গর্ভের শিশুর হাতে ‘টিকটিকি’র মতো পেশী
গর্ভের শিশুদের হাতে টিকটিকি জাতীয় অতিরিক্ত কিছু পেশী থাকে এবং তাদের জন্মের আগেই এসব ঝরে যায় বলে সম্প্রতি এক গবেষণায় উঠে এসেছে। ডেভেলপমেন্ট নামের একটি জর্নালে গবেষণার এই ফলাফলটি প্রকাশিত হয়েছে।
ওই গবেষণায় বলা হয়েছে, কেনো এসব পেশী তৈরি হয় এবং শিশুর জন্মের আগেই সেগুলো ঝেড়ে ফেলা হয় তা পরিষ্কার নয়। তবে, এসব পেশী ক্ষণস্থায়ী হলেও, বিবর্তনের এই বিষয়টি সম্ভবত সবচেয়ে প্রাচীন কোনো অবশেষ, যা এখনও মানুষের শরীরে রয়ে গেছে।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, গর্ভে বেড়ে ওঠা এরকম ১৫টি শিশুর ওপর গবেষণা চালিয়ে তারা যেসব তথ্য পেয়েছেন, সেগুলো এ ধরনের জন্মগত ত্রুটির বিষয়ে আলোকপাত করতে পারে।
ওই গবেষক দলের প্রধান, যুক্তরাষ্ট্রের হাওয়ার্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের ড. রুই দিওগো বলেছেন- আমাদের বৃদ্ধাঙ্গুলির সাথে অনেক পেশী যুক্ত থাকে, এগুলো তার নড়াচড়াকে নিয়ন্ত্রণ করে, কিন্তু অন্যান্য আঙ্গুলের সাথে যুক্ত ছিলো এরকম অনেক পেশী আমরা হারিয়ে ফেলেছি। আমাদের বিবর্তনের সময় এগুলো হারিয়ে গেছে, এগুলো আমাদের খুব বেশি প্রয়োজন নেই।
কোনো কোনো শিশু ও প্রাপ্তবয়স্ক লোকের আঙ্গুলে ও হাতে কদাচিৎ হয়তো অতিরিক্ত পেশী পাওয়া গেছে কিন্তু বিজ্ঞানীরা যখন সাত থেকে ১৩ সপ্তাহের গর্ভকালের ভ্রূণের থ্রিডি স্ক্যান করে পরীক্ষা করেছেন, তখন তারা সবগুলো পেশীই দেখতে পাননি।
এসব পেশী যখন থাকে, তখন, কখনো সেগুলো অঙ্গ বিকৃত হওয়ার কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
জীববিজ্ঞানীরা বলছেন, মানবদেহের বিকাশের এই ধাপটির কারণেই হয়তো বৃদ্ধাঙ্গুলির কাজের দক্ষতা অনেক বেশি। এই বৃদ্ধাঙ্গুলি হাত ও পায়ের অন্যান্য আঙ্গুলগুলোর মতো নয়। এতে অতিরিক্ত একটি পেশী থাকে।