শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » বিবিধ » কমলনগরে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আধিপত্য বিস্তারে একাধিক ডামীর ব্যবহার
কমলনগরে চেয়ারম্যান প্রার্থীদের আধিপত্য বিস্তারে একাধিক ডামীর ব্যবহার
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : ভোটের মাঠে একক আধিপত্য বিস্তারে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ইউনিয়ন পরিষদ উপ-নির্বাচনে ডামী প্রার্থীর ছড়াছড়ি দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, ভোটের মাঠে একক আধিপত্য বিস্তার, কেন্দ্রে একাধিক এজেন্ট নিয়োগ, মাঠে বা কেন্দ্রে দৌড়ঝাপে একাধিক লোকের চাহিদা, প্রশাসনিক অবস্থান শক্ত করতে মুল প্রার্থীরা একাধিক ডামী প্রার্থীর ব্যবহার করছে। এদের মধ্যে উপজেলার চর লরেন্স ইউনিয়নে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন ফরম জমা দেয়া মোশারেফ হোসেন খোকনের ডামী স্ত্রী ফরিদা ইয়াসমিন, মো.বাবুল মিঞা’র ডামী তার নিকটতম ভাতিজা মো.হারুন, ভাগিনা আব্দুর রহমান রাছেল মাঠে থাকছে। এদিকে, উপজেলার চর কাদিরায় মো.নুরুল্লাহ’র ডামী তার ভাই মো.ফাইজুল্লাহ, মো. ইব্রাহীম বাবুলের ডামী তার ভাই মো.বাহার, আশ্রাফ উদ্দিন রাজনের ডামী তার মামাতো ভাই আব্দুর রহিম মাঠে থাকছে।
আরও জানা যায়, উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ২১প্রার্থী মনোনয়ন জমা দিলেও মাঠে থাকছে ১০প্রার্থী। ডামী ১১জন ৫ প্রার্থীদের একক আধিপত্য বিস্তারে মাঠে চড়ে বেড়াতে ব্যস্ত থাকবেন।
ভোটারদের মতে, চর লরেন্স ইউপিতে মোশারেফ হোসেন খোকন, মো.বাবুল মিঞা, আহসান উল্লাহ হিরণ, আবুল কাশেম হাওলাদার, মোহাম্মদ আনোয়ার হোসাইন ভোট যুদ্ধের এগিয়ে থাকলেও মো.সোলায়মান, আব্দুজজাহের, কফিল উদ্দিন মাহমুদ, মাহবুবুল আলম রাজু, মো.নজরুল ইসলাম তরুন প্রার্থী হিসেবে ভোটে অংশ নিচ্ছে। এদিকে চর কাদিরায় মো.ইব্রাহীম বাবুল, মো.খবিরুল হক, আশ্রাফ উদ্দিন রাজন ও মো.নুরুল্লাহ ভোটের মাঠে সরব থাকছে। তাদের শক্ত অবস্থানে ডামীরা মাঠে দৌড়াবে।
প্রার্থী মো.হারুন ও আব্দুর রহিম জানান, তারা দু’জনই মো.বাবুল মিঞা’র ডামী হিসেবে মাঠে থাকবেন। ডামী’র বিষয়ে জানতে বাবুল মিঞাকে ফোন দিলে তিনি পরে কথা বলেন, ফোন রেখে দেন।
ডামী’র বিষয়ে মো.নুরুল্লাহ জানান, আপন ভাই মো.ফাইজুল্লাহ’র প্রার্থীতা অন্য কারণে হয়েছে। তিনি মুল প্রার্থী। তবে তার দুটি মামলা থাকায় ভাইকে প্রার্থী করান। কোন কারণে তিনি বাদ পড়লে ভাই ভোটে অংশ নিবেন। তিনি পরিষদের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে চেয়ারম্যান পদে ভোট করছেন। তার বাবা খালেদ সাইফুল্লাহ চর কাদিরার চেয়ারম্যান পদ থেকে অব্যাহতি দিয়ে উপজেলা পরিষদে প্রার্থী হয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন।
নির্বাচন রিটার্নিং কর্মকর্তা মো.জায়েদুল হোসেন চৌধুরী জানান, উপ-নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন জমা দিয়েছে চর কাদিরায় ৮জন, চর লরেন্স ইউপিতে ১৩জন। এবং ২১প্রার্থীর সবার মনোনয়ন বৈধ ঘোষনা করা হয়।
প্রসঙ্গত, গত ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ভোট করতে খালেদ সাইফুল্লাহ চর কাদিরা ইউপি থেকো অব্যাহতি দিয়ে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হন। এবং চর লরেন্স ইউপির চেয়ারম্যান মাষ্টার নুরুল আমিন মারা যান। নির্বাচন কমিশন চেয়ারম্যান পদে শূণ্য ঘোষনায় তফসিল ঘোষনা করেন। আগামী ২৭জুলাই ইভিএমের মাধ্যমে ভোট অনুষ্ঠিত হবে।