রবিবার, ২৬ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » প্রশাসন » বিশেষ সম্মাননা স্মারক পেলেন ক্লুলেস হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাফর
বিশেষ সম্মাননা স্মারক পেলেন ক্লুলেস হত্যা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মো. জাফর
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতারে বিশেষ সম্মাননা স্মারক পেলেন হাজির হাট পুলিশ তদন্ত কেন্দ্র ইনচার্জ (নিরস্ত্র) মো. জাফর আহম্মেদ। সম্মাননা স্মারক প্রধান করেন, জেলা পুলিশ সুপার(এসপি) মো.মাহফুজ্জামান আশরাফ।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা(নিরস্ত্র) মো. জাফর আহম্মেদ বলেন, হত্যার কোন সুনির্দিষ্ট তথ্য বা ক্লু পাওয়া যায়নি। কে বা কারা করেছে। তবে এতটুকু বুঝা গেল অটোরিকশা ছিনতাই হয়েছে। উপজেলা চর লরেন্স ইউপি’র নবীগঞ্জ চৌধুরী বাজার এলাকার খালের পাড়ে অজ্ঞাত একটি মরদেহ পাওয়া য়ায়। পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ স্যারকে জানানো হলে তিনি এসে মরদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করেন। মৃত ব্যক্তির নাম পরিচয় জানা গেলেও হত্যার কোন ক্লু বা রহস্য পাওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিক ধারণা এটি একটি হত্যা ছিল। কিন্তু কে করেছে তা ছিল অগোচরে।
মরদেহের পরিচয় পাওয়ার পর থানায় অজ্ঞাত নামা আসামীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেন মৃত ব্যাক্তির পিতা মো.আবুল বাশার। মামলা নং ১১, তারিখ ছিল ১৯-০১-২৩, ধারা ছিল ৩৯৪/৩০২ পেনাল কোডে মামলাটি রুজু করেন। মামলাটি পুলিশ সুপার মো.মাহফুজ্জামান আশরাফ স্যার তদন্ত করতে তাকে নির্দেশ প্রধান করেন। এটি ছিল খুবই চ্যালেজিং মামলা।
মামলায় কোন হত্যার কারি তথ্য বা আলামত ছিল না। সম্পূর্ণ অন্ধকারে ছিল আসামীরা। তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করতে হয়। দীর্ঘদিন জটিল ও ক্লুলেস তদন্তের পর গত ১৩ ফেব্রুয়ারী রাত আনুমানিক ৩.০০ টায় অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(সদর সার্কেল) এর নেতৃত্বে অভিযান পরিচালনা করে জেলা সদর থানাধীন টুমচর এলাকা হইতে বেলাল হোসেন(২৭) পিতা -মৃত তোফায়েল আহাম্মদ, মাতা- রেজিয়া বেগম, সাং কালিরচর, বর্তমান মধ্য টুমচর মকবুল আহাম্মদের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয় এবং হত্যা আলামত হিসেবে অটো রিকসা উদ্ধার করা হয়।
গ্রেফতারকৃত আসামী বেলালকে জিজ্ঞাসাবাদে সে জানান, গত ১৮-০১-২০২৩ খ্রি. রাত অনুমান সাড়ে ১০ টার সময় উদ্ধারকৃত অটোরিক্সা তার সৎভাই মোঃ ইউসুফ ও জনৈক রুবেল দ্বয় ভবানগীগঞ্জ চৌরাস্তায় এসে তার নিকট ৪০,০০০/-টাকায় বিক্রি করে। তার তথ্যের ভিত্তিতে আসামী মোঃ ইউসুফকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার, সদর সার্কেল এর নের্তৃত্বে অফিসার ফোর্সসহ সিএমপি চট্টগ্রামে অভিযান পরিচালনা করে তাকে গ্রেফতারের চেষ্টা করেন।
অন্যদিকে অপর আসামী মোঃ রুবেলকে গ্রেফতারের লক্ষ্যে পুলিশ সুপারের দিক-নির্দেশনায় তাৎক্ষনিকভাবে অপর একটি টিম অফিসার ইনচার্জ কমলনগর থানার নেতৃত্বে কমলনগর থানার চরলরেঞ্চ এলাকা হইতে তদন্তে প্রকাশিত আসামী মোঃ রুবেল(৩০), পিতা-হোসেন আহাম্মদ, সাং-চরলরেঞ্চ, ৫নং ওয়ার্ড, আব্দুর রব সর্দার বাড়ী, থানা-কমলনগর, জেলা-লক্ষ্মীপুরকে গ্রেফতার করে।
হত্যা মামলার রহস্য ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। আসামী কারা তাদের হদিস খুঁজতে প্রযুক্তির ব্যবহার নিশ্চিত করা হয়। সম্পূর্ণ ক্লুলেস তথ্য উদঘাটনে দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তাদের জন্য আসামী গ্রেফতার চ্যালেজিং ছিল। পুলিশ সুপার মো. মাহফুজ্জামান আশরাফ স্যারকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি এবং যারা তাকে সঠিক তদন্তে প্রধান আসামী গ্রেফতার করতে সহযোগিতা করেছেন তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। সম্পূর্ণ ক্লুলেস হত্যার রহস্য উদঘাটনে তার জন্য খুবই চ্যালেজিং ছিল। তিনি সবার সহযোগিতায় সফল হয়েছে এবং বিশেষ সম্মাননা স্মারক পেয়ে আনন্দ প্রকাশ করেন।
মরদেহটি উপজেলার চর জাঙ্গালিয়া গ্রামের মনির মাষ্টার বাড়ির আবুল বাশারের ছেলে অটো রিকসা চালক মো. ইস্রাফিল(১৮) ছিল।
ভী-বাণী /ডেস্ক