রামগঞ্জে হতদরিদ্র কর্মসূচির কাজ ১ দিনে শেষ..!
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রামগঞ্জে ৪০ দিনের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের কাজ একদিনেই শেষ করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। উপজেলার দরবেশপুর ইউনিয়নের আলীপুর রেনেসা কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে তাহের মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত সংস্কার কাজে এ ঘটনা ঘটে।
প্রকল্প সভাপতি ও ইউপি সদস্য শেখ রফিক মিয়া ১০ জন শ্রমিক দিয়ে রাস্তার ১০ ফুট অংশে মাত্র এক দিন কাজ করিয়েছেন। আরও ৩৯ দিন কাজ না করিয়েই তিনি টাকা আত্মসাৎ করেছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয়দের অভিযোগ, ৪০ দিনের অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচি প্রকল্পের আওতায় রেনেসা কিন্ডারগার্টেন স্কুল থেকে তাহের মাস্টারের বাড়ি পর্যন্ত সড়কটির জন্য ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এতে ৫০ জন শ্রমিক কাজ করার কথা ছিল। ১০ জুন কাজের শেষ দিন ছিল। ১০ জন শ্রমিক দিয়ে মাত্র ১০ ফুট সংস্কার করানো হয়েছে। এক দিনেই ৪০ দিনের কাজ শেষ করে দেওয়া হয়েছে। শ্রমিকদের টাকা তাদের বিকাশ অ্যাকাউন্টে জমা হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু প্রকল্প সভাপতি ও দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য (মেম্বার) শেখ রফিক মিয়া নিজেই বিকাশ থেকে ওই টাকা উত্তোলন করে আত্মসাৎ করেছেন। এ কাজে স্থানীয়রা অনিয়মের অভিযোগ তুললেও টাকা উত্তোলন করে নিয়ে গেছেন। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলীপ দে’র যোগসাজস ছিল বলে স্থানীয়রা অভিযোগ করেন।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তার কার্যালয় সূত্র জানা যায়, ২০২২-২৩ অর্থবছরে অতিদরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান কর্মসূচির দ্বিতীয় পর্যায়ে সড়কটি সংস্কারের জন্য বরাদ্দ দেওয়া হয়। প্রতিদিন ৫০ জন শ্রমিক এ কাজে নিয়োজিত থাকার কথা। এতে ৪ লাখ ৪৮ হাজার টাকা বরাদ্দ দেওয়া হয়। এ কাজে শ্রমিকদের জন্য ৪০০ টাকা করে মজুরি নির্ধারণ করা হয়েছে। ১০ জুন কাজটি শেষ হওয়ার কথা ছিল।
প্রকল্পের সভাপতি ও ইউপি সদস্য শেখ রফিক মিয়া বলেন, গ্রামে অতিদরিদ্র লোক পাওয়া যায় না। ফলে মাটি কাটার দল এনে কাজ করাতে হচ্ছে।
দরবেশপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বলেন, ওই কাজে কোনো ধরনের অনিয়ম হয়নি। উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা (পিআইও) কাজটি বুঝে নিয়েছেন। তবে ঘটনাটি খতিয়ে দেখা হবে।
উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা দিলিপ দে’র মোবাইল ফোনে একাধিকবার কল করলেও তিনি রিসিভ করেননি। তবে তিনি বলেন, এই প্রকল্পে অনিয়মের বিষয়ে শুনেছি। ঘটনাটি খতিয়ে দেখে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
রামগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শারমিন ইসলাম বলেন, ঘটনাটি শুনেছি। খোঁজ নিয়ে এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
ভী-বাণী/ডেস্ক/আমু