বাহাদুর’কে বিক্রি করতে চায় খামারী সাইফুল
আমজাদ হোসেন আমু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : কিছুটা সাদা ও কালো রঙের মোটা-তাজা ফিজিয়ান জাতের গরু বাহাদুর। আদর করে খামারী সাইফুল ইসলাম নাম রাখেন “বাহাদুর”। বাহাদুর খুবই বিচক্ষণ ও জেদি। লাল রং দেখলে রাগ থামিয়ে রাখতে পারে না। বাহাদুরকে দীর্ঘ তিন বছর নয় মাস লালন-পালন করছে খামারী সাইফুল ইসলাম। তিনি সখের বশে গরুটি লালন-পালন করছেন। গরুটির বর্তমান ওজন প্রায় ১১শত কেজি। উচ্চতা ৫ ফুট ৬ ইন্চি, লম্বা প্রায় ৯ ফুট এবং গোলাকার ৮ফুট। তবে ছবি দেখে পরিমাপ নির্নয় করা কঠিন হবে।সরাসরি দেখলে বুঝা যায় বাহাদুরের অবস্থা।
এবার ঈদুল আজহা’য় কোরবানির জন্য বিক্রি করতে চাচ্ছেন খামারী। তিনি গরুটির দাম হাকিয়েছেন প্রায় ১৫ লক্ষ টাকা। তবে দাম আলোচনা মতে হবে এমনটাও জানান খামারী সাইফুল ইসলাম।
খামারী সাইফুল ইসলাম বলেন, তিনি সখের বশে গত তিন বছর নয় মাস ফোজিয়ান জাতের গরুটি লালন -পালন করছেন। প্রতিদিন প্রায় ৮-৯শত টাকার খাবার দিতে হয়। গরুটি কোরবানির জন্য প্রস্তুত করেন। গরুটির ওজন প্রায় ১১শত কেজি। খামারে ৪টি গরু মধ্যে বাহাদুর অন্যতম। খাবার হিসেবে প্রাকৃতিক খাদ্য বেশি খাওয়ান তিনি। বুসি, বুট, কাঁচা ঘাস, খড় এসব খাদ্য বাহাদুরকে প্রতিদিন খাওয়াতে হয়। কোন ধরণের অপ্রাকৃতিক খাদ্য বাহাদুর খেতে চায় না। বাহাদুরকে প্রতিদিন শ্যাম্পু ও সাবান দিয়ে গোসল করাতে হয়। কোরবানের জন্য দেশের যেকোন জায়গা থেকে বাহাদুরকে কিনতে পারবেন। দাম হবে আলোচনা মতে..।
তিনি আরও বলেন, বাহাদুর’কে দেখতে প্রতিদিন ভিড় করছে। দামও বলছে, দাম সন্তোষজনক না হওয়ায় বিক্রি করছি না। চট্রগ্রামের কোরবানি গরুর হাটের বাহাদুর অন্যতম হবে তিনি আশা করছেন।
‘বাহাদুর’কে নিতে আসতে হবে লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের হাজিরহাট ইউনিয়নের ৪নম্বর ওর্য়াড। এছাড়াও উপজেলার হাজিরহাট বাজারে এসে মেঠোফোনে যোগাযোগ করতে পারবেন।
খামারী সাইফুল ইসলাম -০১৭১৫-১৯০১০২