বুধবার, ২৮ আগস্ট ২০২৪
প্রথম পাতা » বিবিধ » বন্যার্ত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ চলমান থাকছে-সাবেক সাংসদ আশরাফ উদ্দিন নিজান
বন্যার্ত মানুষের মাঝে খাবার বিতরণ চলমান থাকছে-সাবেক সাংসদ আশরাফ উদ্দিন নিজান
মোশারেফ হোসেন হাওলাদার, রামগতি-কমলনগর সংবাদদাতা:
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে অতিবৃষ্টি ও বন্যার পানিতে টানা ৪০দিন পানিবন্দী চর কাদিরা ইউনিয়নের প্রায় ২৫হাজার মানুষ। এছাড়াও উপজেলার তোরাবগন্জ, চর লরেন্স, চর মার্টিন ও চর কালকিনি ইউনিয়নে পানি বন্দী রয়েছে কয়েক হাজার মানুষ। এদিকে রামগতির চর পোড়াগাছা, চর রমিজ, চর গাজী, চর আগলী ইউনিয়নে পানিতে আটকা পড়ে রয়েছে প্রায় ৮০হাজার মানুষ। চর আব্দুল্লাহ ইউনিয়নের উপর দিয়ে কোমড় সমান পানি যাওয়া-আসা করছে।এভাবে রামগতি-কমলনগরে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী জীবন-যাপন করছে। বন্যা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত বিএনপির লক্ষ্মীপুর-৪(রামগতি-কমলনগর) উপজেলার সাবেক সংসদ সদস্য, মৎস্য ও প্রাণী সম্পদ মন্ত্রনালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সাবেক চেয়ারম্যান এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের ত্রান ও রান্না করা খিচুরী বিতরণ অব্যাহত থাকবে তিনি জানান।
গত কয়েকদিনে এলাকা ঘুরে দেখা যায়, কারো বাড়িতে রান্না করার মত চুলা নেই। সব পানির নিচে নিমজ্জিত রয়েছে। ঘরের মধ্যে পানি থৈ থৈ করছে। চকির উপর চকি বসিয়ে চলছে মানুষের মানবেতর জীবন। কোন বাড়িতে গত ২০দিন চুলায় রান্না হচ্ছে না। শুকনো খাবার খেয়ে বেঁচে রয়েছে তারা। কিছু স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের ত্রান বিতরণ করতে।
দেখা যায়, সাবেক সংসদ এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজান বেঁড়ির উপর ও আশ্রয়নের বন্যার্ত মানুষের মাঝে খিচুরী বিতরণ করছে। বন্যায় ভোগা ভুক্তভোগীরা দুর-দুরান্ত থেকে লাইন ধরে রান্না করা খিচুরী নিচ্ছে। গরু বা গবাদি পশু রাস্তা বা সড়কে দেখা যায়। খাবার সংকটে ভুগছে গবাদি পশু।
স্থানীয় বাসিন্দা মো.আরমান জানান, তার বয়স ১৯বছর। সে কোন দিন বাড়িতে বা ঘরে পানি ডুকতে দেখেনি। অথচ পানি তাদের বাড়ি বা এলাকার সব ঘরে ডুকেছে। পরিস্থিতি খুবই ভয়াবহ। খামারী ব্যক্তি জানান, ঘরে এবং বাড়িতে পানি ডুকে গেছে।গরু নিয়ে খুবই ভোগান্তি হচ্ছে। গরু এবং মহিষ রাস্তায় বেঁধে রেখেছি। খাবার খাওয়াতে পারছি না।
কথা হয় বিএনপির সাবেক সংসদ সদস্য এবিএম আশরাফ উদ্দিন নিজানের সাথে তিনি বলেন, বন্যা বা অতিবৃষ্টিতে রামগতি-কমলনগরে প্রায় দেড় লাখ মানুষ পানিবন্দী রয়েছে। ঘুরে দেখলাম তাদের রান্না করে খাওয়ার চুলা বা সরজ্ঞাম নেই। প্রথমে কয়েকদিন শুকনো খাবার দিয়েছি। পরে চিন্তা করে দেখলাম রান্না করা খিচুরী দিবো। টানা এবং চলমান থাকছে ত্রান এবং খিচুরী খাবার। এছাড়াও খোঁজ নিয়ে দেখছি, আরও কি করা যায়।
তিনি আরও বলেন, জননেতা তারেক রহমানের নির্দেশ রয়েছে বন্যার্তের পাশে থেকে সাহায্যে ও সহযোগিতা রাখতে। কিছুদিন পূর্বে জাতীয়তাবাদী দলের কেন্দ্রীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী আমির খসরু মাহমুদ চৌধূরী ও প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানী বন্যার্তদের মাঝে ত্রান বিতরন করতে আসেন। বন্যার্তদের ত্রান ও খিচুরী খাবারের আয়োজন পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়া পর্যন্ত চলমান থাকবে।
চর কাদিরা ইউনিয়নের বেশ কিছু এলাকা ঘুরে দেখা যায়, মানুষের বাড়ি-ঘরে কোমড় পরিমান পানি রয়েছে।গত দু-তিন দিন পানি বাড়ছে, কমছে না। এভাবে চলছে গত কয়েকদিন। খাবারে কষ্ট বেশি দেখা যাচ্ছে। মানুষ পানি দিয়ে গ্যাসের বোতল নিয়ে যাচ্ছে। কতদিন শুকনো খাবার খেয়ে থাকা যায়। এমন প্রশ্ন করছে। কিছু মানুষ আশ্রয় কেন্দ্রে রয়েছে। মানুষ বাড়ি-ঘর চুরি হবে কারণে আশ্রয় কেন্দ্রে যাচ্ছে না।
পানি নামছে না বরং বাড়ছে।পানি নামার কোন পথ নেই। প্রতিটি খাল বিভিন্ন প্রভাবশালীরা দখল করে রেখেছে। খালের সংস্কার হলে পানি দ্রুত নেমে যেত। এমন ধারণা করা হচ্ছে। কিছু স্থানে দেখা যায় বাড়ি চলাচলের পথে খালের মুখ বন্ধ করে কালভার্ট দেয়া হয়েছে। পানির স্রোতের বিরাজমান না থাকায় জলাবদ্ধতা সৃষ্টিতে পানি আটকা পড়ছে। পানি সরছে না।
ভী-বাণী,আমজাদ হোসেন আমু/ডেস্ক