বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪
প্রথম পাতা » বিবিধ » রামগতি-কমলনগর সড়ক থাকবে চাঁদাবাজি মুক্ত -এমপি নিজান
রামগতি-কমলনগর সড়ক থাকবে চাঁদাবাজি মুক্ত -এমপি নিজান
লক্ষ্মীপুরের রামগতি-কমলনগর উপজেলায় বাজারগুলো ও সড়কে বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকসা থেকে চাঁদা তুলতে নিষেদ করেন সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদদিন নিজান। তিনি সড়ক ও বাজারের নির্ধারিত নিয়ন্ত্রক লাইনম্যানদের চাঁদাহীন অর্থ সহায়তা চালু করেন। তার ব্যতিক্রম উদ্যোগে স্থানীয়দের মধ্যে স্বস্তি জাগিয়েছে।
স্থানীয়রা জানান, বাজারগুলো, সড়কের মুখে প্রতিদিন বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটোরিকসাগুলো টানা চাঁদা তোলা হচ্ছে। চাঁদার কারণে প্রতিদিন অস্থির পরিস্থিতি তৈরি হয়। সড়ক-বাজারে চাঁদা তোলা লাইনম্যানদের মধ্যে মারামারি পর্যন্ত দেখা যায়। বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে এমন পরিস্থিতিতে সাধারণ মানুষ বিব্রত পরিস্থিতির মধ্যে সড়কে যাতায়াত করেন। প্রতিদিনই সড়কে ভাড়া নিয়ে ঝামেলা দেখা যেত। সরকার পতনের পর থেকে সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ ঘোষণা করেন বিএনপির সাবেক এমপি এবিএম আশরাফ উদদিন নিজান। তিনি প্রতিমাসে যারা চাঁদা তুলতো তাদের বাদ দিয়ে নতুন লাইনম্যান দিয়ে সড়ক ও বাজার পরিচালনা করছেন। তার উদ্যোগ খুবই চমৎকার ও ব্যতিক্রমী।
স্থানীয় লাইনম্যান মো.হোসেন জানান, বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরকার পদত্যাগ করে পালিয়ে যাওয়ার পর সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদদিন নিজান সব ধরণের বাস, সিএনজি, অটোরিকসা, ট্রাক থেকে বাজারের যানজট নিরসনে চাঁদা বন্ধ করে দেন। এবং তিনি নিজ অর্থায়নে তাদের কয়েকজনকে মাসিক বেতন দিচ্ছেন। তার অর্থ সহায়তায় সড়কে চাঁদা বন্ধ হয়।
পরিবহন শ্রমিক সিএনজি ড্রাইভার মোঃ ইব্রাহীম বলেন, ৭বছর সড়কে সিএনজি চালাচ্ছি। সড়কে লাইনম্যান ও অন্যান্যদের চাঁদা দিতে দিতে হয়রানি হচ্ছি। প্রতিদিন ৮০-১০০টাকা পর্যন্ত চাঁদা দিতে হয়। মাঝে-মধ্য বেশিও দিতে হয়। মাঝে-মধ্যে চাঁদা কম বেশি হলে অপমান ও লাঞ্ছিত হতে হয়। আ’লীগ সরকার যাওয়ার পর থেকে কাউরে চাঁদা দিতে হয় না। বিএনপির এমপির মহতি উদ্যোগে আমরা সড়কে ড্রাইভারগণ খুশি ও আনন্দিত।
বাস ড্রাইভার তারেক জানান, লক্ষ্মীপুর থেকে রামগতি যেতে গত ১০বছর চাঁদা দিতে হয় ১২০-১৫০পর্যন্ত। এখন আর সড়কে চাঁদা দিতে হয় না। বিএনপি চাঁদা বন্ধ করে দিয়েছে। চাঁদা মুক্ত রামগতি-কমলনগর সড়ক।
বিএনপি সূত্রে জানা যায়, রামগতি উপজেলায় জমিদারহাট, আলেকজান্ডার, রামদয়াল, আজাদ নগর, হাজিগন্জ বাজারে প্রতি মাসে মাসিক ৫জনকে বেতন দেয়া হচ্ছে। কমলনগরে হাজির হাট, চর লরেন্স, ফজুমিয়ারহাট, তোরাবগন্জ বাজারে ৫জনকে বেতন দেয়া হচ্ছে। প্রায় লক্ষাধিক টাকার দিচ্ছেন বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদদিন নিজান।
সূত্রে জানান, রামগতি-কমলনগরে প্রতিটি বাজারে ২-৩জন লোক ১০-১৫টাকা প্রতি গাড়ি থেকে চাঁদা তুলতেন। প্রতিদিন প্রচুর টাকা চাঁদা দিয়ে বাজার ও সড়ক নিয়ন্ত্রন করতেন তারা। চাঁদা তুলে স্থানীয় আ’লীগের নেতা-কর্মী ও তারা ভাগ করে নিতেন।
সাবেক চেয়ারম্যান, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটি, সহ শিল্প ও বানিজ্য বিষয়ক সম্পাদক, কেন্দ্রীয় বিএনপি, সাবেক সংসদ (লক্ষ্মীপুর-৪) এবিএম আশরাফ উদদিন নিজান জানান, সারাদেশ আওয়ামী সরকারের দীর্ঘ অস্থির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনের বাহিরে ছিল। সড়ক ছিল চাঁদাবাজির দখল ও বানিজ্যিক পথ। শ্রমিক, ড্রাইভার, দিনমজুর মানুষ ছিল অসহায় ও নির্যাতিত। বাস, ট্রাক, সিএনজি, অটো রিকসা থেকে প্রতিদিন চাঁদা তোলা হয়। দেশ সংস্কার হচ্ছে, সড়কে কোন চাঁদাবাজি চলবে না। সড়কে চাঁদাবাজি বন্ধ করা হয়েছে। প্রতিটি বাজারে নিজের অর্থে সড়ক নিয়ন্ত্রনকারীদের সম্মানিভাতা বা মাসিক বেতন দেয়া হচ্ছে। সড়ক থাকবে চাঁদামুক্ত। এছাড়াও বিএনপির কোন নেতা-কর্মী চাঁদাবাজি, দখলদারি করতে পারবে না। এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা রয়েছে।
প্রতিবেদক-
আমজাদ হোসেন আমু