কমলনগরে ভূমি সংক্রান্ত পরামর্শে ফেরদৌস আরা
আমজাদ হোসেন আমু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ভূমি সংক্রান্ত নামজারিসহ আনুষঙ্গিক কাজ নিয়ে আর নয় জন-দূর্ভোগ বলেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা। ভূমি সংক্রান্ত সবধরণের কাজে তিনি কিছু সহজ পরামর্শ দেন।
ভূমি হচ্ছে জনজীবনের দামি-মূল্যবান সম্পদ। যত জনদূর্ভোগ বা সমস্যা সবই ভূমি নিয়ে দেখা যায়। ভূমি নামজারি, ভূমি বন্টন, দলিল, খতিয়ান, খাজনা রশিদ সবকিছু এখন ডিজিটাল পদ্ধতিতে অনলাইনে হচ্ছে। আপনি চাইলে ঘরে বসে ভূমি নামজারি, খাজনা রশিদ, খতিয়ান, দলিল করাতে পারেন। এখন আগের মত তহশিলের ধারে ধারে ঘুরে ভূমি সংক্রান্ত সমস্যা পড়তে হবে না। ভূমি সংক্রান্ত জটিল কাজগুলো জনগণের হাতের নাগালে এবং দোরগোড়ায়।
সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা বলেন, জমি-জামা হচ্ছে জনগণের গুরুত্বপূর্ণ সম্পদ। যত সমস্যা ভূমি নিয়ে দেখা যায়। গ্রামীণ আর শহুরে দলিল ভুক্ত সম্পত্তিতে দলিল, খতিয়ান, নামজারি কেন্দ্রিক যত সমস্যা দেখা যায়। জমির বন্টন, খাজনা, দলিল, খতিয়ানে মালিকানা থাকলে নামজারিতে বড় কোন বাঁধা থাকে না। তবে ওয়ারিশ সূত্রে নামজারিতে বন্টন নামা থাকলে ভালো। অনেক ক্ষেত্রে বন্টন নামার কারনে ওয়ারিশদের মধ্যে ঝামেলা দেখা দেয়। তখন নামজারিতে বাঁধা সৃষ্টি হয়। দলিল এবং খতিয়ান ভুক্ত জমি হলেও নামজারি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। ভূমির জন্য নামজারির গুরুত্ব অন্যতম। তবে মাঝে-মধ্যে আপত্তির কারণে নামজারি বাতিল হয়।
জনগণকে এখন আর ভূমি অফিসের ধারে ধারে ঘুরতে হবে না। আপনি ঘরে বসে নামজারি এবং ভূমি সংক্রান্ত বিষয়গুলো জানতে এবং করতে পারবেন। এখন ভূমির যাবতীয় কাজ অনলাইনে করা যায়। ভূমির মূল দলিল, ভায়া দলিল, খতিয়ানভুক্ত জরিপ, আইডি কার্ড দিয়ে কম্পিউটার দোকানে গিয়ে নামজারির আবেদন এবং ডিসিআর কাঁটতে পারেন। আপনার নামজারির কাজ কতটুকু হচ্ছে তা আপনি ফোন অথবা কম্পিউটারের মাধ্যমে দেখতে পারছেন। শুধু শুধু অন্যের দ্বারস্থ হয়ে অতিরিক্ত টাকা খরচে দুর্ভোগে পড়ার দরকার নেই। আপনি কোন কিছু না বুঝলে পাশের তহশিলে গিয়ে বুঝে নিতে পারেন। ভূমি সংক্রান্ত বিষয় গুলো দালাল বা অন্যের সাহায্য ছাড়া হয় না। এটা এখন সম্পূর্ণ ভূল ধারণা। সবকিছু সঠিক থাকলে মাত্র ৭ থেকে ১০ দিনে অনলাইনে নামজারি পাওয়া যায়।
তিনি আরও বলেন, প্রয়োজনে উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাথে যোগাযোগ রাখতে পারে। জনগণের জন্য সবসময় ভূমি অফিসের সেবা খোলা থাকে। অনেকে নামজারি হওয়ার পর ডিসিআর কাঁটতে সমস্যায় পড়ছেন। তাদের উদ্দেশ্য বলি আপনারা সরাসরি ভূমি অফিসের গিয়ে নথি নাম্বার নিয়ে নিজের মোবাইলে ডিসিআর প্রেমেন্ট করে নিতে পারেন।
স্থানীয়রা জানান, বর্তমান সহকারি কমিশনার (ভূমি) ফেরদৌস আরা যোগদানের আগে ভূমি নিয়ে নানা সমস্যা দেখা গেলেও এখন তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না। তিনি সরেজমিনে সবশ্রেণি-পেশা মানুষের কথা শুনেন এবং চাহিদামত সমাধান দিতে চেষ্টা করেন। তিনি মাঝে-মধ্যে দেখি সপ্তাহে ৭দিনও কাজ করেন। তার সাথে সরাসরি যোগাযোগ করা যায়।
উপজেলার বিভিন্ন তহশিল অফিস গিয়ো দেখা যায়, গতকয়েক মাসে ভূমি সংক্রান্ত জটিল এবং নামজারি সংকান্ত কাজে সমস্যা তেমন চোখে পড়েনি। তবে যারা নামজারি সংক্রান্ত জটিল কাজে পড়ছে তারা কিছু স্বার্থলোভী ব্যক্তির কাছে ধরা দিচ্ছে। এছাড়াও উপজেলার বিভিন্ন উন্নয়নমুলক কাজে অংশ নিতে দেখা গেছে। তিনি পরিবেশ রক্ষায় ইটভাটায় অভিযান, বাজারে ভোক্তা অধিকার নিশ্চিত করণে ভ্রাম্যমান অভিযান পরিচালনা করছেন।
ভী-বাণী /ডেস্ক…