্রী বলেন, ‘খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে গঠিত মেডিকেল বোর্ডের বক্তব্যের সঙ্গে বিএনপির বক্তব্যের মিল নেই। খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা নিয়ে বিএনপি রাজনীতি করছে। কারণ মেডিকেল বোর্ডে খালেদা জিয়ার পছন্দের চিকিৎসক রয়েছে। সেই মেডিকেল বোর্ডের সদস্যরা বলছেন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ভালো আছে এবং সুচিকিৎসা পাচ্ছেন।’
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘নির্বাচন যদি সুষ্ঠু না হতো তাহলে মির্জা ফখরুলসহ বিএনপি কেন নির্বাচনে অংশগ্রহণ করেছে। বর্তমান সংসদকে অবৈধ বলা হলে সংসদে যোগ দেওয়া বিএনপির সাত এমপিও অবৈধ।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে নেতাকর্মীদের চাঙ্গা রাখতে গলাবাজি করছে। বিএনপি বারবার আন্দোলনের ডাক দেওয়ার পরও জনগণ সাড়া দেয়নি। এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে তারা মানুষের কাছে নালিশ করছে। এটি এখন বিএনপির একটি রোগে পরিণত হয়েছে।’
সাংবাদিকদের আরও এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ‘সারাদেশে তৃণমূল পর্যায়ে শুদ্ধি অভিযান চলছে। এরইমধ্যে জেলা পর্যায়ে ও তৃণমূল পর্যায়ে ভূমিদস্যু, মাদক ব্যবসায়ী সন্ত্রাসী-চাঁদাবাজদের তালিকা তৈরি করা হয়েছে। পর্যায়ক্রমে তাদেরকে আইনের আওতায় আনা হবে।’
এসময় মন্ত্রীর সঙ্গে ছিলেন- বিআরটিএর চেয়ারম্যান ড. আহসানুল করিম পুলিশের অতিরিক্ত আইজিপি ব্যারিস্টার মাহবুবুর রহমান, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জসিম উদ্দিন, পুলিশ সুপার মো. হারুন অর রশিদসহ বিআরটিএর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা।