শুক্রবার, ১১ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি » রামগতিতে জোর পূর্বক জমি দখলে মারামারির অভিযোগ
রামগতিতে জোর পূর্বক জমি দখলে মারামারির অভিযোগ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগতিতে চরে জাগা নথিভুক্ত জমি জোর পূর্বক দখলের চেষ্টায় দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়েছে। এতে আহত হয়েছে দু’পক্ষর প্রায় ৫-৮জন।
আহতদের মধ্যে নজরুল ইসলাম বাবুল এবং মো.হানিফ নামে দু’জনকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকিরা স্থানীয় স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসায় রয়েছেন।
বৃহস্পতিবার(১০আগস্ট) রাতে থানা সূত্রে মারামারির খবর পাওয়া যায়। এর আগে ভোরে উপজেলার চরপোড়াগাছা ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের চরকলাকোপা গ্রামে যুবলীগ নেতা রুবেল হাওলাদারের লোকজন ও বাবুল গংদের মধ্যে এ ঘটনা ঘটে।
পুলিশ জানান, জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে ফোন দিলে পুলিশ পাঠানো হয়। মারামারিতে আহত ব্যক্তিদের উদ্ধার করে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। দু’জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাদের ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে।
আহত বাবুলের ভাই আব্দুল গনি মেঠোফোন এবং হোয়াটসঅ্যাপে বলেন, দীর্ঘ ৪০বছর যাবত ১একর ৫০শতাংশ জমি তারা ভোগ দখল করে চাষাবাদ করছে। হঠাৎ ঘটনার দিন যুবলীগ নেতা রুবেল তার বাহিনী দিয়ে জমি দখল করে ঘর নির্মান করতে আসে। জমিতে থাকা ফসলের ক্ষতি করলে তার ভাই বাবুল বাঁধা প্রধান করেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রুবেল তার নিজস্ব বাহিনী দিয়ে বাবুলে জমি চাষের পাওয়ার টিলার ভাঙতে থাকে। পরে বাবুল এগিয়ে আসলে তাকেও এলোপাতাড়ি মারধর ও দা দিয়ে কোপাতে থাকে। স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী সদর হাসপাতালে নিলে অবস্থার গতিপথ মারাত্মক হওয়ায় ঢাকা মেডিকেলে রেফার করেন। ঢাকা মেডিকেলে চিকিৎসা শেষে তাকে পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। উন্নত চিকিৎসা করতে বাবুলকে প্রাইভেট হাসাপাতালে ভর্তি করে অপারেশন করানো হয়। বাবুলের অবস্থা অবনতি দিকে যাচ্ছে। বাবুলের মাথায় অনেকগুলো সিলাই পরেছে। তার হাত এবং পায়ে অসংখ্যক দায়ের কোপ দেখা যাচ্ছে।
স্থানীয় এবং আব্দুল গনি সূত্রে আরও জানা যায়, ভুলুয়া নদীর ভাঙার পূর্বে হিন্দুদের কাছ থেকে আবু তাহের (বাবুলগং)জমিগুলো সাব-কবলা করেন। নদী ভাঙার পরে চর জাগলে সরকার আব্দুল মালেক নামে ব্যক্তিকে নথি ভুক্ত করেন। বাবুল গং বিষয়টি জানতে পেরে বন্দোবস্তের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। মামলার রায় নিম্ম আদালত বাবুলগংদের নামে হয়। নথিভুক্ত মালেকের কাছ থেকে রামগতি যুবলীগ নেতা শাহ রাকিব যোগসাজশে মো.রুবেলের কাছে বিক্রি করে জানান। পরবর্তিতে রুবেল জমি ছেড়ে দিতে এবং দখল বুঝে দিতে বাবুলগংদের চাপ প্রয়োগ করেন।
অভিযুক্ত মো.রুবেল দাবি করেন, তিনি শাহ্ রাকিবের মাধ্যমে জমিগুলো ক্রয় করেন। মোট ১ একর ৫০শতাংশ জমি দখলে রয়েছে। বাবুল গংদের হামলায় তার বর্গা চাষী মো.হানিফ আহত হয়েছে। তিনি ঢাকা মেডিকেলে ভর্তি রয়েছে। বাবুল গংরা জমিতে দখলদারিত্ব দেখা গেলে মারামারি হয়। আব্দুল মালেক এর কাছ থেকে সাব কবলা মুলে তিনি মালিক হয়েছেন।
রামগতি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মে.আলমগীর হোসেন বলেন, জমি বিরোধে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির হয়েছে। মারাত্মক জখম দুজনকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে শুনলাম। মামলা কমকোন পক্ষই করেনি। মামলা হলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।