বৃহস্পতিবার, ৪ জুলাই ২০২৪
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি | নদ-নদী » প্রকাশ্যে পাউবির জায়গা দখল, সংবাদ করতে মানা
প্রকাশ্যে পাউবির জায়গা দখল, সংবাদ করতে মানা
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি-লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে প্রকাশ্যে জোর পূর্বক দিনের বেলায় পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল করে স্থায়ী স্থাপনা বিল্ডিং নির্মান করছে মো.আশরাফ হুজুরের ছেলে কুয়েত প্রবাসী মো.মোস্তাফিজ। উপজেলা তোরাবগন্জ বাজারের পূর্বে (ওয়াবদাখাল) মুসার খালের সংযোগ স্থলে স্থাপনাটি নির্মিত হচ্ছে।
স্থানীয়রা জানান, মুসার খালের সংযোগ খালটি সবসময় বাজারের ঘর মালিকরা তাদের সুবিধামতে দখল করছে। এবারও খালের মাঝখান পর্যন্ত স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করা হচ্ছে। প্রকাশ্যে সবার সামনে পাউবির জায়গা দখল করে ইটের টালাই দিয়ে খাল থেকে মোটা পিলার তোলা হয়। পরে ইটের গাঁতুনির দেয়াল তোলা হয়। প্রধান সড়ক থেকে সরাসরি দখলের জায়গা দেখা যাচ্ছে।
তারা আরও জানান, প্রভাবশালীদের খাল দখলের কারণে কৃষকরা পানির জন্য উৎপাদন করতে পারছে না। অনেক সময় অতিরিক্ত পানি হলে পানি নিষ্কাশন হয় না। কৃষি উৎপাদনে মারাত্মক হুমকি দেখা দিচ্ছে। পানি আটকে নানাবিধ সমস্যা তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও বাজার ব্যবসায়ীরা ময়লা-আবর্জনা ফেলে খাল ভরাট করে ফেলছে। দখল আর ভরাটের কারণে কৃষকরা বে-কায়দায় পড়ছে। বর্ষায় পানি বন্দি থাকে হাজার হাজার মানুষ ও পরিবার।
সূত্রে জানা যায়, ওয়াবদা খাল হলেও তা মুসার খালের সংযোগ নামে বেশ পরিচিত। খালটি সদরের চৌরাস্তা সংযোগে চর লরেন্স ভুলুয়া নদী হয়ে মেঘনা নদীর সংযোগ হয়।
দখলদার মো.মোস্তাফিজের জামাতা মো.রিয়াজ জানান, তার শ্বশুর প্রবাসী হওয়ায় তিনি দায়িত্বে রয়েছেন। সংবাদ করে তাদের ক্ষতি করতে মানা করেন। উপজেলার তোরাবগন্জ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, বাজার সভাপতি মো. আশরাফুজ্জামান রাছেল জানান, খাল দখলের বিষয়টি অবগত নন। তবে খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে। জেলা পানি উন্নয়ন বোর্ড কর্মকর্তা (প্রকৌশলী) মো. নাহিদুজ্জামান জানান, পানি উন্নয়ন বোর্ডের জায়গা দখল এবং স্থায়ী স্থাপনা নির্মান করা যাবে না। তদন্ত করে দেখা যায়, বেশিভাগ কাজ করা হয়েছে। বাকি কাজ না করতে নিষেদ করা হয়েছে। এবং তাদের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র দেখাতে বলা হয়েছে।