বৃহস্পতিবার, ২৪ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি » হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য- কমলনগরে ইউপি সদস্যসহ সাতজন কারাগারে
হাইকোর্টের নির্দেশনা অমান্য- কমলনগরে ইউপি সদস্যসহ সাতজন কারাগারে
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরে উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য করার দায়ে ওমর ফারুক মুন্সি নামে এক ইউপি সদস্যসহ সাত আসামীকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বৃহস্পতিবার দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ রায় দেন। এর আগে চাঁদাবাজি, ছিনতাই, মারধরসহ একাধিক অভিযোগে ১মে সোমবার জেলার কমলনগর উপজেলার চরমার্টিন এলাকার বেলাল হোসেনের স্ত্রী তাহমিনা আক্তার ওই সাত আসামীর নাম উল্লেখ করে থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
আসামিরা হলেন-উপজেলার চর মার্টিন ইউপি সদস্য ওমর ফারুক মুন্সি, বাবুল মুন্সি, জিসান, তারেক, আনোয়ার, রাজু ও সোহরাব।
আদালত ও এজাহার সূত্রে জানা যায়, বিভিন্ন সময় বাদি তাহমিনা ও তার পরিবারের কাছে চাঁদা দাবি করেন আসামিরা। তার বসতঘর নির্মাণে বাঁধা দিয়ে একজন জনপ্রতিনিধি হয়েও বাদি ও তার পরিবারের লোকজনের চলাচলের ওপর বিধিনিষেধ আরোপ করে আসামিরা। এসময় স্থানীয় বাজারে বাদির পরিবারের সদস্যরা গেলে ৫ লক্ষ টাকা চাঁদার দাবিতে তাদের উপর হামলা চালায় আসামিরাসহ কয়েকজন দুবৃর্ত্ত। এঘটনায় কমলনগর থানায় বাদি মামলা দায়ের করলে ০১মে সোমবার উচ্চ আদালত থেকে জামিন নেন আসামিরা। এসময় উচ্চ আদালত থেকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির হওয়ার নির্দেশনা থাকলেও তথ্য গোপন রেখে ১১জুলাই সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালত থেকে জামিন নেন অভিযুক্তরা। পরে বিষয়টি আদালতের নজরে আসলে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক তারেক আজিজ এ রায় দিয়ে আসামীদের কারাগারে প্রেরণ করেন।
মামলার বাদি তাহমিনা আক্তার জানান, আসামিরা জামিনে বের হয়ে তাকে ও তার পরিবারের অপরাপর সদস্যসহ মামলায় প্রত্যক্ষদর্শী সাক্ষীদের হত্যা, মারধরের হুমকি দেন। তিনি আদালতের কাছে ন্যায় বিচার দাবি করেন।
চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নাজির ইয়াছিন আরাফাত বলেন, উচ্চ আদালতের নির্দেশনা অমান্য ও তথ্য গোপন রাখার দায়ে আসামিদের জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে।