শুক্রবার, ১৮ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি | প্রশাসন » কমলনগরে ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা “বাদির রহস্যজনক বক্তব্য”
কমলনগরে ডাক্তারের বিরুদ্ধে মামলা “বাদির রহস্যজনক বক্তব্য”
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. মো.সোহেল রানা’র বিরুদ্ধে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট লক্ষ্মীপুর আদালতে মামলা দায়ের করা হয়। তবে অভিযুক্ত ডা.সোহেল রানা দাবি করেন মামলাটি রহস্যজনক। তিনি বাদিকে কখনো দেখেনি এবং চিনেনও না।
মামলার বাদি মো.মহিন উদ্দিন দাবি করেন, অভিযুক্ত মেডিকেল অফিসার ডা. মো.সোহেল রানা হাসপাতাল অপারেশন অবজারভেশনে থিয়েটার রুমে স্ব-ইচ্ছায় উদ্দেশ্যে প্রনীতভাবে দীর্ঘদিন বসবাস করছেন। অসহায়ত্ব ও দূর্বলতার সুযোগে রুগীদের সঠিক চিকিৎসা না দিয়ে কমিশন বানিজ্য বাড়াতে বিভিন্ন প্রাইভেট হাসপাতালে রেফার করেন। অনেক সময় অসহায়, অস্বচ্ছল রোগীদের জোর করে রেফার দিয়ে দেয়। তার বাসযোগ্য কোয়াটার থাকা সত্ত্বেও হাসপাতাল অপারেশন অবজারভেশন থিয়েটার রুমে বসবাস করছেন। রুমে থাকা নিয়ে বিভিন্ন অনলাইন ও প্রিন্ট পত্রিকা সংবাদ প্রচার হয়। তারপরও তিনি অপারেশ অবজারভেশনে থিয়েটার রুম ছেড়ে দেয়নি।
তিনি আরও দাবি করেন, অভিযুক্ত মেডিকেল অফিসার ডাক্তার মো. সোহেল রানা কৌশলে রুগীদের সেবা না দিয়ে এড়িয়ে যান। যেখানে কম পরিশ্রমে রুগী দেখে টাকা বেশি পাওয়া যায় সেসব চিকিৎসা করেন। হাসপাতাল কেন্দ্রিক রুগীরা তার সঠিক চিকিৎসা থেকে বঞ্চিত। তার অনিয়মের ভয়ে মুখ খুলে বলছে না ভুক্তভোগীরা। তার বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করা হয় এবং অভিযোগগুলোর সঠিক বিচার দাবি করছি।
মামলার বাদি মো. মহিন উদ্দিন উপজেলার চর ফলকন মৃত মমতাজ উদ্দিন এর পুত্র। আমলী আদালতে মামলার নম্বর(৬১৬/২৩)।
ডা. মো.সোহেল রানা বলেন, তিনি কখনো মামলার বাদিকে দেখেননি বা চিনেনও না। তিনি যেসব অভিযোগ দাখিল করেন। সেগুলোর কোনটা-ই তিনি জড়িত নয়। মামলার করার পিছনে হাসপাতাল কেন্দ্রিক তৃতীয় ব্যক্তি থাকতে পারে। হাসপাতাল কেন্দ্রিক নিয়ম বহি:ভূত অনেক কিছুই ঘটে। এখন কে বা কাহারা ইন্দ্রন দিয়ে মামলা করিয়েছে তা তো বলতে পারছি না। তবে রহস্যজনক মামলায় আসামী হলাম।
রহস্যজনক মামলার বিষয়ে বাদি মো.মহিন বলেন, মামলার বিষয়টি আদালতে প্রমাণ করা হবে। মামলার এজাহারে লিখিত অভিযোগ রয়েছে।তিনি এক সময় এক বক্তব্য উপস্থাপন করছেন। তার বক্তব্য মামলার বিষয়টি গুরুত্বহীনতা উঠে এসেছে। বাদির বক্তব্য রহস্যজনক।
উপজেলা স্বাস্থ্য পরিবার-পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. মো.আবু তাহের বলেন, হাসপাতাল অপারেশ অবজারভেশন থিয়েটার রুমে থাকার কারণ কোয়াটারে কাজ চলে। যার কারণে আপাতত বসবাস করছে। অবজারভেশন রুমে থাকার অনুমতি রয়েছে।তিনি রুমটি ছেড়ে দিয়েছেন। তবে যতটুকু শুনেছি মামলার বাদি নিজেই জানে কেন মামলা করেছেন। এটা সম্পূর্ণ রহস্যজনক মামলা।