শনিবার, ২ সেপ্টেম্বর ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি » কমলনগরে মসজিদের জমিতে ইটের ভাটা নির্মানের অভিযোগ
কমলনগরে মসজিদের জমিতে ইটের ভাটা নির্মানের অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে সরকারি ইটভাটার নীতিমালাকে তোয়াক্কা না করে মসজিদের জমিতে ইট ভাটা নির্মান করছে স্থানীয় প্রভাবশালী মহল অভিযোগ সমাজবাসীর । পরিবেশ দূষণ ও জনজীবন, শত পরিবারকে দূষিত পরিবেশ থেকে বাঁচাতে ইটভাটা বন্ধ করতে উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) নিকট স্থানীয় মসজিদ ও ভুক্তভোগী এলাকাবাসী অভিযোগ দাখিল করেন। হাজ্বি আব্দুর রহমান সাহেবের জামে মসজিদ ১৯৬৬ সালে উপজেলার তোরাবগন্জ এলাকার ফাজিল ব্যাপারীর হাটের উত্তর স্থাপিত হয়।
মসজিদ কমিটি অভিযোগে লিখেন, দীর্ঘ প্রায় ৬০-৭০ বছরের নির্মিত স্থানীয় মসজিদ এবং শত পরিবার সুস্থ পরিবেশে বসবাস করছে। মসজিদের ৭.৬৬ জমি দাতা সদস্য ইমাম, মোয়াজ্জেম ও আনুষঙ্গিক খরব বহন করতে ওয়াকফা দলিল দান করেন। মসজিদ কমিটির সদস্যদের মাধ্যমে জমিগুলো চাষাবাদ ও ফসল উৎপাদনে ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু মসজিদ কমিটির কিছু স্বার্থ লোভী লোক হঠাৎ পরিবেশ দূষণে উদয় হওয়া ইটভাটা নির্মান মালিকের কাছে প্রায় ৬ একর জমি লিজ দিয়ে দেয়। এতে মসজিদের ব্যাপক সমস্যা ও দূর্নাম তৈরি হয়। প্রভাবশালী মহল ইটভাটা নির্মান করছে, তাই বলতে হয় জোরপূর্বক তাদের স্বার্থে মসজিদের জমিগুলো দখল করে নিচ্ছে। অতিদ্রুত ইটভাটার দখল থেকে মসজিদের জমিগুলো দখলমুক্ত করতে সুষ্ঠু বিচার দাবি করেন।
স্থানীয়রা সমাজবাসীরা জানান, মসজিদ দাতা হাজ্বি আব্দুর রহমান ৭.৬৬একর জমি আয়-ব্যয় এবং ইমাম-মোয়াজ্জেমদের বেতন ও আনুষঙ্গিক খরচ বহন করতে ওয়াকফা দিয়েছেন। মসজিদের সহ-সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক হঠাৎ উঠে পড়ে লেগে ইটভাটা মালিকের কাছে প্রায় কয়েক লক্ষাধিক টাকার বিনিময়ে লিজ দেয়। এতে সমাজে মারাত্মক সমস্যা তৈরি হয়। মসজিদের আশে-পাশে বসতি বাড়ি এবং মসজিদের জমিতে তারা কিভাবে ইট ভাটার করে..? এমন প্রশ্ন তাদের বারবার করা হয়। তারা বলছে টাকা দিয়ে জমিগুলো লিজ নিয়েছে।
মসজিদের সাধারণ সম্পাদক মনিরুল হক চৌধুরী বলেন, তিনি মসজিদের প্রায় ৭ লক্ষ টাকা দেনার কারণে জমিগুলো ইটভাটার কোম্পানির কাছে লিজ দিয়েছেন। এখানে জোরপূর্বক অথবা দখল বলতে কিছু নেই। মসজিদের দাতারা জমিগুলো লিজ দিয়েছেন।
ইটভাটার মালিক আরিফুর বাপ্পী বলেন, তিনি ইটভাটা দিতে জমিগুলো মসজিদের দাতা, সভাপতি-সম্পাদক ও সমাজের প্রায় লোকের আবদারে লিজ নিয়েছেন। মসজিদের মোটা অংকের দেনার কারণে তারা জমিগুলো লিজ দিয়েছে। তিনি তার এবং লিজ নেয়া জমিতে ইটভাটা (হাওয়ায়) দিতে কাজ করছেন। এখন সমাজবাসি এবং মসজিদ কমিটির কোন সমস্যা থাকলে সেটা তাদের ব্যাপার। তার তো কিছু করার নেই। তবে তিনি আরও জানান, যেন ইটেভাটার আশেপাশে কোন সমস্যা না হয়, সেসব ধরণের ব্যবস্থা সবসময় থাকবে। যেন সমস্যা না হয় তারজন্য বাংলা ভাটা না করে হাওয়ায় ভাটা করতেছি। উপজেলা সহকারি কমিশনার(ভূমি) ফেরদৌস আরা’র ফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করেও সংযোগ পাওয়া যায়নি।
২০১৩ সালের ইটভাটার নীতিমালায় উল্লেখ্য হয়, লোকালয়ে ব্ড়ি-ঘর আবাসিক ভূমির পাশে ইটভাটা করা যাবে না। পাহাড়, টিলা ও কৃষিজমি থেকে মাটি কাটা যাবে না। জলাশয় থেকেও মনটি তোলা যাবে না। এলজিইডির রাস্তা ব্যবহার করা যাবে না। জ্বালালী কাঠ ব্যবহার করা যাবে না। মান যাত্রা ঠিক রেখে কয়লা ব্যবহার করতে হবে। পরিবেশ দূষণ করা যাবে না।