কেমন চলছে দেশের সাংবাদিকতা
সাংবাদিকতার ব্যাপারটাই এমন যে একসময় বলা হতো, একজন সাংবাদিককে প্রতিদিন সকালেই মূল্যায়নের মুখোমুখি হতে হয়। সকালে কাগজ হাতে নিয়েই পাঠক সংবাদের তথা সাংবাদিকতার মূল্যায়ন শুরু করেন। এখন সময় পাল্টেছে, হাল আমলে ২৪ ঘন্টাই সাংবাদিকতা উঠছে পাঠকের মধ্যে।
টেলিভিশন এবং ইন্টারনেট নিউজ পোর্টালগুলোর পাশাপাশি দৈনিকগুলোও ২৪ ঘণ্টা আপডেট করছে ওয়েব সাইট। ফলে মানুষের সংবাদ প্রাপ্যতার সুযোগ যেমন সহজ হয়েছে তেমনি সাংবাদিকতাও হয়েছে অতীতের যে কোনো সময়ের তুলনায় চ্যালেঞ্জিং। তথ্য প্রযুক্তির এই অবাধ ব্যবহার এবং সাংবাদিকতার ব্যাপক বিকাশের ফলে ধীরে ধীরে সাধারণ মানুষের কাছে প্রকাশ্য হয়েছে সংবাদ মাধ্যমের অন্দর মহলের নানা খবরও।
সাংবাদিকদের বেতন-কড়ির বিষয়টি নারীর বয়স লুকিয়ে রাখার মতো ব্যাপার থাকলেও এখন মানুষ জানে সাংবাদিকরা কয়টাকা বেতন পান। আর এই বেতন পাওয়া, এটি কতটা নিয়মিত আর অনিয়মিত তাও মোটামুটি মানুষের আজকাল আর খুব বেশী একটা অজানা নয়। এসবের বাইরেও সমকালীন সাংবাদিকতার নানা দিক বিশেষ করে নিয়ন্ত্রন, চাপ, চ্যালেঞ্জ এসব নিয়েও মানুষ কম-বেশি জানে বা জানার আগ্রহও আছে।
সাংবাদিকতার বেতন ভাতা
বাংলাদেশের সাংবাদিকতায় বেতন ভাতার বিষয়টি এখনও পুরোপুরি নিষ্পত্তি হয়নি। সংবাদপত্র ও সংবাদ সংস্থায় কর্মরত সাংবাদিক ও অন্যান্য কর্মীদের জন্য একটি সরকার অনুমোদিত ওয়েজ বোর্ড দ্বারা বেতন ভাতা নির্ধারিত হলেও টেলিভিশন ও ইন্টারনেট নিউজ পোর্টালগুলোতে কর্মরত সাংবাদিক কর্মচারিদের বেতন ভাতা এখনও নির্ধারিত নয়।
এর ফলে বেতন ভাতা নিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার তুলনায় ইলেক্ট্রনিক মিডিয়ায় অস্থিরতা ও অনিয়ম খানিকটা বেশি। এই ওয়েজ বোর্ড নিয়েও রয়েছে নানা বিতর্ক যা সম্প্রতি সবচেয়ে প্রকট আকার ধারণ করেছে। সংবাদপত্র মালিকদের সংগঠন নিউজ পেপার ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশের (নোয়াব) মনে করে এই ওয়েজ বোর্ড গঠনের দায়িত্ব তথ্য মন্ত্রণালয়ের নয় বরং এটা করা উচিত শ্রম মন্ত্রণালয়ের।
মালিক পক্ষের এহেন অবস্থান পথ রোধ করেছে সম্প্রতি প্রকাশ হওয়া নবম ওয়েজ বোর্ড। ওয়েজ বোর্ডের বাস্তবায়ন বাস্তবতা এখন ঝুলছে আদালতের বারান্দায়। যদিও এই ওয়েজ বোর্ডেও রয়েছে নানা অসংগতি। সুকৌশলে বাতিল করা হয়েছে বিদ্যমান সুবিধা। দুটি গ্রাচ্যুয়েটি কেটে করা হয়েছে একটি, ট্যাক্স দেওয়ার বিধান মালিকের কাছ থেকে কেটে এনে দেওয়া হয়েছে কর্মীদের ঘাড়ে এবং পর্যায়ক্রমে বাস্তবায়ন করা যাবে বলে একটি আইনী অস্পষ্টতা তৈরি করা হয়েছে। আইনী অস্পষ্টতা একটি আইনের দুর্বলতা এবং এটি বাস্তবায়নকারী পক্ষের জন্য অন্যায্য সুযোগ তৈরি করে।
