পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী, হস্তিনী
নারীরা এগুচ্ছে পুরুষের সাথে সমান তালে। মানবসভ্যতার ইতিহাসে পুরুষের পাশাপাশি লেখা রয়েছে অনেক মহিয়সী নারীর নাম। তাই বিভিন্ন সময়ে নারীদের গুনগান করেছেন অনেক কবি-মহাকবি।
কাজী নজরুল ইসলাম তার কবিতায় নারীদের গুনকীর্তন করে বলেছেন-
সাম্যের গান গাই, আমার চক্ষে পুরুষ-রমনী কোনো ভেদাভেদ নাই।
বিশ্বে যা-কিছু মহান্ সৃষ্টি চির-কল্যাণকর, অর্ধেক তার করিয়াছে নারী, অর্ধেক তার নর।
বিশ্বে যা-কিছু এল পাপ-তাপ বেদনা অশ্রুবারি, অর্ধেক তার আনিয়াছে নর, অর্ধেক তার নারী।প্রকৃতির মতো নিবিড় রহস্য লুকিয়ে রয়েছে এই নারী শক্তির মধ্যে। তবে এই রহস্য জানার বা বোঝার চেষ্টা আদিকাল থেকেই চলে আসছে। আদিকাল থেকেই পণ্ডিতরা নারীকে চারটি শ্রেণিতে ভাগ করেছেন- পদ্মিনী, চিত্রিণী, শঙ্খিনী ও হস্তিনী। এবার এই চার শ্রেণির নারীকে কী ভাবে চেনা যায় তার উপায় দেখে নেওয়া যাক।
পদ্মিনী
এই রমণীর নামেই লুকিয়ে আছে এদের রহস্য। এদের শরীর আকর্ষণীয়। চোখ পদ্মের মতো। মুখে স্মিত হাসি লেগেই থাকে। কোঁকড়ানো চুল। এরা মিষ্টভাষী। এরা সত্য বলতে পছন্দ করে। অতি যৌনতা এদের একদম পছন্দ না বরং ঘুম এদের প্রিয়। এক কথায় সুন্দরী এরা। নাচ-গানে পারদর্শী। রমণীকুলে এদের সর্বোত্তম মানা হয়।
চিত্রিণী
এই রমণীর শরীর অতি দীর্ঘ বা হ্রস্ব হয় না, প্রমাণ শরীরের অধিকারী হন চিত্রিণী নারীরা। এদের নাভি সুগভীর। মৃদু হাসি মুখে লেগে থাকে। ধীরে সুস্থে চলাফেরা করেন,কোনো কাজে যেনো অস্থিরতা নেই। চুল মসৃণ। খাওয়া ও ঘুম হয় মধ্যম। শরীর হয় খুব নরম। অন্য পুরুষদের প্রতি আকর্ষণ একদমই থাকে না।
শঙ্খিনী
এই ধরনের রমণী হন দীর্ঘ শরীরের অধিকারী। এদের চোখ, কান, নাক ও হাত-পা খুব বড় হয়। এরা একটু চঞ্চল প্রকৃতির হন। শঙ্খিনী নারীরা হন মধ্যম প্রকৃতির।
হস্তিনী
সাধারণত ভারী শরীরের অধিকারী হন এই রমণীরা। গলার আওয়াজ হয় প্রচণ্ড তীব্র। জোরে কথা বলেন। প্রচুর পরিমাণে খেতে ও ঘুমোতে ভালবাসেন। অনেকের মিথ্যা বলার অভ্যাস দেখা যায়। ধর্মে-কর্মে মন প্রায় থাকে না বললেই চলে। পরকীয়াতেও আসক্তি থাকে এদের কারো কারো।