মঙ্গলবার, ১৭ জানুয়ারী ২০২৩
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি » বাঁধের নামে নদীর মাটি কেঁটে ফ্যাক্টরি করার অভিযোগ
বাঁধের নামে নদীর মাটি কেঁটে ফ্যাক্টরি করার অভিযোগ
আমজাদ আমু, লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : মেঘনার ভাঙন রোধে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জামিল-ইকবাল কোম্পানি। মেঘনার ভাঙন রোধে বাঁধ নির্মানে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার কথা ছিল। গতকিছুদিন যাবত প্রতিষ্ঠানটি জিও ব্যাগ ডাম্পিং করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ডের কাজের সিস্টেমে নদী পাড় থেকে কোন ধরণের মাটি কাঁটা যাবে না। অথচ নদী পাড় থেকে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করার নামে মাটি কেঁটে প্রতিষ্ঠানের স্বার্থে বেড়ি নির্মান করছে তারা। নদীর পাড় থেকে মাটি কাঁটলে ভাঙন খুব দ্রুত বৃদ্ধি পাবে এমন আশঙ্কা করছে স্থানীয় জনগন। তাদের মতে কাজে নামে নদীর মাটি কেঁটে ঠিকাদার স্বার্থ হাছিল করছে।
লক্ষ্মীপুরের কমলনগরের মাতাব্বরহাট এলাকার দক্ষিণ পাশ্বে মেঘনার ভাঙন রোধে কাজ করছে এবং নদীর মাটি কেঁটে বাঁধ নির্মানের অভিযোগ উঠে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জামিল-ইকবাল কোম্পানির বিরুদ্ধে।
স্থানীয়রা জানান, সরকার নদী ভাঙন রোধে ঠিকাদার নিয়োগ দিয়েছে। জিও ব্যাগ ডাম্পিং করে অন্যত্র থেকে মাটি এনে নদীর পাড়ে বেড়ি নির্মান করবে। অথচ তারা সেটা না করে নদীর পাড় থেকে মাটি কেঁটে বেড়ি বাঁধ নির্মান করছে। নদী পাড় থেকে মাটি কাঁটলে ভাঙন দ্রুত বেড়ে যায়। এখন নদী বাঁধের চেয়ে ভাঙনের তীব্রতা বৃদ্ধি পাবে অনেকটাই। স্থানীয়দের মধ্যে এসব নিয়ে খুবই আতংক ছড়িয়ে পড়ে।
তারা আরও জানান, নদী ভাঙন কবলিত পাড়ের দু’পাশ থেকে ব্যাকু মেশিন দিয়ে তারা মাটি কাঁটছে। এভাবে নদীর পাড় থেকে মাটি কাঁটলে যতই জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হয়,ভাঙন কমবে না আরও বাড়বে। তারা নিজেদের স্বার্থে নদীর মাটি দিয়ে বাঁধ নির্মান করছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, নদীর পাড় থেকে মাটি কেঁটে জিও ব্যাগ ডাম্পিং করা হচ্ছে এবং ব্যাকু মেশিন দিয়ে নদীর পাড় থেকে মাটি কেঁটে বেড়ি বাঁধ দিচ্ছে। ব্যাকু মেশিন দিয়ে বেড়ির দু’পাশ থেকে মাটি কাঁটছে তারা।
প্রসঙ্গত, এরআগে, মেঘনার ভাঙন রোধে প্রায় ৩১ শত কোটি টাকা একনেকে অনুমোদনে সরকার বরাদ্দ দেয়। দ্রুত বাঁধ নির্মানে ৩৭ কি:মি ভাঙনকে প্যাকেজ আকারে প্রায় ১শত ঠিকাদারকে নিয়োগ করেন। কিছু ঠিকাদার সঠিক সময়ে কাজ শুরু করেন। কিছু ঠিকাদার কাজ নিয়ে এখন পর্যন্ত শুরু করেননি। জামিল-ইকবাল কোম্পানি গতকিছু দিন থেকে কাজ শুরু করেন।
জামিল-ইকবাল কোম্পানি প্রজেক্ট ইন্জিনিয়ার এসএম আরিফ বলেন, জিও ব্যাগ ডাম্পিং করতে উচু-নিচু মাটি গুলো কাঁটতে হচ্ছে। এখানে কোম্পানি ব্লক তৈরি ও পাওয়ার প্লান ফ্যাক্টরি নির্মান করবে। যার কারণে বেড়ি বাঁধ দেয়া হচ্ছে। নদীর পাড় থেকে মাটি কাঁটা হয়েছে এবং হচ্ছে বিষয়টি তিনি স্বীকার করেন।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. ফারুক আহমেদ বলেন, মেঘনার ভাঙন রোধে কাজ করছে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠান জামিল-ইকবাল কোম্পানি। তারা জিও ব্যাগ ডাম্পিং করবে। বাঁধ নির্মানে অন্যত্র থেকে মাটি নিতে হবে। নদীর আশ-পাশ থেকে মাটি কাঁটা নিষেদ। এটা সম্পূর্ণ অবৈধ। তারা নদীর পাড় থেকে ব্যাকু মেশিন দিয়ে মাটি কাঁটছে বিষয়টি অবগত রয়েছেন। এব্যাপারে তাদের নোটিশ দেয়া হয়েছে। মাটি কাঁটার বিষয়ে ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে।
ভী-বাণী /ডেস্ক