সম্প্রতি একটি বিষয় খুব আলোচনায় এসছে গণমাধ্যমকর্মীদের আড্ডায়। তা হলো- বেশ কিছু মেধাবী সাংবাদিক, বিশেষত টেলিভিশন সাংবাদিক, সাংবাদিকতা ছেড়ে অন্য পেশায় পাড়ি জমিয়ছেন। এই সাংবাদিকদের মধ্যে কেউ কেউ এমনও আছেন যাদের দেখে তরুণরা সাংবাদিকতায় আসতে উৎসাহ পায়।
তাহলে প্রশ্ন হলো- এই মানুষগুলোকে সাংবাদিকতা ছাড়তে হলো কেন? মোটাদাগে উত্তর হলো- পেশাগত অনিশ্চয়তা, আর্থিক অনিরাপত্তা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতা করতে না পারা।
সম্প্রতি জানা গেছে, কমপক্ষে ১৮টি টিভি চ্যানেল দুই থেকে পাঁচ বছর ধরে তাদের কর্মীদের কোনো ইনক্রিমেন্ট দিচ্ছে না, আট থেকে ১০টি চ্যানেলে এক থেকে তিন মাসের বেতন বকেয়া পড়েছে, অন্তত দুটি চ্যানেলে ছয় মাসের বেতন বকেয়া এবং এর বাইরেও নানা ধরণের পেশাগত অর্থনৈতিক প্রতিবন্ধকতা তো আছেই। অপরদিকে বেশীরভাগ সংবাদপত্রে ওয়েজ বোর্ড কার্যকর না থাকলেও সরকারের তরফে পাওয়া সকল সুবিধা ঠিক ঠিক নিয়ে নিচ্ছে মালিকপক্ষ। গণমাধ্যমকর্মীরা বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষের অভাব অভিযোগ নিয়ে তৎপর থাকলেও তাদের মানবেতর জীবন নিয়ে কথা বলার আসলেই কেউ নেই।
সাংবাদিকতার যোগ্যতা-অযোগ্যতা
সাংবাদিকতা অন্য আট দশটি পেশার মতো কোনো পেশা নয়। এটি একটি বিশেষায়িত কাজ। একজন সাধারণ রিকশা চালক থেকে শুরু করে রাষ্ট্রপতি প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সাংবাদিকের বিচরণ। কিন্তু এ পেশায় প্রবেশের কোনো পদ্ধতি আজ পর্যন্ত নির্ধারণ হয়নি। সাংবাদিকতায় আগ্রহী ব্যক্তি বা গণমাধ্যম সম্পর্কে খবরাখবর রাখেন এমন কারও কাছেই এই বিষয়টি পরিস্কার নয়, সাংবাদিক হতে হলে কি ধরণের শিক্ষাগত যোগ্যতা প্রয়োজন।
যদিও সম্প্রতি গণমাধ্যমে নিয়োগের ক্ষেত্রে কিছু নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি চোখে পড়ে। তবুও এটা নিশ্চিত করে বলা যায়, এখনও সাংবাদিকতার বেশীরভাগ নিয়োগই হয় ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে যেটাকে ফরমাল পদ্ধতি বলা যায় না। অথচ, সাংবাদিকতায় প্রবেশের জন্য নূন্যতম যোগ্যতার বিধান বাধ্যতামূলক করা পেশাদার সাংবাদিকদের দীর্ঘদিনের দাবি।
সাংবাদিক হতে হলে সাংবাদিকতা বিষয়ে নূন্যতম কী কী জ্ঞান থাকা অবশ্যক তা নিশ্চিত করে আইনে পেশার মতো একটি এনরোলমেন্ট পরীক্ষার পদ্ধতি সময়ের দাবি। এই পরীক্ষার যোগ্যতা হিসেবে সাংবাদিকতা বা অন্যান্য বিষয়ে অনার্স পাস হলে সরাসরি পরীক্ষার সিটে বসা আর ডিগ্রী পাস হলে স্বীকৃত কোনো প্রতিষ্ঠান থেকে সাংবাদিকতার ব্যাসিক কোর্স বাধ্যতামূলক হওয়া উচিত।
সেক্ষেত্রে যারা ইতোমধ্যে এই পেশায় চলে এসছেন তাদের বাদ দিয়ে বিবেচনা করা হলে বিষয়টি কার্যকর করা সহজ হবে। যদিও সম্প্রতি বাংলাদেশ প্রেস কাউন্সিলের এমন একটি উদ্যোগ কিছু সাংবাদিক নেতার বাধার কারণে আলোর মুখ দেখেনি বলে শোনা যায়।
স্বাধীন সাংবাদিকতা
