সোমবার, ৩০ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি | সারাদেশ » রায়পুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, অভিযোগ গ্রামবাসির
রায়পুরে মিথ্যা মামলায় হয়রানি, অভিযোগ গ্রামবাসির
রায়পুর(লক্ষ্মীপুর)প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের রায়পুর উপজেলায় সংঘবদ্ধ হাউজিং ও মাটি ব্যবসায়ী দলের মামলায় হয়রানি শিকার গ্রামের কয়েক পরিবারের সদস্য। উপজেলার উত্তর চরবংশী ইউপির ৫নম্বর ওয়ার্ডের কবিরাজ বাড়ি এলাকায় এমন অভিযোগের তথ্য উঠে। মাটি ব্যবসায়ী জাকির হোসেন নামে ব্যক্তি এদের বিভিন্নভাবে হয়রানি করছে অভিযোগ তোলেন ভুক্তভোগীরা।
স্থানীয় ভুক্তভোগীরা জানান, জাকির হোসেন গ্রামের মানুষে ফসলি জমির মাটি কম দামে কিনে চওড়া দামে ইটভাটায় বিক্রি করে। তিনি কমদামে তার পছন্দের জমি কিনে সেখানে বাড়ির জন্য ফ্লট তৈরি করে। তার পছন্দের জমি মালিকরা তার কাছে কম দামে বিক্রি করতে হয়। কমদামে অথবা পছন্দের জমি কেউ বিক্রি করতে না চাইলে বিভিন্ন মামলা-হামলা দিয়ে হয়রানি করে।
স্থানীয়রা আরও জানান, তার মতের বিরুদ্ধে কেউ যেতে পারে না। তিনি তারমতের না হলে বিভিন্ন সাধারন ও নিরীহ মানুষকে ভূমি উচ্ছেদ ও মামলা দিয়ে গ্রাম ও হুমকি দিয়ে এলাকা ছাড়া করেন। তিনি গ্রামে মাটি জাকির নামে পরিচিত। তারসাথে কাজ করছে তারই অনুসারি মো.মুরাদ হোসেন, মো.ফয়েজ, বাহার কবিরাজ, বিল্লাল কবিরাজ, সিদ্দিক মাঝি, ইব্রাহিম মাঝি, তাফাজ্জল হোসেন, মো.আজগর, মিজানুর রহমান। জাকির তার আদিপত্য বিস্তার করতে নিজস্ব বাহীনি গড়ে তোলেন। এরা এলাকায় পেশিশক্তি দিয়ে সাধারণ মানুষকে হয়রানি করছে।
জাকির হোসেন মামলা-হামলার শিকার জাহাঙ্গীর হোসেন, আবু তাহের, আবু সিদ্দিক মাঝি, সিডু হাওলাদার, নাইম হোসেন, ফিরোজ আলম, সাগর হোসেন, দিদার হোসেন, তসলিম কবিরাজ, তহিরুল ইসলাম, তানিয়া সুলতানা, আবু তাহের শান্ত, ওমর শরীফ, তাহেরা বেগমসহ এলাকার নিরীহ লোকজন।
উপজেলার চরবংশী এলাকার দেলোয়ার হোসেন ও জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, ‘জাকির হোসেন তার বাহিনী দিয়ে ভূমি কিনে হাউজিং করে মোটা অংকের টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে। এছাড়াও ফসলি জমির মাটি কমদামে কিনে অধিকলাভে ইটভাটায় বিক্রি করছে। তার চক্রের কাছ সাধারণ মানুষ নিরুপায়, অসহায়। সম্প্রতি তার মাটির গাড়ি আমাদের জমির উপর দিয়ে দিতে না দেয়া এবং তার নিজস্ব লোক আজগর নামে একজনের গাছ কাটতে হাত কাটা পড়ে। তাকে দিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে মামলায় দায়ের করেন।
জাকির হোসেন রাঢ়ি বলেন, তার বিরুদ্ধে এলাকার কিছু লোক হিংসাত্মক হয়ে এমন অভিযোগ করছেন। তিনি এমন কোন অভিযোগের সাথে জড়িত নয়। তিনি মাটির ব্যবসায় করছে।
রায়পুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শিপন বড়ুয়া বলেন, ‘ওখানে মাটি ও জমি নিয়ে দুটি পক্ষের মধ্যে বিবাদ চলছে। একটি মারামারির ঘটনায় মামলা হয়েছে। মামলার তদন্ত শেষে সত্যতা সম্পর্কে নিশ্চিত হওয়া যাবে।
ভী-বাণী /ডেস্ক