সোমবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি » কমলনগরে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প ও ঘনবসতি এলাকায় এমআরবি’র বাংলা ভাটা নির্মানের প্রস্তুতি
কমলনগরে সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প ও ঘনবসতি এলাকায় এমআরবি’র বাংলা ভাটা নির্মানের প্রস্তুতি
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের চর কাদিরা আশ্রয়ন প্রকল্পের পূর্বে ঘনবসতি এলাকায় রহিমা ব্রিকস(এমআরবি) নামে বাংলা ইটের ভাটা নির্মানের প্রস্তুতি চলছে। পরিবেশে দূষণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে শতাধিক পরিবারসহ এলাকাবাসী।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, পুরাতন ইটের ভাটার মধ্যে নতুন দমে প্রস্তুতি চলছে বাংলা ভাটার। ইটের ভাটার পাশে শতাধিক বসবাসরত বাড়ি-ঘর, সরকারি আশ্রয়ন প্রকল্প, বন বিভাগের বাগান রয়েছে। এখানে আবাসিক এলাকার মত এতকিছু থাকার পরও হরদমে বাংলা ইট ভাটার প্রস্তুতি চলছে।
স্থানীয় গ্রামবাসীর পক্ষে জৈনিক রহিমা, কুলছুম, মানিক জানান, দীর্ঘদিন ধরে এখানে একটি ইটের ভাটা জরাজীর্ণ অবস্থায় পড়ে রয়েছে। কিছুদিন থেকে হঠাৎ স্থানীয় মালিকপক্ষ (এমআরপি) পূর্নরায় ইটের ভাটা দিতে প্রস্তুতি নিচ্ছেন। ইটের ভাটার চারপাশে শতশত পরিবার বসবাস করছে। তাদের জীবন-জীবিকা কৃষি নির্ভর। বাংলা ইটের ভাটা নির্মান হলে স্থানীয় বসবাসরত পরিবারগুলো পরিবেশ দূষণে অসুবিধায় পড়বে। আশে-পাশে বাড়ি-ঘর, গাছ-পালায় পরিবেশে মারাত্মাক সমস্যা দেখা দিবে। প্রাকৃতিক গাছ-গাছালিগুলো আগুনের কালো ধোঁয়ায় ধংস হয়ে যাবে। পরিবেশ, কৃষিজমি, রাস্তা-ঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হবে। বাংলা ইটের ভাটা হলে জনজীবন বিপর্যস্ত হবে।
তারা আরও জানান, ইটের ভাটার কালো ধোঁয়ায় মানুষের শ্বাসকষ্ট, হাপাঁনি, ফুসফুসের সমস্যা, বাতাসে ধুলা-বালিতে সর্দি, হাঁচি, কাশি হয়। এছাড়াও নারিকেল গাছ, বিভিন্ন ফল-মুল গাছে ফল ধরবে না। ক্ষেতে ধান ও সোনালী ফসল উৎপাদন হবে না। ইটের ভাটার আশে-পাশে জোর করে দখল ও মাটি কেটে নেয়া হচ্ছে। সাধারন মানুষ তাদের একচেটিয়া খামখেয়ালিপনায় জিম্মি দশায় বসবাস করছে। ইটের ভাটা নির্মান বন্ধ করে জনগণকে ঝুঁকি থেকে রক্ষার দাবি জানান।
২০১৩ সালের ইটভাটার নীতিমালায় উল্লেখ্য হয়, লোকালয়ে বাড়ি-ঘর আবাসিক ভূমির পাশে ইটভাটা করা যাবে না। পাহাড়, টিলা ও কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা যাবে না। জলাশয় থেকেও মাটি তোলা যাবে না। এলজিইডির রাস্তা ব্যবহার করা যাবে না। জ্বালালী কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। মানযাত্রা ঠিক রেখে কয়লা ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশ দূষণ করা যাবে না।
ভাটার মালিক মো.ইউছুফ বলেন, কমলনগরে সবি তো বাংলা পরিবেশ দূষণ ইটের ভাটা। তার প্রস্তুতকৃত ভাটাও বাংলা ভাটা হবে। তিনি সংবাদ প্রচারে নিষেদ করেন। তিনি প্রভাবশালী ভাব নিয়ে মেঠোফোনে কথা বলেন।
উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা বলেন, নতুন বাংলা ইটের ভাটার প্রস্তুতি বিষয়ে খোঁজ-খবর নেয়া হচ্ছে। খুবই দ্রুত ব্যবস্থা নেয়া হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সুচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, বাংলা ইটের ভাটার সম্পূর্ণ অবৈধ। আবাসিক এলাকায় বাংলা ইটের ভাটা নির্মান হবে না। খোঁজ নিয়ে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
ভী-বাণী /ডেস্ক…