শুক্রবার, ১৮ মার্চ ২০২২
প্রথম পাতা » বিবিধ » কমলনগরে যুবদল থেকে আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রার্থী মো. সবুজ
কমলনগরে যুবদল থেকে আওয়ামী লীগের সম্পাদক প্রার্থী মো. সবুজ
লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি : লক্ষ্মীপুরের কমলনগরে জাতীয়তাবাদী যুবদলের কর্মী থেকে সরকার দলীয় আওয়ামী লীগের ইউনিয়ন সাধারণ সম্পাদক পদে লড়ছে সাবেক ইউপি সদস্য মো. সবুজ।
স্থানীয়ভাবে জানা যায়, গত ইউপি নির্বাচনে ২০১৬ সালে উপজেলার হাজির হাট ইউনিয়নের আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুগল কান্তি দাস বাবু পরিষদের ০৮ নম্বর ওয়ার্ডের সাধারণ সদস্য (মেম্বার) প্রার্থী ছিলেন। এবং মো. সবুজ তার প্রতিদন্ধী প্রার্থী ছিলেন । তিনি বিএনপি’র পূর্ন সমর্থনে তাকে হারিয়ে সাধারণ সদস্য (মেম্বার) নির্বাচিত হন। এবং হঠাৎ বনে যান আওয়ামী লীগ নেতা।
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, তিনি আওয়ামী লীগের কোন ইউনিট বা কার্য কারী কমিটির সদস্যের খাতায় নেই। তবে নাম না থাকলে কি হবে… সে নিজেকে স্থানীয় আওয়ামী লীগের সক্রিয় হেভিওয়েট নেতা দাবি করেন। তবে ভোটের বাজারে সুকৌশলে বিএনপি’র স্থানীয় সমর্থনে মেম্বার নির্বাচিত হলেও ছিলেন না যুবদলের কমিটির কোন দায়-দায়িত্বের। কৌশলগত রাজনীতিতে মুদ্রার এপিট-ওপিট।
পারিবারিক ভাবে জানা যায়, মো. সবুজ মেম্বার এবং তার পরিবার বিএনপি’র রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে জড়িত ছিলেন। সরকার বিরোধী আন্দোলনে তাদের চোখে পড়া ভূমিকা ছিল।
তাদের পরিবারে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে কেউ নেই বললেই চলে।
হাজিরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক যুগল কান্তি দাস বাবু জানান, সবুজ বিএনপি’র দোহাই দিয়ে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে তাকে পরাজিত করেন। এখন শুনতেছি সে আওয়ামী লীগ করে এবং তার সাথে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রার্থী। যদি দলের এই অবস্থা হয়.. তাহলে একনিষ্ঠ পারিবারিক আওয়ামী নেতারা কি করবে…? নব্য বিএনপি ঘেসারা দলের দায়িত্বে আসলে দলে ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হবে বলে তিনি জানান।
স্থানীয় ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের অনেক নেতা বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে ত্যাগিদের মূল্যায়ন নেই। যারা দীর্ঘদিন বঙ্গবন্ধু আর্দশের রাজনীতি করে রাজপথে ছিলেন। তাদের মূল্যায়ন না করে নতুন-নব্য বিএনপি’র ঘেসা কর্মী দিয়ে দলের নেতৃত্ব দিলে, দল নেতৃত্ব শূন্য হবে বলে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
এদিকে, বিএনপি’র স্থানীয় একাধিক নেতা বলেন, মো.সবুজ যুবদলের সমর্থনে ছিলেন। বিএনপি’র পূর্ণ সমর্থনে ইউনিয়ন পরিষদে আওয়ামী লীগ নেতাকে হারিয়ে মেম্বার নির্বাচিত হয়েছেন। এখন শুনতেছি সে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে জড়িত ও সাধারণ সম্পাদক পদ-প্রার্থী।
মো. সবুজ বলেন, তিনি বিএনপি বা যুবদলের রাজনীতির সাথে কখনো সম্পৃক্ত ছিলেন না। তিনি ইউনিয়ন যুবলীগের সদস্য ও থানা কৃষকলীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক হিসেবে নিজেকে দাবি করেন।
উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট নুরুল আমিন রাজু বলেন, মো.সবুজ আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে কিভাবে সম্পৃক্ত হলেন জানা নেই।তবে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কমিটির সম্মেলনে তিনি বা যারা প্রার্থী হবেন সবার অতীত রাজনীতির হিসেব যাচাই-বাছাই করা হবে।