কমলনগরে মিথ্যা মামলা দিয়ে দুই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে মিথ্যা মামলা দিয়ে দুই পরিবারকে হয়রানির অভিযোগ উঠেছে জেঠা তাজল ইসলাম এবং তার ছেলে জাকির হোসেন ফরহাদের বিরুদ্ধে। এর প্রতিবাদে মঙ্গলবার সকালে একটি অনলাইন পত্রিকা অফিসে সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী পরিবার।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, ১৯৮৭ইং সনের ১৭ই জুন উপজেলার হাজিরহাট ইউনিয়নের হাজী মুজাফফর আলী ২৩১৩ নম্বর খতিয়ানের ১৩৭৪,১৩৭৬,১৭৯১ ও ১৯৮১ বাট্টা১৭৮১ দাগে সমান অংশে তার তিন পুত্রকে ৭১ শতাংশ জমি কবলা দেন। সে আলোকে তার তিন পুত্র তাজল ইসলাম, আবুল কালাম ও শাহ আলম প্রায়২৪ শতাংশ করে জমির মালিক হন। এরপর তাজল ইসলাম তার মুমূর্ষুাবস্থায় বাবা থেকে ২০১১সালে ৭শতাংশের একটি ভুয়া দলিল নেন। ওই সময় তার বাবা হাজী মুজাফফর আলীর নামে কোন জমি ছিল না। তিনি ১৯৮৭ সালে তিন পুত্রকে জমি রেজিস্ট্রি দিয়ে খতিয়ানে নি:শর্তবান হন। এরপর তাজল ইসলাম বিভিন্ন দলিলে ২৫ শতাংশ জমি বিক্রি করে দেন। তাজল ইসলাম তার সকল জমি বিক্রি করার পরেও ওই দাগে তার আরো জমি আছে বলে দাবি করছেন।
সংবাদ সম্মেলনে মৃত আবুল কালামের স্ত্রী আলেয়া বেগম বলেন, আমার শ্বশুর জীবিত থাকা অবস্থায় তার তিন ছেলেকে ৭১ শতাংশ জমি কবলা করে দেয়। আমার ভাসুর তাজল ইসলাম ওই দাগে তার সকল জমি বিক্রি করে দেয়। দীর্ঘ দিন থেকে তাজল ইসলাম তার জমি এখনো আছে বলে দাবি করে আসছে। আমাদের দখলীয় জমিতে আমরা কোন কাজ করতে গেলে সে বাঁধা সৃষ্টি করে। এবং জমি দখল করতে না পেরে আমাদের দুই পরিবারকে তার বাড়ি লুটসহ বিভিন্ন মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানির করে আসছে। তারা অসহায় এবং নিরিহ পরিবার। দিন মজুরী করে সংসার চালান। অথচ সরকারি চাকুরী প্রভাব এবং টাকা দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলা দাখিল করেন। আমরা তার এ অন্যায় অত্যাচারের সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
একই পরিবারের শাহ আলমের ছেলে আজগর হোসেন বলেন, আমার দাদার তিন সন্তান। আমার জেঠা তাজল ইসলাম শিক্ষিত হওয়ায় বিভিন্ন কৌশলে আমাদের জমি দখলের চেষ্টা করে। তার ছেলে সরকারী কর্মচারী জাকির হোসেনের প্ররোচনায় এ পর্যন্ত আমাদের বিরুদ্ধে তার বাজারের ঘর লুটসহ বিভিন্ন অভিযোগে ৬টি মামলা করে। তিনটি মামলা আমাদের পক্ষে রায় হয়। আমাদেরকে ওই জমি থেকে উচ্ছেদ করা পর্যন্ত তার যা যা করা দরকার তিনি তাই করবেন বলে বিভিন্ন মহলে হুমকি দিয়ে প্রচার করছেন। আমরা তার এ সব অপকর্মের সঠিক বিচার চাই। এছাড়াও কবরস্থান জমির মধ্যও মামলা করেছে। কবরস্থান মেরামত করতে গেলে তাজুল ইসলাম ও তার ছেলে বাঁধা দেয়। তারা বলেন, কেউ মারা গেলে এখানে কবর দেয়া যাবে না। প্রয়োজনে লাশ খালে ফেলে দিবে।
এদিকে অভিযুক্ত তাজল ইসলাম দাবি করেন, তার বাবার দেওয়া জমি তার ভাইয়ের ছেলে মেয়েরা জোরপূর্বক দখল করে রেখেছেন। নিরুপায় হয়ে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হয়েছেন। তিনি কোন হয়রানি মূলক মামলা করননি।