সাংবাদিকতা কতটা স্বাধীন এই বিতর্ক নতুন নয়। এবং সাংবাদিকতার স্বাধীনতা আসলে কি সেই আলোচনাটাও একই সঙ্গে নতুন নয়। যে রাষ্ট্র ব্যবস্থা যত বেশি গণতান্ত্রিক থাকবে সেই রাষ্ট্রে সাংবাদিকতা তত বেশি স্বাধীন হবে। আর কোন রাষ্ট্র কখন কতটা গণতান্ত্রিক তা সেই সময়ের মানুষদের আলাদা করে বুঝিয়ে বলার প্রয়োজন পড়ে না।
মানুষ যখন তার প্রত্যাশিত খবর গণমাধ্যমে পায় না, তখন তারা অনুমান করতে শুরু করে যে গণমাধ্যমের স্বাধীনতার নিয়ন্ত্রন কোথা থেকে হয়। বাক স্বাধীনতা এবং স্বাধীন সাংবাদিকতার মধ্যকার সম্পর্ক একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়। নাগরিক হিসেবে আপনি যত বেশি বাক স্বাধীনতা উপভোগ করছেন ধরে নিবেন, গণমাধ্যমও একই ভাবে রাষ্ট্র দ্বারা প্রভাবিত।
রাষ্ট্র গণমাধ্যমকে সবসময় সরাসরি নিয়ন্ত্রণ করে না। কিন্তু এমন একটা পরিবেশ পরিস্থিতি তৈরি করে যার মধ্যে নানা নিয়ন্ত্রক উপাদান বিস্তার ঘটায়। এসব উপদানের মধ্যে সবচেয়ে শক্তিশালী উপদানটির নাম আত্মনিয়ন্ত্রণ বা সেলফ সেন্সরশিপ। সেলফ সেন্সরশিপের ভুত একবার গণমাধ্যমের বা সাংবাদিকদের মাথায় ঢুকিয়ে দিতে সক্ষম হলে সরকারের অনেক কাজই সহজ হয়ে যায়। বাংলাদেশের গণমাধ্যম গত প্রায় এক যুগ বছর ধরেই সরকারকে এই ‘সহযোগীতাটুকু’ করে আসছে। এরপর সরকার ক্ষণে ক্ষণে তার প্রয়োজন হলে নানা রকম প্রত্যক্ষ হস্তক্ষেপ করে আসছে।
তবে এই আত্মনিয়ন্ত্রন বা সেলফ সেন্সরশিপ এমনি এমনি তৈরি হয়না। এর পেছনে রাষ্ট্রকে ব্যাপক কসরত দেখাতে হয়। পছন্ধ নয় এমন গণমাধ্যম বা সাংবাদিকের ওপর নানা প্রক্রিয়ায় চাপ তৈরি করা, গণমাধ্যম বন্ধ করে দেওয়া, চাকুরিচ্যুতি, সাংবাদিক নির্যাতন, নির্যাতিত সাংবাদিকের বিচার পাবার অধিকার থেকে বঞ্চিত করা, রাজনৈতিক ট্যাগ লাগিয়ে দেওয়া এবং সর্বপোরি সার্বক্ষনিক নজদারিতে রাখা।
এই নিপীড়ণ সরকার কর্তৃক জারি থাকার পাশাপাশি মালিক পক্ষের নানা স্বার্থ রক্ষা বা স্বার্থ যেন হানি না হয় তা নিশ্চত করতে গিয়েও স্বাধীন সাংবাদিকতার সুযোগ হারান গণমাধ্যমকর্মীরা। বিগত বছরগুলোতে দেখা যাবে কোনো সাংবাদিক নির্যাতনের বিচার হয়নি, সাংবাদিকের উপর হামলার সুষ্ঠু তদন্ত হয়নি, সকল যোগ্যতা থাকা স্বত্তেও বছরের পর বছর ধরে বেকার আছেন এবং কেউ কেউ দেশও ছেড়েছেন। সব সময় যে সাংবাদিকরা রাষ্ট্র কর্তৃক নির্যাতনের শিকার হন তা নয়, কিন্তু পরবর্তীতে নির্যাতনকারীদের আশ্রয়-প্রশ্রয় দিয়ে রাষ্ট্র আকারে ইঙ্গিতে বুঝিয়ে দেয় সে এতে অসন্তুষ্ট নয়।
এমন পরিস্থিতিতে যখন একজন সংবাদকর্মী নিজের থেকে একবার, প্রতিষ্ঠান থেকে একবার এবং রাষ্ট্র কর্তৃক একবার বাধা অনুভব বা প্রত্যক্ষ করবেন তখন স্বাধীন সাংবাদিকতা করা সত্যিই কষ্টসাধ্য।
মফস্বল সাংবাদিকতা
