শুক্রবার, ১ নভেম্বর ২০১৯
প্রথম পাতা » » সাগর-রুনি, তনু-মিতুর খুনিদের শাস্তি কবে?
সাগর-রুনি, তনু-মিতুর খুনিদের শাস্তি কবে?
ফেনীর আলোচিত মাদ্রাসাছাত্রী নুসরাত জাহান রাফি হত্যাকাণ্ডের সাত মাসের মাথায় অভিযুক্ত ১৬ আসামির সবার সর্বোচ্চ সাজার রায় ঘোষণা করেছেন আদালত। মর্মস্পর্শী ও বহুল আলোচিত এই হত্যাকাণ্ডের এমন রায়ে সন্তুষ্ট দেশবাসী। মাত্র ৬১ কর্মদিবসে রাফির মামলার কার্যক্রম শেষ হলো। এখন প্রয়োজন শুধু রায়গুলো কার্যকর করা। এই রায়ে কিছুটা হলেও স্বস্তি মিলেছে আপাতত। অপরাধীদের বুকে হয়তো মৃদু কম্পন হবে ঠিকই কিন্তু দেশবাসী এখনো ভুলতে পারেনি গত কয়েক বছরে নৃশংসভাবে খুন হওয়া সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার-মেহেরুন রুনি, সোহাগী জাহান তনু ও মাহমুদা খানম মিতুর কথা।
এই তিন হত্যাকাণ্ডেই দেশের মানুষ কেঁদেছিলেন। কিন্তু বাস্তব সত্য হলো এসব হত্যাকাণ্ডের পর কয়েক বছর পেরিয়ে গেলেও খুনের রহস্য উদঘাটিত হয়নি এখনো। প্রকৃত অপরাধীরা এখনো রয়েছে ধরাছোঁয়ার বাইরে।
সাগর-রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন ৬৮ বার পিছিয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য ৬৯ বারের বার দিন ধার্য করা হয়েছে আগামী ১৪ নভেম্বর। সে দিন কি এ হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন মিলবে কিনা তা এখনই বলা সম্ভব না।
এরপর আসি তনু হত্যাকাণ্ডে। ২০১৬ সালের ২০ মার্চ রাতে কুমিল্লা সেনানিবাসের ভেতরের একটি ঝোপ থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। তনু সবে কলেজের পড়তেন। ১৯ বছর বয়সে হয়তো ভবিষ্যতের জন্য কতো স্বপ্নই না পুষে রেখেছিলেন। কিন্তু শেষমেষ! পরিবারের অভিযোগ ধর্ষণের পর হত্যা করা হয়েছে তাকে। এই হত্যাকাণ্ডে জড়িতদের গ্রেপ্তার দাবিতে দেশজুড়ে বিক্ষোভ হয়েছে কয়েকবার। কিন্তু তারপরেও গ্রেপ্তার হয়নি অপরাধীরা।
আর মিতুর কি দোষ ছিলো! ২০১৬’র ৫ জুন সকালে চট্টগ্রাম নগরীর জিইসি মোড়ে ছেলেকে স্কুল বাসে তুলে দিতে যাওয়ার সময় খুন হন পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তারের স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু। আজ তিনবছর পেরিয়ে গেলেও এ হত্যাকাণ্ডে পুলিশ মামলার অভিযোগপত্র দিতে না পারায় শুরু হয়নি বিচার।
আমাদের মাঝে নুসরাত, তনু বা মিতুরা আর ফিরবেন না এটা সত্য। কিন্তু অন্তত বিচারটা হলে কিছুটা হলেও স্বস্তি মেলে। তাই দেশবাসীর কামনা অন্তত বিচারটা হোক!
লেখক : হ্নদয় আলম