শুক্রবার, ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২২
প্রথম পাতা » অপরাধ ও দুর্নীতি | সারাদেশ » লাইফ সাপোর্টে মারা গেল ছাত্রলীগ নেতা জীবন
লাইফ সাপোর্টে মারা গেল ছাত্রলীগ নেতা জীবন
নাটোর প্রতিনিধি : জীবনের সাথে যুদ্ধ করে চলে গেলে ছাত্রলীগ নেতা জামিউল আলীম জীবন (২২)। নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ ও তার বাহিনীর হাতে প্রকাশ্যে মারপিটের শিকার হন জীবন ও তার বাবা।
অতিরিক্ত রক্তক্ষরণে লাইফ সাপোর্টে চিকিৎসায় ছিলেন জীবন। তিনি আজ দুপুরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আইসিইউতে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। টানা ৪ দিন জীবন যুদ্ধে পাঞ্জা লড়ে চলে গেলেন। মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন, রামেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম ইয়াজদানী। জীবন স্থানীয় ফরহাদ হোসেন এর পিত্র। তিনি উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ছিলেন।
পুলিশ ও নিহতের পরিবার সুত্রে জানা যায়, ফেসবুকে আপত্তিকর স্ট্যাটাস দেয়াকে কেন্দ্র করে গত সোমবার সন্ধ্যায় নাটোরের নলডাঙ্গা উপজেলার আমতলী বাজারে জীবন ও তার পিতা ফরহাদ হোসেনকে ডেকে নেয় উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান। কথা কাটাকাটির এক পর্যায়ে চেয়ারম্যান আসাদ ও তার সহযোগিরা পিতা পূত্রকে জর্ঘন্য মারপিট করে। আহত অবস্থায় তাদের প্রথমে নাটোর সদর হাসপাতালে নেয়া হয়। অবস্থার অবনতি হলে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। জীবনের অবস্থার অবনতিতে তাকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। দীর্ঘ চারদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর না পেরার দেশে চলে যান।
নিহতের চাচা নলডাঙ্গা উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এসএম ফিরোজ বলেন, রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ মৃত্যু পরে মরদেহ ও তার সমস্ত কাগজ-পত্র ছেড়ে দেন।
তিনি আরও বলেন, রাজপারা থানার অধীনে ভাতিজার ময়না তদন্ত শেষে পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে। জনসম্মুখে তার ভাতিজাকে যারা পিটিয়ে হত্যা কনেছে। তাদের দৃষ্টান্ত মুলক প্রাকাশ্য বিচার দাবি করেন। জীবনের মৃতের কথা শুনে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
রামেক হাসপাতালের আইসিইউ’র প্রধান আবু হেনা মোস্তফা কামাল জানান, গত মঙ্গলবার সন্ধ্যায় তাকে আইসিইউতে ভর্তি করা হয়। পরের দিন বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে তার মাথায় খুলিতে অপারেশন করতে ব্যবস্থা চলছিল। কিন্তু খুবই আশষ্কাজনক হওয়া অপারেশন সম্ভব হয়নি। তার মাথায় প্রচন্ড জখম হয়েছে। এবং প্রচুর রক্তক্ষরণ হয়েছে।
নলডাঙ্গা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) শফিকুল ইসলাম জানান, এঘটনায় গত মঙ্গলবার ফরহাদ হোসেনের স্ত্রী জাহানারা বেগম বাদী হয়ে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামান আসাদ, তার বড় ভাই ফয়সাল শাহ ফটিক ও অপর ভাই আলিম আল রাজি শাহ’র নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত আরো ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। মামলা এক আসামী গ্রেফতার হলেও চেয়ারম্যান সহ বাকিরা পলাতক রয়েছে। তবে তাদের ধরতে চেষ্ঠা চলছে।
সুফি সান্টু/ভী-বাণী /ডেস্ক