বৃহস্পতিবার, ১০ আগস্ট ২০২৩
প্রথম পাতা » বিবিধ » কাঠের পুল নির্মান করে দৃষ্টান্ত রাখেন ইউএনও সূচিত্র রঞ্জন দাস
কাঠের পুল নির্মান করে দৃষ্টান্ত রাখেন ইউএনও সূচিত্র রঞ্জন দাস
আমজাদ হোসেন আমু (লক্ষ্মীপুর প্রতিনিবেদক): দীর্ঘ সময় ধরে মানুষের ভোগান্তি থেকে রক্ষায় কাঠের পুল নির্মান করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাস। তিনি দীর্ঘদিনের মানুষের যাতায়াত সমস্যা সমাধানে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে হাজির হাট ইউপি’র উপজেলার সামনে সানা উল্লাহ সড়কের মাথায় খালপাড় এলাকায় এটি নির্মান করা হয়।
সরেজমিনে দেখা যায়, মানুষের দৈনন্দিন জীবনে যাতায়াতের একমাত্র পথ ছিল ভাঙা ও জীর্ণশীর্ণ কাঠের পুল। এখান দিয়ে হাজার হাজার মানুষ ও শত পরিবার প্রতিদিন যাতায়াত করেন। পুলের পাশে ছোট্র একটা মসজিদ। সেখানে শিশুরা কোরআন শিক্ষা নেয়। বয়:বৃদ্ধরা নামাজ পড়তে যান। কৃষক-রাখাল, স্কুল পড়ুয়ারা লেখা-পড়া করতে চলাচল করে। এসব মানুষের দীর্ঘ দিনের ভরসা ছিল একটি কাঠের পুল না হয় ইট-পাথরে গড়া ব্রিজ।
আরও জানা যায়, দীর্ঘদিন পূর্বে এখানে কাঠের পুল নির্মাণ করা হয়েছে। প্রায় ২৫ ফুট লম্বা খালের উপর নির্মিত ছিল। বর্ষায় খালে প্রচুর পানি স্রোত ও বৃষ্টি কারণে পুলের সবগুলো কাঠ নষ্ট হয়ে পঁচে যায়। এতে দীর্ঘদিন চলাচলে সমস্যা ও বিঘ্ন হচ্ছে। খালের পূর্ব পাশে মেঘনার ভাঙণে বাড়ি-ঘর ও বসতি হারিয়ে প্রায় দু’শতাধিক মানুষ বাড়ি-ঘর নির্মাণ করেন। এসব মানুষগুলোর দেশের বিভিন্ন স্থাণে চলাচলের একমাত্র পথ কাঠের পুল।
স্থানীয় ছাদেক মাষ্টার ও অজি উল্লাহ বলেন, কাঠের পুল দিয়ে শতাধিক পরিবার যাতায়াত করেন। এখানে জার্ণ-শীর্ণ পুলের সাথে মসজিদ রয়েছে। শিশুরা সকালে কোরআন শিক্ষা ও বয়:বৃদ্ধরা মসজিদে নামাজে যাতায়াত করেন। প্রতিদিন মারাত্মক সমস্যা হচ্ছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাসকে জানালে তিনি বিষয়টি করে দেন। তার জন্য এলাকার বাসি সত্যি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং তাকে ধন্যবাদ জানান।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সূচিত্র রঞ্জন দাস বলেন, স্থানীয়রা জীর্ণ-শীর্ণ কাঠের পুলের বিষয়টি জানান। পরে খোঁজ নেয়া হয়। যাতায়াতে যেন সমস্যা সৃষ্টব না হয় এজন্য আপাতত কাঠের করে দিয়েছি। তবে বাজেট নির্ণয় করে ইট-পাথরের ব্রিজ নির্মান করা হবে।