মফস্বল সাংবাদিকতা বা ঢাকার বাইরে থেকে যেসকল সংবাদাতারা সংবাদ সংগ্রহও প্রেরণের কাজে আছে তাদের অবস্থা রীতিমতো যা তা। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে মাথার ঘাম পায়ে ফেলে নানা প্রতিবন্ধকতা ও স্থানীয় প্রভাবশালীদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে যারা নিয়মিত সাংবাদ পাঠিয়ে চলছেন তাদের অর্থনৈতিক নিরাপত্তা বলতে কিছুই নেই।
সাংবাদিকতা যে একটি নেশা তা আপনি ঢাকার সাংবাদিকদের দেখে খুব একটা বুঝতে পারবেন না। মফস্বলের সাংবাদিকরাই মূলত সাংবাদিকতার প্রকৃত বিজ্ঞাপন। সাংবাদিকতার প্রতি কি প্রবল ভালোবাসা থাকা প্রয়োজন তা তাদের প্রায় শূন্য প্রাপ্তির আশায় প্রবল পরিশ্রম দেখলেই টের পাওয়া যায়।
কিন্তু দূর্ভাগ্যবশত, সাংবাদিকতার সবচেয়ে বড় বদনামটা এই মফস্বল সাংবাদিকদের হাত ধরে বেশি হয়। প্রতিটি জেলা বা উপজেলা পর্যায়েই দেখা যা মূলধারার গণমাধ্যমগুলোর বাইরে আছেন এমন অসংখ্য সংবাদকর্মী রীতিমতো সাংবাদিকতার সাইনবোর্ডে অপরাধের বা অপসাংবাদিকতার সিন্ডিকেট তৈরি করে বসে।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে গ্রামের মানুষ গাছ কাটতে গেলেও কিছু সাংবাদিক গিয়ে সেখানে ঝামেলা তৈরি করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়। এই অংশটির কারণে বহু মানুষ মনে করে কাগজে সংবাদ প্রকাশ করতে টাকা লাগে। অবশ্য নূন্যতম যোগ্যতা, যাচাই-বাচাইয়ের ব্যবস্থা ও নিয়মিত বেতন ভাতা প্রদান করা সম্ভব হলে মফস্বল সাংবাদিকতার এই অবস্থা হতো না।
সাংবাদিক সংগঠনগুলোর ভূমিকা
ঢাকায় পেশাদার সাংবাদিকদের সবচেয়ে বড় সংগঠনগুলো হচ্ছে জাতীয় প্রেস ক্লাব, ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ), বাংলাদেশ ফেডারেল ইউনিয়ন অব জার্নালিস্ট (বিএফইউজে) এবং ঢাকা সাংবাদিক ইউনিয়ন (ডিইউজে)। এই সংগঠনগুলোর প্রথম দুটি মূলত ক্লাব এবং শেষের দুটি সাংবাদিকদের অধিকার আদায়ে ট্রেড ইউনিয়ন। প্রথম দুটিতে দলীয় রাজনৈতিক প্রভাব থাকলেও সরাসরি রাজনীতি নেই আর শেষ দুটিতে পুরোপুরি দলীয় লেজুড়ভিত্তি থাকায় এগুলো ভেঙে চার ভাগ।
এই দলীয় অবস্থানের কারনেই ট্রেড ইউনিয়ন আশানরুপ ভূমিকা পালন করতে পারছে না। অপর দিকে প্রেসক্লাব ও ডিআরইউ সাংবাদিকদের পেশাগত সমৃদ্ধি আনয়নের ক্ষেত্রে যুতসই ভূমিকা রাখতে পারছে না। যদিও এই সবগুলো সংগঠনের তুলনায় ডিআরইউ সর্বোচ্চ তৎপর। কিন্তু প্রয়োজনীয় যুগোপযোগী প্রশিক্ষনের ব্যবস্থা কোথাও হচ্ছে না।
আধুনিক সাংবাদিকতা
শত প্রতিবন্ধকতার বাইরেও সাংবাদিকতা কিন্তু থেমে থাকছে না। সারা দুনিয়ার সাংবাদিকতা ঝুঁকে পড়ছে নিত্যনতুন আধুনিক পদ্ধতির দিকে। সেই তুলনায় আমরা এগুতে পারছি কি? মোবাইল জার্নালিজম (মোজো), ডাটা জার্নালিজম, সাংবাদিকতায় প্রোগ্রামিংয়ের ব্যবহারসহ নানা নতুন জিনিসের সঙ্গে সারা দুনিয়ার সাংবাদিকতা সম্পৃক্ত হচ্ছে। আমরা হতে পারছি কি? সাংবাতিকতার এই সময়ে এটি একটি মহা চ্যালেঞ্জ। এই আধুনিকতার সঙ্গে যুক্ত হতে না পারলে বা নিজেকে প্রশিক্ষিত না করলে গ্লোবাল চ্যালেঞ্জে টিকে থাকা অসম্ভব।
খোলাডাক / এসএস